সখিগো - কবে সে আমার হবে, আমি কেমনে পাবো তারে ॥
মধ্যখানে বিশাল নদী,
শুকিয়ে চৌচির এক হতো দুই তীর কভূ যদি,
দৌড়ে যেতাম আমি বরষায় ভিজে ও গ্রীস্মে ঘামি নিশীদিন নিরবধি,  
গিয়ে ছুটে এ সমাজ শাসন বাঁধন টুটে বদনাম হয়তো খুঁজে পেতাম আমি মন দিয়াছি যারে ॥
নদীটার কূল নাই,
লোকের মোখে শুনেছি আমি তাই,
সে নাকি সেদিন বেঁচেছে প্রাণে পালিয়ে পেয়েছে ঠাই,
এক নিশী রাইতে বিচ্ছেদের গীত গাইতে গাইতে যাই রাক্ষুসী যমুনার ঐ পারে ॥
আমি রুপসী বলে,
পঞ্চায়েত সরদার নানান ছলে,
আমারে বিয়া করিতে চায় ভাইয়েরা তার দলে,
ঐ খুটার বলে সদাই, মনেহয় তারা সবাই বুকটান করে চলে,
আমার সাত ভাই,
তাদের ভিটাজমি কিছু নাই,
বেঁচে আছে গাঙ্গে মাছ ধরে, মাছ বেচে খাই,
শুধু এইতো কামাই, তবে আর কিসের বড়াই, হায় বুঝেনা মায় কত বলেছি আমার মারে ॥
অন্য ঘরে আমারে দিলে বিয়া,
মরব আমি রাখি বলে গলায় দড়ি দিয়া,
সে ই আমার স্বামী,
কোটি মানুষের চেয়েও দামী,
এই দেহটা আমার,
আমরা দুজনে মনেমনে হয়েছি দুজনার,
দিয়াছি যখন তারে এ দেহমন একবার, এ জীবনে দেবোনা তা আর এ ভূবনের অন্য কারে ॥
বাপ ভাই কেহ নাই তার,
আহা ঘরে তার দুঃখিনী মা আর,
বাহিরে এক অভাগিনীর অস্ফুট হাহাকার,
সুখী পরিবার ভাতেমাছে,
ছোট্ট একটা ঘর ও এক পাঁখি জমিও আছে,
আড়ং এ দোকান ও নগদ টাকা পূরো দশ হাজার তার কাছে,
দেখতে সুন্দর এ জগতে তার সবাই পর, মজেছে আমার মন, ঐ বন্ধুয়ার বদন আর বচন বাহারে ॥
আগেই সবারে রাখি বলে,
ঠিকানা পেলে আমি তার কাছে যাবো চলে,
আমি নাকি তার গলার মালা আর নিশীরাইতের তারা,
বুঝেনা মোর মন অবুঝ এমন আর কেউ আছে আপন তারে ছাড়া,
সে আমার আসমানের চাঁন, না দেখিলে ছটফট আনচান মন হয় দিশেহারা,
দুজনে দুজনার অলংকার সোহাগ উপহার জানের জান না পেলে যেন দুজনেই যাবো মারা,
কেমনে ভূলি তারে, উথাল এ দেহখান আর আমার তৃষিত পঞ্চ পরাণ সারাক্ষণ যপ করে যাহারে ॥