কত পড়া, বড় ঐ বইটা কই,
দেখনা তা যতনে কদরে একবার হাতে লই,
জীবনটারে কর, মনের মত গড়, ঠিকঠাক গুছালো ও সই,
যদি হতে চাও আসল মানূষ দামী ও বড়, বইটা খোল, মন দিয়ে তা একটু পড় ॥  
সবাই বিঞ্জ পটু, সবাই গুরু,
এখন শুধু কায়ঃমনে করলেই হয় শুরু,
ঘাটতি কিবা শূন্যতাটা ভালয় ভালয় হলেই হলো পূরো,
কে ছাত্র কে নবিস কে পাত্র কে হবে তার অভিযাত্রী যে পথটা পিছল সরু,
বাঁচি কি মরি, সেই পণ করি, শিখে লও পাঠ,
অপরুপ সুষমার, দিগন্ত জোড়া আকাশ আর, মাটি পাথর বন পাহাড় র্ঝনা সাগর নদী ও মাঠ,
নাহয় আমি নগন্য অধম,
জানি বুঝি হয়ত অনেকের চেয়ে অনেক কম,
তবু যদি আমার কথা বিশ্বাস কর, কে মালিক কে মহাজন কেবা সবার বড়, তবে এখনই তা দেমাগে মগজে ধর ॥
পরবে সবাই ধরা,
রেখেছে ঘিরে রাজ প্রহরা,
ওরে মহারাজার কানুন বড় কড়া,
চোখ ও মোখ বেধে যাবে নিয়ে,
পায়ে বেড়ি ও হাতে হাতকড়া দিয়ে,
ধরে পূরান হিসাবের বালাম ও খতিয়ান,
মহাজন ফিরে পেতে তার সব দাদন ও ধার দিবে টান,
শাস্তি পূরস্কার যার যা পাওনা তার পাবে নায্য সঠিক বিনিময় প্রতিদান,
হবে নিরুপন, করে হিসাব ও ওজন, দিবে জনেজনে মহাজনে সবার দেনাপানা ও তার লাভলোকসান,
পরিস্কার সব দেখিবে যখন আসিবে সমন,
মরন নামের শেষ সফরে, নিজ বাড়ীতে করিবে গমন,
তখন বন্ধ হলেও আঁখি,
কোন কাজ পড়ে রয়েছে কিনা বাকী,
দিলে বাধন খুলে নয়ন, সবাই করিবে দরশন, নিরুপায় হয়ে, অসার দেহটা লয়ে, পড়শীর কাঁধে যখন পালকিতে চড় ॥
পঞ্চ রিপু সচেতন,
সপ্ত ইন্দ্রিয়ের জাগড়ন,
শুধু ঐ পূঁথিগত বিদ্যা নয়,
লোকের বানানো ঐ বিশ্ববিদ্যালয়,
তা কেমনে হয়, মহাবিস্ময়, রাজার সৃজন যা ছড়ানো বিশ্বময়,
যে ঞ্জান সাধনা, নাই মানেনা সীমানা, ধ্যান মনন ও গবেষন করিলে সাধন হয়,
কাছে কিবা দূরে, ভিতরে বাহিরে,
রয়েছে কাছে ও পাশে চারিধার হতে রেখেছে ঘিরে,
কেন এত ঘাটতি কোথা প্রাপ্তি কেমনে হবে পূরণ পাবে সন্ধান যদি সাধনা ও অন্বেষন কর ॥
বই তোমাকে বানাবে দার্শনিক,
নাইবা হোক সে পথ, ফুল বিছানো মসৃন ও চিকচিক,
দেখাবে সহজ সরল দিক,
পথটা খুঁজে পাবে সত্য সঠিক,
হবে বিজয়ী বীর, এক অগ্রদূত পথচারী র্নিভীক,
বসে নিরব নিরজনে বাসে,
বিচড়ে অসীম ঐ দূর নীল আকাশে,
সীমানা টুটে সীমার, যদি একবার, এই আসরে আসো,
গহীন সাগর তলে, অরুপ রতন পাবে বলে, অসীমে হারাবার ছলে, ভাবের ভাবনায় ভাসো,
করো কিছু সামান্য গবেষন,
হলে সাধনা হবেই হবে অমূল্য সাধন,
জাগড়িত হও, জাগাও অচেতন মন ও মনন,
যদিরে ঐ নিগূম চেতনার, দুহাতে তোমার, ভাবনার পংখীরাজ গাড়ীটার ডানায় ঝাপটে ধর ॥
জানিও মন, রাখিও স্বরন, সবাই ওস্তাদ,
কেউরে করোনা হেলা ওরে কাউকে দিওনা বাদ,
অহমিকা বড়াই, দেখিবে কেউ নাই, ছড়িয়ে পাঁতানো ফাঁদ,
সুখ নাই, কোথায় শান্তি পাই, গ্রাস করিতে চায়, শুধু হতাশা আর বিষাদ,
ভাবিলে, জবাব যাবেই মিলে, সে কত বড় কত মহান,
সে ই লভে যেজন জানে ও রত তার সন্ধানে, নিশ্চিত লাভবান,
সবখানে সব সৃজনে লুকানো আছে অফুরন্ত ঞ্জান আর লক্ষ কোটি গুরুপ্রাণ,
কেউ নহে তুচ্ছ, সোনার ময়ুর পুচ্ছ, কেউ নহে মূল্যহীন বুঝিবে সেদিন, কেউই নহে নিস্প্রান কিবা জড় ॥
বিশাল জগত এ মন ভূবন,
আর দেহমনের মালিক ঐ একজন,
সৃজন মরন দান ও হরণ সে ইতো তার নিপূন কারিগর ও নিরাকার মহাজন,
কর তার চরণ কায়ঃমন ভজন ও পূজন, তাতে কত নগন্য অধম উঠে জাতে, কত গোলাম হয় উত্তম হয় বড়,
বইয়ের এই পড়াগুলি পড়, বিজনে ভাগিয়া, রাত জাগিয়া তার লাগিয়া তব অন্তরে যতনে একটা সিংহাসন গড় ॥
আগে নিজে মানূষ হও,
তারপর, সবারে মানূষ হতে বলিতে রও,
একটা তরী বানিয়ে লও, যে আসে আসুক না আসে নাই, ওরে ভাই তুমি তার মাঝি হও,
চোখ থেকেও যারা রইলে কানা,
তাই করলে, মজে রইলে ভূলে, যা ছিল করতে মানা,
পেলেনা তার পরিচয়, না হলে মানূষ কেমনে হয়, হলোনা দেখাশেখা তারে চেনাজানা,
মোহ এসে, করল বোঁকা ধরল ঠেসে, দিল যাদুয় ঢেকে দুদিনের এই জীবন আর দুনিয়াখানা,
দুদিন পরে, অচিন দেশের ঐ সফরে, অসীম দূরে, কেমন করে তুমি যাবে একা চিন্তা ভাবনা কর ॥
হলে ঐ বইটি পড়া,
হয় জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজটি করা,
আবু হকে বলে, নাহলে এ জীবন জিয়নে মরা,
কেননা, হাতে অনেক কাজ সময় অতী কম,
বইপড়া - ভালয় সময় কাটানোর তাই এক উপায় উত্তম,
যা রয়েছে বাকী জানা ও শেখার,
ক্ষুদ্র চোখে, ঘরে বসে থেকে, অনেক দূরে দেখার,
কখনও না হওয়া একা, বিশ্বটারে ভাল করে দেখার সহজ ও শ্রেষ্ঠ মাধ্যম,
দূর্ভাবনা থেকে বেঁচে থাকা,
নিজেরে আলাদা করে, আলো আর ভালোতে বেধে ধরে রাখা,  
কথা মিথ্যে নয়, অতী সহজ হয়, দীক্ষা লওয়া ও মানূষ হওয়া সুবোধ সুজন ॥
পড়তে দিলাম একটি মাত্র বই,
কেন বলো তুমি, সে অনেক পড়া, তাতে আর এত বেশী পড়া কই,
পথেপথে চেকপোষ্ট রাজ প্রহরা,
ঘাটে ঘাটে যখন হবে শত জেরা,
চাই তড়িৎ সঠিক জবাব, শত প্রশ্ন করা,
হবে যাচাই বাছাই, বারবার তল্লাশী ভরা,
হবেনা পাশ করা, নাহলে তা দেমাগে ও দেহে ধরা,
এক বিশ্ব পাঠশালার,
মনের ঐ অচিন পাঠাগার,
অদেখা সপ্ত জানালা আর পঞ্চ দুয়ার,
সচেতন ত্বক, খুলিবে নাক চোখ ও কান সবার,
তীক্ষ্ন তুখোর ক্ষুরধার, যাহা মন্দেও কভূ হার না মানার,
হবে হ্রাস হবে পদানত, যত সব ভয়ংকর ও নিরব ভয়াল পাহাড়,
জানা হলে পরিচয় পেলে দরশন,
কে তুমি আর কে তোমার মালিক মহাজন,
কে দিলো এত ধনজন এত সুখ ভোগ বিনোদন,
মুসাফির হয়ে এসে, অরুপ ভিনদেশে তব কেন এ জীবন,
তারপরে শেষে কাঙালের বেশে, শূন্য হাতে আঁধার রাতে, আবার কোথায় করিবে গমন,
জানিলে তোমার, দেখিবে নাই আর, কোন কষ্ট হার কিবা ঋন, নাই পরাজয়, এ জীবনে কভূ আর কোনদিন হবেনা মরন ॥