কোন কষ্ট আছে কিবা নাই,
সে ব্যাথা কারেও বলিতে পারিনা ভাই,
আহারে কারে বলি, কোথায় গিয়ে দাড়াই,
ভাল সংগী হোকবা নাহোক রংগী অভিভাবক পরিচালক বুড়ো কিবা যূবক,
মোর প্রয়োজন, ধন চাহিনা সবুজ সজীব মন সুবোধ সুজন একজন বন্ধু আমি চাই ॥
যেজন মোর ঘরেতে আছে,
কেন মন হায় যেতে চাহেনা তার কাছে,
মনের মত মন না হলে, হয়কি মিতালি মাছে আর গাছে,
হয়ত সব থেকেও, আজিকে আমি বঞ্চিত ও তৃষিত তাই ॥
বলাবলি করে লোকে,
তাই, যা তারা আশেপাশে হামেশা দেখে,
কেমনে জানিল, আমিতো তা ওরে রেখেছিলেম ঢেকে,
কই, যখন ভালকিছু ঘটে ও রটে তা থেকেতো নাহি তারা শেখে,
সব ঠিকঠাক, মোখে রঙ মেখে, চলি ফিরি খাই, বলি নাঁচি গাই ॥
বদলে এসেছে নতূন সময়,
কিছুই আর সেই আগের মত নয়,
দেখি সবাই যেন, ঠিক আমারই মতন,
চায়, আরও বেশী ধন, আরও ভোগ ও বিনোদন,
একাধিক স্বামী আর একাধিক স্ত্রী যেন তাদের প্রয়োজন,
অল্পে তুষ্ট হয়না কেউ, যেন বদলে গেছে সবার মানষিকতা, মন ও মনন,
ব্যাপারটা মনেহয় এমন যেন কেউ সুখী নয়,
হতে পারে তাই সঠিক, সবাই করছে নকল সুখের অভিনয়,
দেখে দেখে লয়েছি শিখে, আমিও এখন অবিরত তাই করে যাই ॥
অযতন ও অবহেলায়,
চাওয়া পাওয়া কিবা না পাওয়ায়,
সবাই আরও সুখ যাঁচে,
ডাঙায় কি দেখেছ কভূ মৎস্য বাঁচে,
গহীনে কেঁদে মরে মন, দেখেনাতো তা কেউ,
বাহিরে প্রশান্ত ভিতরে অশান্ত, বহে ঝড় আর উত্তাল ঢেউ,
জলহীন কান্নায় অদেখায় অজানায়, এই বুক ভেসে যায়, জানে শুধু সাঁই ॥
আসলে এমন একজন,
আজ বুঝি আসল মানূষ প্রয়োজন,
নাবলা সব কথা যারে, মনখুলে বলবে এই মন,
ঢাকনা খুলে, ধরব তুলে, জানিবে কোন ভূলে ঘটেছে সে ঘটন,        
পাঠে সবে পাবে সান্তনা, পাবে মনোবল হবে কষ্ট বেদনার উপষম প্রসমন,
কষ্ট বেদনার মূলে কি ভেদ রহস্য কারন, আসিবে কি সেই ক্ষন এ দেহে থাকিতে জীবন,
আলোর দেখা পাবে, ঘরের কোনে অযতনে পড়ে থাকা, ধূলার আস্তরনে ঢাকা, মোর অসংখ্য লিখন,
সেদিন আসিবে কবে যখন হবে সবাই সুজন,
সেইতো বন্ধু আসল সংগী আপন, পেলে তখন করবো নাহয় আমি সুখী আর মানূষ হবার বড়াই ॥
যারে নিয়ে দ্বিধা চলতে,
সব কথা যায়না পারা তারে বলতে,
তা যদি হবারই নয়,
আছে নানা দ্বিধা সংসয় সংকোচ ও ভয়,
তবে সেইতো ভালো, সবকিছুতে কিছু গোজামিল আর অভিনয়,
মনের মতন কারো বন্ধু হতে, তবে বিধানের নহে অমতে, কিবা নতূন একজন বন্ধু বানাতে কোন দোষ নাই ॥
কাঁধে রেখে হাত, চলব সমতালে,
যত মন্দ ভাল সাদাকালো সুখ ও দুখভালে,
দিবস রাত করব সৃজন হবে বাজিমাত, জীবন যায় যাক যে হালে,
আমি কি ঠায় দাড়িয়ে রবো আঁধারে হারিয়ে যাবো কেউ পাশে না দাড়ালে,
কত কাজ আজও পড়ে বাঁকী, কেমনে দেবো ফাঁকি, কঠিন ঐ হিসাব ও নিদানের কালে,
আশায় থাকি, ইচ্ছে করে তারে হাতছানি দিয়ে ডাকি, কাজে বেরুবো বন্ধু কোন হাত তার বাড়ালে,
গোপনে ভিতরে ভিতরে,
সাধু বেশে চোরের মত চুরি করে,
তাই যেন এমনই ভাবে, সবাই ফুল কুড়াবে, এমনি করেই সুখ পাবে ও হৃদয় জুড়াবে আর পার পাবে সবাই ॥
প্রকাশে আড়ালে ঘরে কি বাহিরে,
কত সাধ বাসনা প্রয়োজন রেখেছে সবারে ঘিরে,
সবাই তারে খুঁজে ফিরে, ব্যাস্ত অচেনা কোটি মানূষের ভিড়ে,
কেউবা হুতাষে কিবা ঐ বিষাদে বসে শ্বশান ঘাটের বিজন নদীর তীরে,
এই আশায় তারে, কেউ যেন না হারে, খুঁজে বেড়ায় যদিরে তার একবার দেখা পাই ॥
ধোঁকাবাজি ও প্রতারনা,
বেশী ধন, বেশী সুখ কভূ ভালোনা,
দিতে হবে যার যা চাওয়ার কিবা তার সে পাওনা,
আগে মানূষ হওয়া চাই, এসো হই সবাই সবার বন্ধু কিবা ভাই,
এ বিশ্ব জুড়ে এক ঘর এক পরিবার, প্রয়োজন নবসাজে গড়িবার, বন্ধ করে যত কূটিলতা ও সব দন্দ লড়াই ॥
নহে কোন বিত্তধন,
নহে এ দেহটার সুখ বিনোদন,
চাই শুধু একখানা, মনের মত মন,
সব কাজে সবখানে তার সন্ধানে করি বিচরণ,
গোপনে অন্বেষন, ঐ জন যার সনে মিলিবে মনেতে মন,
হবে চেনাজানা দেখা ও শেখা, খুলিবে তৃতীয় নয়ন যা আরশির মতন,
কেজানে কোথায় কবে কখন, তা হবেকি না হবে মোর সাধনার সাধন ও সমাপন,
রেখেছি তার তরে, এ পোড়া মনের ভিতরে, এমন একটা ঘর খুব সুন্দর, আপন হাতে যতনে গড়াই ॥
চাহিলেই যেটুকু পাই মুঠোয়,
তা কেন একেবারে তুচ্ছ নগন্য মনেহয়,
তবে সেইকি আমার গোপন রহস্য ভেদ এই পরাজয়,
আমি যেটুকু জানি, সেই মহাপাঠ ও চীরসত্য বাণী যদি আঁধারে বন্দি রয়,
পাবো কিনা তার দরশন, প্রসারিত মোর ক্ষুদ্র আপন ভূবন, গুপ্তধন হবেকি কভূ আহরণ,
কোন কাফেলায় ভীনদেশে আমি অবিরত চড়খির মত, নাকি ঘূরছি বেড়াই অযথাই ॥  
হতেম আমি পরম ধন্য,
তাই পথচেয়ে বসে আছি আমি তার জন্য,
এ হৃদয় হতো এক উতলা নদী,
একটুখানি সুখ, ঐ হাত চোখ সুজন বন্ধু যদি,
মনের মত সেই লোক, যার সংগ লভে হবো দামী, বলোনা কোথায় আমি তারে খুঁজে পাই ॥
হয়ে আমি বিভোর মাতাল,
ভাংগা নায়ে উড়িয়ে একখান রাঙা পাল,
এমন সুজন আছে কত,
ভাগ্য ভালো হলে হয়ত যাবে মিলে, পাবে মনের মত,
বকেয়া সব দায় সব ঋন,
শোধিতে হবেই হবে তা মনেরেখো একদিন,
এসোনা ভাই, যদিরে পাই সেই আশাতে এই মন যারে চায়, নাহয় তারে আরও খুঁজে বেড়াই ॥
নহে এমন কাঙাল,
তিলের বিনিময়ে ওরে তাল,
দিতেম তারে আমি আজ নাহয় কাল,
হয়ে তার প্রেমের নেশায় হার, বিভোর ও মাতাল,
সামান্য যেটুকু আমার, আমি সবটুকু তার দিতেম তারে জনমের তরে উজার করে বিলাই ॥
কেউ কি জানে সুখ কারে কয়,
তবে কি আসলেই কেউ সুখী নয়,
নাকি সবাই করছে শুধু সুখের অভিনয়,
ঐ দলের সবাইর, ভিতরে বাহিরে দুই পরিচয়,
যেটুকু আছে আমার কাছে, তাই নিয়ে ভাই সুখী হতে হয়,
এক ছাদের তলে, এক বিছানায়,
কত দাম, কোথায় ইবা তা কিনতে পাওয়া যায়,
দুজনে দুই মেরুতে, তবু খেলায় আর খুশীতে দিনগুলি কেটে যায়,
কারো বাউন্ডেলে ছন্নছাড়া মনটা, বাহিরে রয় পড়ে আর ঘূড়ি হয়ে শুধু উড়ে বেড়ায়,
কত মোহ আশা প্রয়োজন বাসনা,
নাই যার কোন শাসন, লাগাম আর সীমানা,
ঘরের খাবার ভাল লাগেনা তাই, মজাকরে হোটেলে গিয়ে খায়,
সুন্দরী বউ ঘরে, রাতভর ছটফট করে, বন্ধু হয়নি বলে স্বামী তার অপাত্রে যায়,  
কি পেয়ে আর কি হারিয়ে,
অবেলায় এক আসামী কাঠগড়ায় দাড়িয়ে,
নিজ আদালত, নিজেই হাকিম, ভাবনার সীমানা ছাড়িয়ে,
ভিনদেশে এসে, কোন কাফেলায় মিশে, পথ ভুলে শেষে, যাযাবর মুসাফির হারিয়ে দিশে, ঘূরছে ছুটে বেড়াই ॥
ষোলআনা,
ভরপূর কানায়কানা,
কেউ ইযে তার চাওয়ার সবটুকু পায়না,
জীবন জুড়ে কত না পাওয়া, কত অনটন তাই সবে সুখী হয়না,
কেউ আলোময় প্রাসাদে,
কেউ অসীম আপদ আর নিদানের ফাঁদে,
কেউ উড়ে আকাশে মেঘের সনে ভাসে, বেড়াতে যায় চাঁদে,
বুকভাংগা অদেখা বিষাদে, কেউ চুপ করে বসে নিরবে বিজনে কাঁদে,
কেউ দস্যুর সনে রণ করে বাঁচে, কেউ ডিগবাজি খায় নাঁচে, উল্লাসে ও আহলাদে,
এইতো নিয়ম এ জগতে,
কারো শুধু অবিরাম চলা ছায়াহীন পথে,
এভাবেই সবে চলে,
কেউ বড় একা নাই সংগী সখা বা কেউ তার দলে,
কেউ আবেগে কাতর,
কারো কেউ নেই আপন সবাই পর,
কারো নাই বাড়ীঘর, একটুখানি মাথা গোঁজার ঠাই,
আছে অনটন পেরেশানি তাড়না, সে কোন যাদুর ঘের তা সবার জানা চাই,
কি তার রহস্য ভেদ,
কেন মানূষে মানূষে এত তফাৎ ও ভেদাভেদ,
তবুও কেন ভাই, দেখি তাদের মাঝে যেন কোন সুখের অভাব নাই,
আবু হকে ঐ সবারে ডেকে কয়,
সুখতো মনের ব্যাপার, আগে নিজে সুখী হতে হয়,
যেটুকু পেয়েছি হাতে আছে এখন, ক্ষতি কি সুখ বলে তাই যদি মন মেনে লয়,  
এসো মনেরে বুঝাই তারপরে,
সুখ দুঃক্ষ আর দেনাপানার হিসাবটা করে,
কারচুপি পক্ষপাত অন্তরে লুকাই,
কিসের আবার তার এত বড় হবার বড়াই,
পাওনাটা তার হৃদয়ে অফুরান হাহাকার ভাগকরে তা যার নাই ঐ সবারে দিতে হয় ভাই ॥
একদিন এক চতুর কাকে,
রহিমুদ্দির ছনের ঘরের টুয়ার ফাঁকে,
তার সখের একটা জিনিস যতনে লুকিয়ে রাখে,
কেউ যেন দেখে না ফেলে, তাই কৌশলে চক্ষু বুজে,
শেষে পরে এসে, হন্নে হয়ে আর সে তা কভূ পায়নি খুঁজে,
জানেনা কি সে চায়,
নিজেরে প্রশ্ন করে জবাব নাহি পায়,
কিছু মানূষ সব থেকেও আছে বড় দীনতায়,
বন্ধু থেকেও ঘরে, ভোগে মনের রোগে মহাশূন্যতায়,
মন এক আজব রতন, বড় দায় অবুঝ মনেরে বুঝায় ও মানায়,
মনের কথায় চলেনা, লোভে মোহে গলেনা টলেনা তারে ঘার ধরে চালায়,
এই পারে থেকে করে ছটফট হাহুতাষ,
তৃষিত হিয়া বলে, নদীটার ঐ পারে যত সুখ আমার বিশ্বাস,
যাদুর তাশ না ও যদি পাই, ইচ্ছে করে সাঁতরে আমি নদীটার ঐ পারে একবার শুধু দেখিতে যাই ॥
মনে নেশার ঘোর,
হয়ে এক চতুর সাধুবেশি চোর,
ডুবেডুবে জল খাওয়া, তবে একসংগেই হয় থাকা,
ঘরে ধেকে পরের সংগে প্রেম করে, পরকীয়া প্রেমটাকে ঢেকে রাখা,
দশ/বারর অবুঝ শিশুরা বলো কেমনে,
কালের করাল গ্রাসে, সভ্যতার অতী আধূনিকায়নে,
রয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড পেতে চায়, গোপনে ছুটে যায়, তারা তা কেমনে বুঝে ও চেনে,
আপনারও আছে দায়, যদি এ সমাজে একবার এসে যায়, ডিজিটাল বন্যতার ঐ অদেখা ঋনে,
বয়স পেরিয়ে যায়,
তবু বিয়ে করতে নাহি চায়,
মনে করে যাবে পড়ে মস্ত ঝামেলায়,
জীবন মানেতো অনেক সুখদুক্ষ অনটন দায় এ মাথায়,
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ বলে, তাইতো মানূষের মহান অবদান এ ধরায়,
আলো ও ভালোর চাষ করা চাই মাটির এ দুনিয়ায়,
একটা ভাল ফলের চারা না লাগালে কেমনে তার সুমিষ্ট ফল খায়,
নেই প্রয়োজন স্ত্রী ও সন্তান, যে বিদ্যান ও বুঝমান কে আছে এমন তারে বুঝায়,
ভেবেছেন কি একবার কি হবে সৃষ্টির পরিনতি, অনাগত আগামী দিনে মানূষ যদি হারিয়ে যায়,
যারা বিধি ও বাঁধরহারা, মজার চড়কে চড়েছে তারা, যুক্তি তর্কে তাদের আছে অনেক সাফাই ॥
স্বিঃসংকোচে নির্ভয়ে শুনেছি বলে,
ক্ষোভ, কষ্ট, লোভ ও প্রতিবাদের ছলে,
হয়ত আরও সমর্থক ও বক্তা রয়েছে তাদের সে দলে,
ষাটের প্রৌঢ়া, স্বামীর ঘরের শিক্ষিত যূবতী বউ প্রকাশ্যে কহে কেউ নহে তলেতলে,
পুরুষের কেন চার বউ, তবে নারীর বেলায় এ অধিকার ও রেওয়াজ হলোনা কেন তাহলে,
যেজন বিধবা ও বিপত্নীক, কিবা যার হয়েছে তালাক,
তার নজর, মন, পিয়াস ও থাবা, পঞ্চ পরান গোপনে পুড়ে হতে পারে খাক,
তৃঞ্চা ক্ষুধার সম্মিলিত তাড়নে, তাদের নাহয় হতে পারে এমন একটা ভাব, নাইনাই খাই খাই ॥
চালু হয়েছে লীভ টুগেদার ও ফ্রি সেক্স,
তাই বুঝি ধীরেধীরে মন্দে ধরেছে ঘিরে, হচ্ছে যেন রেকলেস,
পশ্চিম হতে পূবে এলো, সহজে সবাই হাতে পেলো, এ প্লেজার গেম অব নো গেইনটেক্স,
এসেছে দেশে গেড়ে বসেছে, দেখি কত লোকে দুধ বেঁচে মদ কিনে,
কাজের চেয়ে কথায় পটু, লাজ গিয়েছে নির্বাসনে, বলে তারা নাকি সব জানে সব বুঝে সব চিনে,
অসহায় মোরা কি আর করা,
মানবতা ও সভ্যতার বুকে নাহয় পড়বে চরা,
কলির কালের ছোয়ায় কখনযে তার হালচাল ও প্রভাব বদলে যায়, অজানায় আমরা যেন আদিম হয়ে যাচ্ছি সবাই ॥
আপদে, নিদানে ও নির্মম ত্রাসে,
ভয় নাই, সবাই কি আর বানের জলে ভাসে,
আগুনে পড়েও যায়না পুড়ে, কষ্ট পেলেও একটুকরে হাসে,
হয়না বদন মলিন, দিন হোক যতই কঠিন, থাকুক নাহয় সে উপবাসে,
কষ্ট পেলেও বিষন্ন হলেও তবু ভালবাসে,
অন্ধ হয়ে পথ চলেনা, মিথ্যা বলেনা, ত্রস্ত হয় ব্যাস্ত রয় মন্দ বিনাশে,
হুতাষ ও বিষাদে যখন গ্রাসে, তবু বুকে টেনে লয়, সোহাগী দরদী হয় থাকে পাশে,
তেমন সময় ভয়ংকর, সবাই যখন হবে অচেনা পর, আসার আগে,
সবার হয় জাগড়ন, খোলে তৃতীয় নয়ন, মরমে চরম উত্তরনের উত্তাল ঢেউ জাগে,
যদি প্রয়োজন লাগে, আমি তেমন একজন,
যার নাই বিত্তবেসাত ধন, আছে একটা উদার গহীন মন,
একেবারে ভিন ও অচিন, অনন্য মহান আছে প্রাণ অফুরান ও অসাধারন,
সে যোগ্যতা মোর আছে কিবা নাই, আমি তাই হবো তাই দেবো, তেমন পরম আপন হতে চাই ॥  
তবু স্বচ্ছ নির্মল, রয় অটল অবিচল, নকল ছেড়ে হয় আসল,
ন্বিঃস্ব তবু কাড়েনা কিছু হারেনা কভূ, বিশ্বাস ও মনের বলে অতিশয় সবল হয় সফল,
যেমনই হই আমি, যতই কমদামী, ন্বিঃস্ব অর্থব ও হাবা,
যার যেমন প্রয়োজন, কিবা যেখানে বেদনাময় শূন্যতার আঁচড় ও থাবা,
তার বন্ধু হতে চাই যার প্রিয় বন্ধু নাই,
দেবো সোহাগ ও ভালোবাসায় সে দীনতা সরাই,
দুহাতে বুকেতে জড়াই দেবো ঐ শূন্যতা আমি মধুর আবেশে ভরাই,
দোষ কি তাতে, যদি তপ্ত পাতে পড়ে একটি ফু এর শীতল বাতাসে তা যায় জুড়াই,
হোকনা তা অতী সামান্য কম,
যদি হয় ক্ষতি কি ঐ যাতনার মলম,
আর কিছুক্ষণ বাঁচার লাগি শুধু একখানা দম,
নাই যাদের বাবা, কোন বন্ধু কিবা ভাই,
তাদের লাগি নাহয় আনিব মাগি যেখানে পাই, একবিন্দু সুখ আর নিরাপদ সান্তনার একটুখানি ঠাই ॥