পর্ব – ০১


রাত এগারটা ।
নেই মোর হবেনা জানা হরষের ধুম,
আজও তবে নিত্যকার সেই চেনা শূন্যতা ও বিষন্নতার ঘুম,
এপাশ ওপাশ করে,
হয়তো হবে ওরে অনেকক্ষণ পরে,
কল্পনার কোন এক ক্লান্ত অবসন্ন প্রহরে যখন হবে রাত গহীন ও নিঝুম ।
মাটিতে তথা টাইলসের ফ্লোরে,
ভিনদেশে এসে, সাবলেটে থেকেও বেঁচে আছি শুধু মনের জোরে,
একই ভাবনার তোড়ে,
দিন কাটে ছুটে বাটে সুখের নেশার ঘোরে,
কেন অনটন, পেরেশানি ও তাড়না আমারে ঘিরে ধরে নিত্য ভোরে,
লোকে বলে সে নাকি গেছে হারি, নাই তার বাড়ী-গাড়ী কোন সম্বল এক কড়িকানা,
খেয়েও মাছ ও ডালভাত, ঠিকঠাক তার লেখিবার হাত, ষোলআনা ফিটফাট পোষাকের বাবুআনা ।
কতযে নাই নাই,
কারে বলি কার কাছে যাই,
নিরাপদ সুখ ও সম্মানের একটুখানি ঠাই,
কেন মোর এ বেহায়া দেহ-প্রাণ কেবলই শুধু যাচে তাই,
নাই আনন্দ আরাম, কোন সুনাম ও দাম তবু করে বেড়ায় সুখের বড়াই,  
একটু প্রশান্তির ঘের, হেন মম সবটুকু সুখ-দুঃখের, একজন ভাগিদার প্রিয়জন কোথা পাই ।
তার ঠিকানা আমার জানা নাই,
জানা নাহি সন্ধান আনচান পেরেশান কোথা যাই,
কার লাগি এত টান, কোন্ আশায় কেন তবু তাকেই শুধু খুঁজে বেড়াই,
লম্ফ দেবার ও পাঞ্জা লড়ার সে বয়স নাই বলে নাকি বারবার চমকে উঠি ও থমকে দাড়াই ।
এইতো জীবন লয়ে কিছুটা ফাঁকি,
ঐ কষ্টগুলি পিছনে রাখি যে পাওয়া আজও রয়েছে বাকী,
কত ধূসর কালিমা নিরবে গোপনে ঢাকি হায় সাজাতে চায় মরমে রঙের ছবি আঁকি,
অগণিত অসহায় ও দুঃখী মানুষেরা বেঁচে আছে লয়ে তাই,
চাহেযে তা সবাই দেখিয়ে লোকেরে করিবে তার বিদ্যা, রুপ, ধন আর সে জৌলুসের বড়াই ।
পাতার ছানি মাটির ঘরে,
সাঁঝের বাতির শুধু ঐ এক প্রহরে,
পিদিমখানি যদিরে আঁধারে আচমকা যায় হারাই,  
ভালকরে প্রিয়ার, প্রিয় মোখখানি দেখিবার ক্ষুদ্র সে আলোটুকু আর নাই,    
বলো তবে ভাই কে মেনে লবে তাই, অতি সাদাসাটা ও অতি সাধারণ ঐ সে ধূসর জীবনখানা ।
অনেক দূরের এই আবাসন,
তবু জানিনা কেন ভালো লাগে নিরব নিরজন,
সামনের কামড়ার এক কোণে, আমার ঐ সে একান্ত প্রিয় নিদ্রাংগন,
জীবনের সাতরঙ বাসনার বিড়ম্বনা,
লয়ে সে ব্যর্থতার হয়না যেথা আর কোন ঐ গ্লানিময় সমালোচনা,
সে কি তবে হিজরত নাকি স্বেচ্ছা নির্বাসন, যেথা নেই কোন সুহৃদ ও স্বজনের আনাগোনা ।
ঠিকমত ভাড়া দেওয়া হয়না যখন,
বাথরুমে ও রান্নাঘরে অকারণ হয় কতনা বিড়ম্বনা ও জ্বালাতন,
তা নাকি বড়লোকি হালচাল হলেও ছিন্ন ও পুরাতন,
যে গৃহসাজ, বিষন্ন করে বিরক্তিভরা কুটুমের মন আর তার ঐ দুখানা নয়ন ।
বিজন এক আপন ভুবন,
ইচ্ছে করে সকলের কাছ থেকে দূরে পলায়ন,
নাই কেহ আর যেথা দেখিবার ও শুনিবার অস্ফুট সে হাহাকার সারাক্ষণ,
রয়েছে পাতানো আমার, বিদেশী স্প্রীংএর গদি আঁটা এমন আজব একখানা নিঃসংগ নরম বিছানা ।


পর্ব - ০২


ঘুমাতে যাবার সময় ।
মশারি টানানো হয়েছে শেষ,
টান টান করে দেওয়া চাদরখানা লাগছে বেশ,
আমার কল্পনার সে এক অন্য জগত, নিরব ও বিজন আপন ভুবনের বিশাল দেশ ।
কত প্রাসাদ ও সোনার সিংহাসন অদেখা অনলে পুড়ছে,
তুমুল বেগে মাথার উপরে সিলিং ফেনটা শো শো শব্দ করে অবিরাম শুধু ঘুরছে,
কেজানে হয়েছিল কি মতি,
হঠাৎ চোখে পড়লো একখানা সুন্দর প্রজাপতি,
আপন গতিতে কেজানে কোন খেয়ালে নির্ভাবনার হেয়ালে সারাটা ঘরময় উড়ছে ।
ভয়ে আতকে উঠলাম তাকে বাঁচানো যায় কিভাবে,
এখুনি হয়তো প্রজাপতিটা পাখার সংগে বাড়ি খেয়ে আঘাত পেয়ে মারা যাবে,
সে ভাবনায় কাতর হলাম,
তড়িঘড়ি আমি ফেনটা বন্ধ করতে যাচ্ছিলাম,
না আর পরালাম না, আমি যেন ওরে শেষে হেরেই গেলাম,
তার আগেই আমার ঐ সে দূর্ভাবনার নির্মম সত্যতাটার প্রমাণও পেলাম,
মনটা কষ্টে ভরে গেলো, প্রজাপতিটা ফেনের সংগে লেগে নিমেষে কোথায় ছিটকে পড়লো ।
তবুও গিয়ে ফেনটা বন্ধ করলাম,
ফেনের সংগে প্রজাপতিটার আঘাতের শব্দ পেয়েছিলাম,
তবে আহত হয়ে সে কোথায় পড়লো তা ঠিক দেখতে পাইনি, তাই তাকে খুঁজতে লাগলাম,
ভাবছি গেলো সে কোথায়,
এদিকে ওদিকে আশপাশের দৃষ্টির সীমানায়,
আহত প্রজাপতিটাকে বেশ কিছুক্ষণ খোঁজলাম, কিন্তু কিছুতেই তাকে আর খুঁজে পেলাম না ।
আমার আহত মনটা হতাশ হলো,
অব্যক্ত একটা ক্ষুদ্র কষ্ট বুকের ভিতর লেগে রলো,  
বনবাদার ছেড়ে কেন মোর ঘরে, তবে কি ওরে এসেছিল সে পথ ভুলে,
নাকি সংগীর সনে অভিমান করে, গোপনে পালিয়ে মনের দুয়ারে রেখে কাঁটা ঘরের দুয়ার খুলে,
সহসা আমার মনে হলো উদয়, এমনি কত সে এলোমেলো অগুছালো প্রশ্নময় ভাবনা ।
মশারির ভিতরে ঢুকবো, ঠিক সে সময় নজরে এলো,
আচমকা প্রজাপতিটা কোথা হতে উড়ে এসে আমার মশারির গায়ে বসলো,
মনেমনে আমি খুউব খুশী হলাম,
এবার তার খুউব কাছে গিয়ে ভালভাবে লক্ষ্য করলাম,  
কিছুটা দূর হলো মোর কষ্টের ভাবনা,
মরণের হাত থেকে বেঁচে গেছে কুটুম আমার যখন হলো জানা,
আর চোখেমোখে কিবা ডানায় তার, খুঁজেও বারবার কোন আঘাতের চিহ্নইতো চোখে পড়লো না ।  
যখন আসে পরাজয়,
কত দেখা ও জানা মিথ্যে প্রমাণিত হয়,
তার গায়ে যে প্রচন্ড আঘাত লেগেছে সেতো ওরে নিশ্চয়,
মরমের আঘাত সেতো কভু ওরে দেখিবার কিবা কারেও তা দেখাবার মতও নয় ।
হয়নি দেখা চল্লিশ বছর,
তবুও কেনরে তারা দুজনে হয়নি আজও পর,
এদুটি চোখে লেগে থাকা যে সোনা মোখখানি ছিল জগতের সেরা সুন্দর,
কষ্টের স্মৃতিগুলি মলিন, হয়ে মরমের ভারি ঋন, মনের ভিতর শিকাটা নিথর আজও সাজানো থরে থর ।
ঘরের ভিতর হয়তো হয়েছিল কোন ঝড়,
নেই যোগাযোগ ছিলনা বাহক তাই, কেউ কারো আর পায়নি খবর,
পুড়ে যাওয়ার পর বন্ধুয়ার সনে কল্পনার মধু বাসর,
কত নিন্দা ও কটু কথা, মনে লুকিয়ে শত ব্যথা, তারপর দুজনেই শেষে পরের সনে বেঁধেছিল ঘর ।
বুঝি মোর যেন ওরে শুধু তাই মনেহয়,
লয়ে এক মাথাভারী ঋন হয়েছিল একদিন যে প্রেমের পরাজয়,
বিরহে হৃদয় হয়েছে পাথর, তবুও কেনরে তার কথাই শুধু কয়,
হেরে যাওয়া ঐ অমর ভালবাসার, আজিকে সঞ্চিত তার বকেয়া সুধার করতে বিনিময়,  
এত কষ্টের পর সেতো আর মনে থাকার কথা নয়,
ব্যর্থতার ঐ করুণ স্মৃতিগুলি তবু আজও কেনরে ঐ কোটরে দর্পে বিচরে অক্ষয়,
কারেও বলা যায়না এমন যে কষ্ট-বেদনা, ভুলা নাহি যায় অনুভবে ও চেতনায় আজীবন সংগী হয়ে রয় ।


পর্ব – ০৩


তবে কি ওরে সে ছিল আমার সেই ফুল,
পুড়ে পুড়ে এতদিন পরে, অভিমান ভরে বুঝি হয়ে কষ্টের আবেগে আকুল,
আজিকে এখন বসে দুইজন এক ভুবনের দুই প্রান্তে,
কেউ পারেনি হায় কেমনে কার দিন যায়, কেবা আসলে কোন সুখে রয়েছে ডুবে ভুলেও তা জানতে ।
কেজানে কোন্ সে অজানা ভুল,
দিচ্ছে নিরবে গোপনে তারা আহা কেবা কোন মাসুল,
এমন কত স্মৃতি আছে সুখেও কাঁটা হয়, বিঁধে রয় আজীবন দেয় শুধু পীড়ন ও তাড়না ।
রঙ মাখানো সুখ আর সুখ,
নাকি তা গোপন দুঃখে ভারী হয়ে থাকা একখানা পোড়া বুক,
গোপন অনুভবে ও চেতনায়,
তা শুধু তাড়না দেয় ও নিঝুম গহীনে কেবলই তাড়ায়,
সেতো হতেও পারে এমন কোন ভুল ধারণা, এ চোখে যা কভু আসলে দেখা যায়না ।
মনের আকুতি লয়ে কোথা যাবো,
কে জানিত হায় তখন আমি বেখেয়ালে দূর বিজনে হারাবো,
আশা হয়না মনে, আর কি এ জীবনে, কভু আমি ওরে তাকে মনভরে দেখতে পাবো,
বড় ইচ্ছে হয়েছিল ওরে,
পরম সোহাগ আর যতন ও আদরে,
ঐ আহত প্রজাপতিটাকে এনে ধরে,
একটু সেবা করবো আর তাকে আমি একটুখানি পানি খাওয়াবো,
তারপর তাকে বারান্দায় টবের কোন একটা গাছের ডালে বা পাতার উপরে বসিয়ে রেখে আসবো ।
তাকেতো ধরা যেতো হুট করে এক থাবায়,
তাতে যদি আবার হিত না হয়ে তার, বিপরীত কিছু  ঘটে ও ক্ষতি হয়ে যায়,
তুলতুলে তার ক্ষুদ্র দেহটা আরও কাতর হয় আবার ঐ ঝটকা ছোয়ায়, যা হয় মরার উপর খাড়ার ঘায় ।    
ভেবে আমি তাকে এই,
আলতোভাবে ধরতে গেলাম যেই,
যায় অল্প দূরে, বারবার সে উড়ে লাফিয়ে ধেই ধেই,
তিন/চার/পাঁচবার বিফল ঐ চেষ্টার পর আমি ক্ষান্ত হই মরমের আকুল আবদার কাজে সেই ।
কেন এই ছিল তার কপালে,
আহা রাত পোহালে দেখি আমি তারে অতি সকালে,
বেসিনের পাশে মেঝেতে পড়ে, রয়েছে তার নিথর নিস্পাপ দেহটা মরে, সে আর ওরে এজগতে নেই ।
তার পরদিন হায়,
দেখি আমি ঠিক রাত এগারটায়,
উড়ছে আর ঘুরছে এসে মোর পাশের কামড়ায়,
আরেকটা প্রজাপতি আকারে সামাণ্য বড়, তবে অবিকল আগের দিনেরটার মতই ছিল তা দেখায় ।
বুঝি খুঁজতে এসেছে সে সংগীকে তার হায়,
তবে সে কেমনে জানিলো, বন্ধুটি তার এসেছিল গতকাল ঠিক এ বাসায়,
মৃত্যু সংবাদটি কেন তবে হয়নি জানা তার,
কেমনে আহারে আমি তাহারে সে খবর বলি, তা বলা কি এতই দরকার,
দেখতে বা শোনতে কারো কোন হাহাকার মনযে নাহি চায়,
নাহোক কোন কষ্টের আহাজারি আর, কিবা কোন কান্নার রোল কোনদিন এই মোর বিদগ্ধ আংগীনায় ।
অনেক অনুরোধ করে ও বহু চেষ্টায়,
দেওয়াল হতে তুলে এনে যেন ভয় কিবা ব্যথা সে নাহি পায়,
আহারে অনেক তোয়াজে তাহারে, আমি বসিয়ে মোর বিছানার ঝাড়ুটার মাথায়,
অনেক কষ্টে শেষটায়,
তারে আমি ওরে জানিয়েছিলাম বিদায়,
এমনি করে পরম আদরে বিনয় ভরে নিয়ে গিয়ে তারে বারান্দায়,  
বন্ধুয়ার মৃত্যু সংবাদখানি, জানি আমি তা এক শোকবাণী, হয়তোবা এখনও যা পৌছেনি তার জানায় ।


পর্ব – ০৪


যারা ওরে আহত,
আমার কিবা ঐ প্রজাপতিটার মত,
রয়েছে লুকানো কোন না কোন অদৃশ্য বেদনাময় ক্ষত,
কিছু শূন্যতা ও বিষন্নতা খাচ্ছে কুড়েকুড়ে যেন গোপন ঘরে অবিরত,
সহিছে যেথা অদেখা দুঃসহ কোন কষ্ট-বেদনার ভার কিবা বহিছে ঝড় প্রতিনিয়ত,
তারাই ভাল আছে ও ভাল থাকে ওরে, যারা সবারে ক্ষমা করে, সব মেনে লয়, মুছে ফেলে ও ভুলে যায় ।
কত জনেরইতো এ জগতে কতকিছু নাই,
ঘর ভেংগেছে, কপাল পুড়েছে ও কত ধনজন ও রতন গিয়েছে হারাই,
আসুন তবে আমরা সবে চেষ্টা করি,
ঝড়ের পর ভাংগা ঘর মেরামত করি কিবা তা নতুনে আবার গড়ি,
কষ্টগুলি বসনতলে ঢাকি, আশায় থাকি ও ঐ নাইগুলি সব পরম মহান দাতার কাছে চাই ।
এইতো জীবন ওরে এইতো জীবন,
কত ধন, বিদ্যা ও ক্ষমতার আসন, কত চুরি, পর ধন হরণ,
তবু সিনাজুড়ী, জুলুম, অন্যায়, অবিচার, বাহাদুরি, সুখ-আরাম ও বিনোদন,
এলে নিদান, দুরন্ত ঝড় কিবা অদেখা সমন,
দেখি শূন্য হাতে সব ফেলে, অচিন দেশে সকলে যায় চলে, তারেইতো সবে বলে মরণ ।
আছে কত অনটন, পিছুটান ও দায়,
যাদের কেউ নাই কিছু নাই, হেন কোটি মানুষওতো জগতে বেঁচে আছে যতই তারা অসহায়,
চলো যাই তাদের কাছে,
ঘুরে দেখে আসি ওরে তারা কে কোথায় কেমন আছে,
কি করে চলে তারা ও কিবা খায়,
কোন বলে কিবা কৌশলে এত কষ্ট-বিফলেও কিসের আশায়,
হাট-বাজারে, ডোবার ধারে ও নালার পারে, খোলা পথে-ঘাটে কেমনে তাদের রাত কাটে ও দিন যায় ।  
ছোট্ট এ জীবনখানা,
হলোনা দেখা শেখা চেনাজানা,
রইলো আজও যারা অবুঝ, মূর্খ ও কানা,
নিশ্চয় বুঝিবে পিছে, কেনযে হলো মিছে তা ষোলআনা,
অদেখায় ও অজানায় রইলো চেপে মাথায়, আহা কতযে অনাদায় তাদের ঐ দায়-দেনা ।
বিভোর অচেতন অ মানুষগণ,
দুদিনের তব এ রঙমাখানো ও লোভ দেখানো জীবন,
কেউবা কারচুপি, অপকৌশল ও অসততায়,
দাড়িয়ে শেষ হিসাব ও শাস্তি-পুরস্কারের শেষ বিচারের কাঠগড়ায়,  
দেখিবে সবে বাপ-বেটা স্বামী-স্ত্রী ও বন্ধু-ভাই কেউযে কারো হবেনা আপন ও লবেনা দায়,
লোকে সুখ-আরাম, ধন-জন, বিনোদন ও সাফল্য পায়,
বলুক যে যাই আসলে হয়যে তাই, মিথ্যে নয় মানুষের আপন ভাগ্যগুণে কিবা তার কর্ম্ম ও যোগ্যতায় ।
কেউ বেশী কেউ কম,
ঘরে ঘরে এইতো হয় ওরে তাইতো নিয়ম,
নিয়তির ফেরে বা ভাগ্যের জেরে এ জগতে ঘটে আরওযে কত অনিয়ম,
অল্প সুখে ও অল্প ধনে মন ভরেনা, তাই বুঝি লোকে আরও অনেক বেশী পেতে চায় ।
আবেগ ও আকুলতায়,
কেউবা হতাশায় তার সীমানা হারায়,
অল্প ধন ও অল্প সুখে বোকা মনগুলি ভরেনা কেনরে হায়,  
তাই বুঝি লোকে আরও অনেক বেশী পেতে চায়, হাত বাড়ায় ও বড় পাত বিছায়,
কেউবা মোটেও নয়, কারো জয় কারো পরাজয়, কেউবা আবার ঢের পেয়েও শেষে তার সবই হারায় ।
পাওয়া না পাওয়ায়,
কিছু আশা ও কিছু হতাশায়,
কত আশাহত মন হয়না বিরত শত নিরাশায়,
আহা অবুঝ মনেরে তবু কেনরে কিছুতেই বুঝানো নাহি যায়,
আবু হকে ডেকে বলে ওরে দেখদেখ ঐতো বেলা ডুবে যায়, এখনই সময় শেষ সুযোগ সুপথে ফিরে আয় ।  
ঘরভরা এত মানুষের ঘরে,
দুরন্ত দামাল সে এক ঝড়ের কবলে পড়ে,
হারিয়ে ফেলেছে তার, আপনার চেয়েও আপন যে বন্ধুটিরে,
মনেমনে কথা কয় ও পত্র লেখে, আজও কেন ছবি আঁকে ও স্বপ্ন দেখে তাকে ঘিরে,
কেন তারে আর, কে আছে বুঝাবার, বুকে লয়ে মিথ্যে আশার নিরব হাহাকার আজও অসার খুঁজে বেড়ায় ।
আর কোন আশা নাই,
কেন জেনেও বুঝেও তবু সে তাই,
বিজন গোরস্থানের পাশে একাকি নিরবে রয়েছে দাড়াই,
জ্বেলে তার আহত ক্ষিণ আশার,
একটা মাটির পিদিম, ক্রমশঃ হয়ে আসা হিম দেহটা তার,
মিট মিট করে তবু জ্বলছে,
আর বিড়বিড় করে কি যেন কার তরে শুধু সে ওরে বলছে,
মমতায় মন ভরে যায় কিছু দিতে মন চায়, হেন নিভুনিভু শিখায় যেন এই বুঝি তার প্রাণটা যায় ।  
বিরহী বন্ধু একজন,
অবুঝ সরল বোকা ও পাগল ঐ মন,
কাটেনা দিন নয়ন-বদন বিমর্ষ মলিন, হয়না প্রভাত অনেক লম্বা রাত যেন এমন,
দিবা-নিশি ক্লান্ত সারাক্ষণ পথ চাওয়ায়,
হৃদয় দুয়ার খুলে, কেজানে রয়েছে মজে কোন্ সে ভুলে, বসে আজও অবুঝ আকুল কোন্ সে আশায় ।