ভূমিকা - এটি জীবন থেকে নেওয়া অর্থাৎ তৃতীয় নয়নে দেখা একটি জীবন দরশন মূলক কবিতা । বিচিত্র রঙে সাজানো এ বিশ্ব জগত এবং জীবনের এক অসীম অপার শাশ্বত ও সার্বজনীন রুপ এর কলম-চিত্র যা হয়তোবা সকলের দৃষ্টিতে একই রকম না’ও হতে পারে । হয়তো কারো কাছে তা তেমন ভালো না’ও লাগতে পারে, আবার কারো কাছে লাগতেও পারে দারুণ চমৎকার, তাই তা যাচাইয়ের সুযোগটা না হারিয়ে একবার পড়ুন ।
আমাদের এ দুনিয়ার জীবনের আগেও ছিল আরেকটা জীবন । তারপর চলমান ও দৃশ্যমান এ দুনিয়ার জীবন  একদিন মরণে হবে যার হঠাৎ অবসান এবং মরণের পরেও রেয়েছে অন্য আরেকটা বিশাল জীবন । অন্তরালের বা অদৃশ্যমান ঐ দুই জীবন ও দুনিয়া দুটি আমাদের অদেখা ও অজানা, তাই তা গভীর রহস্যময় । হতে পারে তা যেমন খুবই সুন্দর, সুখ-শান্তি ও আনন্দময় ঠিক তেমনি অসীম দুঃক্ষ-কষ্ট, লাঞ্ছনা ও ভয়ংকর যাতনাময় । তাই আসুননা, একটা কৌতুহলি মন নিয়ে আমাদের এই তিনটি জীবন ও সম্পূর্ন ভিন্ন রুপের তিন দুনিয়াকে ঘুরেফিরে একটু ভালকরে দেখি ও জানি । ক্ষতি নেই বরং রয়েছে তাতে অনেক লাভ ও প্রাপ্তি ।
এটি একটি আজব চিঠি । এ চিঠি প্রভুর কাছে ভক্ত গোলামের চিঠি । মরহুম প্রিয় বাবামায়ের কাছে এক সন্তানের চিঠি । এ চিঠি বাবামায়ের অব্যক্ত ও অস্ফুট কষ্টের কথা বিশ্বময় ছড়িয়ে থাকা অবোধ সন্তানের কাছে পাঠানো বাণী ও বার্তা । এ চিঠির জবাব পেলে হতে পারে মহামূল্যবান অলৌকিক কিছু দৃশ্যমান । হয়তোবা কারো হয়েও যেতে পারে অজানাকে জানা এবং কেউবা পেয়েও যেতে পারেন ঐশী আলোয় দিব্যমান অসীম অপার সকল সুখ-শান্তি ও ভালোর সন্ধান ।
ওরে ভাই কাব্যের পরিসর বা আকার দেখেই ক্লান্ত হয়ে যাবেন না যেন । কাগজে-কলমে অংকিত বৈচিত্রময় জীবনের পাঁচমিশালী গল্প-চিত্র একটু বড়তো হবেই । পঞ্চরসের জীবনের গল্পের স্বাদ পেতে হলে একটু সময়তো দিতেই হবে । একবার আমার বড় কবিতা পাঠ করেই দেখুননা - হয়তো কখনও তা মনেই হবেনা বিরক্তিকর বা সময়ের অপচয় । বরং তারপর কি হলো, লেখকের আর কি বক্তব্য এলো কিবা আরও কি জানার বাকী রয়ে গেলো ঠিক এমনই একটা প্রবল জানার অন্বেষায় হয়তো আপনাকে টেনে নিয়ে যেতেও পারে তার প্রান্ত অবধি । কিছু পেতে হলে ভাই কিছু দিতেই হয় - এ প্রথাতো চিরন্তন বিনিময় ।
অনেক সময় দিয়ে লেখক যা লিখেছেন তাতে একটু সময় দিয়ে হয়ত আপনি পেতেও পারেন এমন কিছু মূল্যবান পাঠ যা নহে বিজন বিরান তৃণহীন মাঠ বরং যেথা ছড়ানো এমন কিছু সোনালী বাণী যা হয়ত রাখবে ধরে কেউ যেন না যায় কর্দমাক্ত ড্রেনে কিবা গভীর কুয়ায় পড়ে, অধিকন্তু আলো ও ভালোয় তাদের আনবে টানি । একবার তা পরখ করতে গিয়ে নাহয় একটু ঠকলেনই তাতে কিইবা এমন আসে যায় । ক্ষুদ্র এক টুকরো রতনের আশায় কতজনে ইতো বিশাল ছাইয়ের টাল ঘাটে আর তা উড়িয়ে দেখে । আপনিও নাহয় কৌতুহল বশতঃ কিবা অনুসন্ধিৎসু হয়েই সেই প্রত্যাশায়ই দুচারটা ছাইয়ের টাল একটু ঘেটে দেখলেন ।  


পর্ব – ০১


চোখে জল নেই,
তবু ভুলিতে পারিনা যেন আমি সেই,
আমার অক্ষমতা আর ঐ কষ্টের স্মৃতিগুলি কখনো কিছুতেই,
দিনের শেষে হিসেব করতে এসে, কে যেন খুব কাছে বসে গোপনে মোর মনটারে কাঁদায় ।
প্রিয় বাবা ও মা,
তোমরা মোরে করে দিও ক্ষমা,
রয়ে গেছে অন্তরালে আজও অন্তরের কোটরে কত কষ্ট জমা,
কত দায় আজও অনাদায়, অপূরণ রয়েছে কত সাধ,
জায়গা নেই যা বলার, তোমাদেরে চিরতরে হারাবার ঐ সে জমাট বিষাদ,
শেষে সে ভাংতে না পেরে, ঐ চেষ্টা ও আশা দিয়েছে ছেড়ে, বন্দি হয়ে লোহাড় খাঁচার শক্ত গরাদ,  
ছিল কত ভুল ও দীনতা অকূল, মম অপরাধ গুলি স্মৃতির ঝুলিটা খুলি, সতত সহসা মনে পড়ে যায় ।
অল্প বয়সের দোষে,
কতকিছু চেয়ে শেষে না পাওয়ার রোশে,
কত কটু কথা ও দূর্ব্যবহার,
করেছি কতনা ওরে বেয়াদবি ও অনাচার,
কে খুলিতে পারে সাধ্য কার আহারে, রুদ্ধ বিধাতার যে দুয়ার ।
কারো ইচছা ও চেষ্টার নেই কোন দাম,
বুকে লয় তবু আশা ও ভয় ঝরিয়ে ঘাম অবিরত করে যেতে হয় শত ভাল কাম,
আলোয় ভরা ভালো জীবন, খোদার চরণে নিজেরে সমর্পণ, মেনে লয়ে তার গোলামীর বশ্যতা ও হার ।
এত ভোগ-বিনোদন আর,
দুদিনের জীবনের কত রঙ আর শত বাহার,
যদিরে দাদনের মহাজন, ফিরিয়ে দিতে কয় সব ধন কিবা তার হিসাব চায়, আছে কি তা কারো ভাবনায় ।
দীনতা ও বিষন্নতার সব ঘাট, হয়েছি কিরে পার,
পাইনিতো আজও ধন যা প্রয়োজন, মানিক-রতন এক পাহাড়,
বলে নিঃস্ব একা, বুঝি হয়েছে দেখা, বেশী সহন আর বহন শত দুঃসহ ঐ ভার,
হয়েছে দেখাজানা, কানায় কানায় ভরেছে মন, করেছি কবরে শয়ন পেয়েছি দরশন আমি তার ।
তবু যেন কূল নেই ঐ ভাবনার,
যাই লোকে কয় হোক জয়-পরাজয় জীবনের তা মলিন বাহার,
ফুটেছে মাগো তৃতীয় নয়ন, তবু নাকি হয়েছে সাধন তাই কহে মন বিপুল আমার,  
একবার চলে গেলে পরপারে হায়, কেউ ফিরে আসেনাতো আসবেনা আর এ মাটির দুনিয়ায় ।
বাবামা দুজনই আমার,
ছিল সুফি সাধক সুজন সত্যের সমাহার,
হয়ে তারা বহনের সাহসী বীর ও সহনের অটল পাহাড়,  
ছিল শত নাই আর টান,
তবু না করে কোনদিন কভু অভিমান,
ধারেনি ধার ছিলনা কোন হাহাকার, নিরবে সয়েছে বয়েছে ভার, করেছে এমন জীবন পার ।
কতযে আমার ভুল হয়ে গেছে,
সেদিনতো বুঝিনি আমি নিরবে তারা কত সয়েছে,
আর যেন বহিবার মত নয়,
কেন আজিকে আমার তাই মনেহয়,
ছিলনা প্রতিবাদ ক্ষোভ,
কোন আক্ষেপ মোহ কিবা লোভ,
বিবেকের কাছে হয়ে গেছে মোর হেন দায় আর বোঝাটাও যেন তার অতিশয় বেশী ভার ।


পর্ব - ০২


আরকি পাবো ফিরে ঐ দিন,
তবে আর কেমনে বলো শোধ হবে মম ঋন,
তা কেমনে হয়, সব সাধগুলি ছিলযে মোর মহারাজার ইচ্ছা ও করুণার অধিন ।
সব গোলামের কাছে,
ধনজন ও এ জীবনের মালিক কতযে তার পাওনা আছে,
বাবাকেও বলিও মা,
আমারে যেন করে দেয়গো ক্ষমা,  
খোঁজে খোদায় কোন্ বাহানায় বান্দারে তার ক্ষমা করা যায়, দয়াময় খোদায়তো তাই করিতে চায় ।
বলো কে বলেছে,
তোমাদের ওরে মরণ হয়েছে,
মাটির খাঁচার কায়াটাই শুধুযে বদলে গিয়েছে,
একাকার হয়ে শুধু কামাইটুকু বুকে লয়ে মাটিতেই তা আবার মিশেছে,
নাই কোন চিহ্ন, হাড়গুলি সব এলোমেলো ও ছিন্নভিন্ন, আজিকে যে বিধাতায় এমন করেছে,
সেতো তারই বচন এ জীবনেরও মরণ রয়েছে,
আবার পরপারে মাটির এ দেহটারে দিবে জীবন, যে প্রাণ করেছে হরণ ও এ বিশ্বটারে বড় সাধ করে গড়েছে ।
মহাপুণ্যময় ঐ জীবন,
হলে সব পরীক্ষায় পাশ, ভাগ্যবান ঐ সে জন,
মহারাজার অতি প্রিয় দাস, একটা এমন গাছের চারা যে গিয়েছে করে রোপণ,
তার মরণ নাই, সেকি আজব চমৎকার সব হারিয়েও তার চলছে অঢেল কামাই, পুণ্য সাধন ও আহরণ,
অন্তরালে অদেখায়, লভেছে সে এক নতুন জীবন, মনে নেই কোন আগের ঘটন, ভিনদেশে অচিন দুনিয়ায় ।
হে খোদা পরম মেহেরবান,
এ জীবন ধনজন রুহ বা আত্মা ও প্রাণ,
যার ধন তারে করে সামাণ্য দান কত পাপীতাপী পায় ত্রাণ,
তব রোশনীর ঝিলের জলে ডুবিয়ে নেয়ে দীক্ষা ও দিশা পেয়ে লভে সুখ-শান্তি মংগল ও কল্যাণ ।
অবিরাম আসা ও যাওয়া,
কত হারানো আর কতযে তার মজার পাওয়া,
সবকিছু হয়েও কম,
যে বেশী বহে, সত্য কহে ও বেশী সহে হরদম ।
লোক সমাজে,
সকল কথায় ও কাজে,
সেইতো সবার সেরা ও উত্তম ঐ প্রাণ,
ম্রিয়মান রলেও লাজে, দৃশ্যমান হলেও অধম জীবনে মরণে হয়ে রয় সে চিরমহান,
ঢেলে দেয় কেড়ে নেয়, আবু হকে কহে, যেথা উথলে উঠে ও সদা বহে চলে বান তার অপার করুণায় ।  
ছিল যার এত দান,
সাজাতে দুনিয়ার নশ্বর ঐ জীবনখান,
দুদিনের ধার কত মজাদার শত নেয়ামত আর দাদন অফুরান ।
হে বিধাতা তোমার,
চির অক্ষয় ও অমর পূত পবিত্র তব সত্তার,
ডাক শুনে বেচুইন পেরেশান,
অদেখা সূতাটা ধরে, যখন তার ইচ্ছে করে দিয়েছে দেয় টান,
এক নতুন সফর শুরু নতুন এ জীবনখান,
পুরাতন হিসাবের খতিয়ানখানা নিমেষে করে দিয়ে গুরু দুনিয়ার পালা অবসান ।


পর্ব - ০৩


সে যে সারাবেলা,
বিশ্ব বিধাতার দেয়ানেয়ার এক কুদরতের খেলা,
করুণায় মহান,
একক ও মহা ক্ষমতাবান,
সব হারিয়ে ও বদলে গিয়েও সবখান কেউকেউ হয়যে অতি লাভবান,
যে তার কারিগর নিখুঁত সুন্দর আর, ষোলআনা মালিকানা যার এই সাত জমিন ও সাত আসমান,  
দাতা মালিক ও মহাজন যদিরে যেভাবে যখন চায়, দিতে কিবা নিতে কে আছে এ ধরনীতে তারে ফিরায় ।
বিধাতায় দেয়নি আজও তেমন ধন,
মাগো কত দায় অনাদায় ও মিটেনি কত বড়বড় প্রয়োজন,
জানিনা কেমনে কবে, এ জীবনে আর কভু হবে কি নাহবে, ঐ মোর পাপ মোচন ।
নাহয় নাহোক ধন,
তব করুণায় কানায় কানায় ভরেছে আঁখি-মন,
বিধিরে তব মহিমার দরবারে মোর লিখে রেখো এ শোকর ও নিবেদন,
হে মহান এমন জীবন করো দান, নামখানা মম হয় ও যেন তা রয় তব খাস গোলামের তালিকায় নিবন্ধন ।
তোমার শাহী কুটুমবাড়ীতে,
মহাসুখে চিরকাল পারে যেন থাকিতে,
তোমার রাজ্যে মুসাফির হয়ে যাওয়া মোর বাবামায়,
সব ঘাট যেন সকলের আগে, পলকে অনায়াসে পার হয়ে যায়,
না আসে কভু আর কেউ তা কাড়িতে, অনাদিকাল রহে তাই বহাল, মিরাসি অধিবাসী হয় তার অনন্ত মালিকানায় ।
কজনের আছে তা জানা,
তারাইতো শুধু বিশ্বাসী ফুটেছে যাদের তৃতীয় নয়নখানা,
শিখেছে জেনেছে দেখেছে চিনেছে তারে, মজে রয়নি বারো মজার রঙ বাহারে, যারা নয়রে কানা ।
ঐ তিরোধান ও সফরখানা,
কারো লাগি হয় জলন্ত আগুনের এক জেলখানা,
কারোবা আবার তা মহারাজার এক বাদশাহী তাঁবেদারি মুসাফিরখানা,
বিনাদাম শুধু সুখ ও আরাম আর আরাম, রয়েছে যার হাজার রকম মজার অঢেল খানাপিনা ।
হাওয়ায় ভেসে,
ঐ সাত রঙ সুরভিত মেঘের দেশে,
নানা তামাসায় ও হরষে দৌড়ছুট লম্ফ দিয়ে খেলেহেসে ।
সরল পথের পথিক আমার বাবামায়,
ইহ জীবনের শত ত্যাগ ও তিতিক্ষার উপহারগুলি যেন পায়,
মনোহর মনোরম পরিবেশে, ফুরফুরে মধুর আবেশে, ঘুরেফিরে বেড়ায় বেহেস্তের ঝিলবন গুলবাগিচায় ।
বড় জানিতে চাহেযে মনে,
কোথায় আছো কেমন আছো তোমরা দুজনে,
জানিনা কত দূর, দেখিতে কাতর মম তৃষিত ব্যথাতুর দুনয়নে,
ঝিরঝির সমীরণে, মাছেদের কিলবিল আর খুশীতে বিভোর হাজার পাখীর কলকুজনে ।
যদিও তোমরা ওরে,
অন্তহীন ঐ দিকেরও পরে,
এক অজানা আজব নিঝুম নিরব অচিন পুরে,
আর নেই কোন সংযোগ যার এমন যোজন যোজন দূরে,
গগন জুড়ে কোটি তারকা ঝুলছে বায়, তবুতো ঝড়ে নাহি মাটিতে পড়ে,
সময় করে খবর জানিও মাগো, চিঠি দিলাম তোমার আমার একই খোদার মহাকুদরতি ঐ ডাকঘরে ।


পর্ব - ০৪


ঐ দায়গুলি যবে,
নিরব হাহাকার করা কলরবে,
যদিও পায়, সে আশায় কেজানে কতকাল এমনি পার হবে,
স্বরণে পড়ে, আমারে আকুল ও বিব্রত করে, দেয় মন কষ্টে ভরে, সেদিনের ঐ অক্ষমতা ও অপারগতায় ।
মোর ছিলযে মন,
বুঝাই তা করে কেমন,
করিতে সেবা ও আদর যতন,
তোমাদের বৌমাও ছিলযে ওরে ঠিক তেমন,
ছিলনা মোদের মনের দীনতা, মোরাও ছিলেমনা কৃপণ,
পোষাক, খাবার, চিকিৎসা ও ঔষধ যখন যা হয় দরকার বা প্রয়োজন ।
করবো দেবো আজীবন,
কেন পারিনি কেন তা হয়নি সঠিক সাধন,
ছিলনা ধন, নাকি অতি কম ছিল বলে মোর আয় উপার্জন,
ছিলেম মজে বিভোর হয়ে, বিবি-বাচ্চা ও সংসার লয়ে, আমি নিত্য সারাক্ষণ,
হলেও মনটা সরল, সাধ্যটা ছিল অতিশয় দূর্বল, কি করিব হয়তো তাই ছিল মোর নিয়তির লিখন ।
তুমিও ছিলে নির্দোষ হে মোর বিধাতা,
কি হবে তবে, যদি নাখোশ হয়ে আজও রয়ে থাকে মোর মাতাপিতা,
সেতো সবই তোমার জানা,
তবু নাজানি কেন, তাই নিয়ে মোর হয় ভাবনা,  
আমি কি তবে ঐ অভিযোগ কিবা অপবাদ হতে কোনদিন ছাড়া পাবোনা,
কেজানে তুমি আমার নামে গুনাহ লিখে রেখেছ কিনা, যদিও ছিলনা কোন ঘাটতি বা কপটতা, মোর ইচ্ছা ও চেষ্টায় ।
বিদ্যা ছিলনা তেমন,
ছোট চাকুরী ও ছিল কম বেতন,
শুধু পিছুটান, ছিল পেরেশানি ও নানা অনটন ।
টেনে আনতে বারবার হায়,
সোনার হরিণটা যেন শুধু ডোর ছিড়ে ছুটে চলে যায়,
খেলেছি এই খেলা বারবার, আমিযে সহস্রবার আজীবন,
দয়া করে দিয়েছিল বিধাতায় মোরে, ধূসর একখানা চাদর এমন,
আহারে ঢাকিলে চরণ, বারবার উদোম হয়ে যেতোযে আমার শির ও বদন ।
প্রাণপণ রণ তব এ ভবে,
সে রণে যদিও মম খুন ঝড়েনি তবে,
খুন হতে বের হয়েইতো ঝড়েছে ঘাম,
যার লাগি তার কাছে কেজানে কতটুকু আছে তার প্রকৃত দাম,
অকূল ঐ সাগরে আজীবন অনুক্ষণ,
শুধু হাবুডুবু কেমন করুণা ও মমতা তব মরিণি আমি তবু করেও ঐ সন্তরণ ।
পাওয়া না পাওয়ায় ও সুখে-দুঃখে যেমনই কাটুক এ জীবন,
নেই কোন অভিযোগ কিবা আক্ষেপ যাই ছিল ভাগে মোর ভোগ বিনোদন,
সে আশায় খুশী মনে, আমি সয়েছি ও মেনে লয়েছি সব অনটন কিবা যাতনা ও পীড়ন,
অচিন পথে আঁধার রাতে, ঐ সফরে শূন্য হাতে, যেন সংগে করে মাথায় চড়ে না যায় কোন দায় অদেখায় ।


পর্ব - ০৫


আহা কোন ছলে,
কিবা কোন বলে ও কৌশলে,
আয় বাড়াতে কিছুতেই আমি পারিনি বলে,
আমারে পিছন ফিরে ছিলযে সকলে,
আর আমি শুধু, পড়ে ছিলেম যেন এক অসহায়ের দলে ।
ঐ দিনগুলি মোর ছিল এমনই কঠিন,
আয় বাড়েনি আর ব্যয় কমানোও যায়নি তার কিছুতেই সেদিন,
খোদা ও বাবামার কাছে আমার ঐ বকেয়া ঋন,
বিবেকের অপরাধ বোধ স্বরণে পড়ে, প্রতিদিন আবার নতুন করে মনটা আমার বারবার করে দেয় মলিন ।
আমি এক অযোগ্য অভাগা সন্তান,
তাই বুঝি মাগো হায়, ভাগ্যে হয়নি মোর করা যোগদান,  
আজও স্মৃতিতে অম্লান,
ঐ মোর গোপন কষ্টগুলি ছিল অফুরান ।
কিবা তার কারণ,
ভেংগেছেযে আমার মন,
ঐ মোর একটু আশা করেছে হরণ,
কেন বিধাতায় দেয়নি সুযোগ সামিল হতে, তোমাদের কারোই নাওন কাফন জানাজা ও দাফনের শব যাত্রায় ।
তোমাদের জীবনও মাগো ছিলযে বড়ই কঠিন,
ভাগ নিতে কিবা উপষম দিতে পারিনি আজও বইছি আমি সেই ঋন,
ছিলনা টাকা, ছিলনা ঔষধ হয়নি চিকিৎসা করা তাই সে কষ্টে ছিলযে সবার বদন মলিন,
মনে আছে একবার মাগো, ঢেকিতে তোমার ডানহাত ছেঁচে ঐ ক্ষত শুকাতে শেষে লেগেছিল তিনশত ষাট দিন ।
আহা শুধু অল্প টাকার ব্যান্ডেজ, টেবলেট ও মলমে,
অন্ততঃ ষোলআনা আরোগ্য নাহোক, ঐ ক্ষতটার ব্যথাতো কিছুটা নিশ্চিতই যেতো কমে,
আজ বিবেকের দংশনে হৃদয় গহীনে কষ্ট পাই, কিছুতেই রুধিতে পারিনা তাই ঝড়ে পড়ে এসে মোর কলমে ।
কেন তা বুঝিনি আমি হায়,
আসেনি সেদিন তা মোর মরমের মাথায়,
আহা কি কষ্ট পেয়েছিল আর সয়েছিল মোর অভাগিনী মায়,
এক অযোগ্য ছেলের হয়তো হয়েছিল তাতে মেলা ঋন রয়েছে পড়ে যা অনাদায়,
যদিও ছিল আমরা তা পাইনি কেন, আমার মা’র ডাক্তার, ঔষধ ও চিকিৎসা অতি সামাণ্য টাকায়,  
এমন কত ক্ষত, ঘটিছে নিত্য অবিরত, অতি অল্পদিনেই দেখি আবার ওরে তা ভালোও হয়ে যায় ।
আজ বুঝি মাগো এখন,
কি কঠিন ছিল তোমাদের ঐ অসম সহন,
ভেবে মোর সারা গায় কন্টক ছোয়ায় জাগে কম্পিত শিহরণ,
হয়তো প্রতিদানে তার, পেয়ে গেছো তোমরা বিধাতার অপার করুণা ভরা মন,
দিন কাটিছে এখন, লভে তোমরা রাজ কুটুমের সোহাগ সমাদর আরও কতনা আদর ও যতন ।
এ ভবে লভে জীবন,
পেয়েছি যখন একটা তৃতীয় নয়ন,
সাজাতে গিয়ে পরাণের রঙের মেলা,
সাতরঙ মেঘ, কত মোহ বেগ ও আবেগ রঙীন নুড়ির ঢেলা,
ঝর্নার ঢলে জমেছে এসে জলের টানে ভাটিতে চলে, দেখেছি গোধূলী সাঁঝের বেলা,
দিনভর বাসন্তি বায়, বৈশাখী ঝড় শীতে বর্ষায়, হরষের মজায় আমি খেলেছি নেশায় কত সে খেলা ।


পর্ব - ০৬


জীবন মানে এমনই একটা ঠেলাগাড়ী,
ঠেলতে হবে করে তা মালে বোঝাই, আমি পারি কি নাইবা পারি,
চিটচিটে একখানা অঁচল ঘানি,
একটা বলদে প্রাণ পণ অবিরাম সারাদিন চলেছে টানি,
দিনভর কাম আর কাম,
কই একটু বিশ্রাম, তার কি দেহটায় চায়না আরাম,
কোন প্রতিবাদ অভিযোগ প্রতিরোধ নাই যার, ঐ বোবার কষ্টটার কিবা তার চাওয়ার কিবা দাম,
সেতো ভাল করেই তার জানা,
শেষ না হলে কাজ, দেরি হবে কিবা একেবারে না’ও মিলতে পারে খানা,
রয়েছে বেতের বারির তীব্র ব্যথার ভয়,
কে শোনে ভাষাহীনের ঐ সে কষ্ট-দুঃখের কথা যতই ওরে সে কয়,
টপটপ করে যার ঘাম ঝড়ে পড়ে দিনভর সারাবেলা,
মনোহর নানান রঙমাখা মনোরম ছবি আঁকা অপরুপ ঐ মেঘের ভেলা,
ঐ সে বাহার,
সুযোগ কইরে তার দেখার,
বাতাসের দোলনায় আকাশে নেঁচে নেঁচে মোহ মায়ার রঙ ছড়িয়ে যতই ডাকে তা ভেসে বেড়ায় ।  
বয়সে ছিলেম কিশোর ও যদিও দায়হীন,
অনুভবে চেতনায় বুঝেছিলাম, চুপচাপ চেয়ে থেকে আমিযে সেদিন,
সময়ে মানুষ হয় কত অসহায়, দেখেছি আহারে জীবনওযে হতে পারে কত ধূসর ও কঠিন ।
বিনোদন হরষে হোক সে যতই রঙীন,
এ জীবন, আপনজন ও ধনীদের সব ধন হবেই হবে বিলীন,
কে করবে কি তখন, কে ঠেকাবে ঐ নিলামের নিদান, কি উপায় হবে যখন ঘটিবে তা একদিন ।
আহা কিযে কষ্ট ও যতনাময়,
মনে হয়েছে বুঝি তাই সত্য, এ জগতে আসলে কেউ কারো নয়,
কমে যাবে ধন হবে অর্থ বিনাশ, পেয়েছিল কি তবে ওরে তারা সবে ঐ ভয়,
আমার পিতৃকুল ও মাতৃকুল সব স্বজনেরা কি ওরে গিয়েছিল ছেড়ে বসতি ও লোকালয় ।
শত স্বজন ও ধনীগণ,
ছেড়ে বিবেক ও মমতার ভুবন,
করেছিল সবে যখন গোপনে নিরবে পলায়ন,
অবশেষে দেখি না, মানবতা ও করুণার এখনও হয়নি মরণ,
রয়েছে জগতে অনেক মানুষ, রক্তের নয় পেয়েছিলাম গ্রামেরই এমন দরদী একজনের পরিচয় ।
আবু হকে বলে বিধাতার করুণা হলে,
কেউ থাক বা না থাক তার দলে, শুকনায় তার নৌকা চলে,
মহারাজ বচন কখনও মিথ্যে নয়,
তার উদ্দোগে বাড়ীতে ডাক্তার ডেকে এনে মায়ের চিকিৎসা হয়
অল্পতে অসীম বরকত ও রহমত, খুলে যায় সহজ সরল দুয়ার ও পথ, সামাণ্যতে বিশাল জয় ।
হে খোদা মেহেরবান,
দিও সবারে তুমি সকলের সব ক্ষুদ্র দানের প্রতিদান,
তব মহিমা ও করুণায়,
দানকারীর পরকাল যেন সুখে ভরে যায়,
স্বর্গের আংগিনাতে বসে, দিন কাটে পরম পুলকে হরষে, তারা যেন তাদের হাতে ও পাতে তার কোটিগুন পায় ।


পর্ব - ০৭


আজ তারা কেউ আর বেঁচে নাই,
কাজগুলি দিয়ে সমাজে ছড়ায় যে যার ঠিকানায় চলে গিয়েছে সবাই,
মনটা খুব চায় তাদেরে দেখতে যাই, নারে ভাই তার কোন আর সাধ্য কিবা সুযোগ নাই,  
বুঝিবা আমি তাই,
ভেবে ভেবে অন্তরে ঐ ব্যথা পাই,
যে কষ্ট পেয়েছিলে আহা মা তুমি, আমি তা আজও ভুলি নাই,
বাতাসে ছুড়ে বিশ্ব জুড়ে মনে রাখার তরে সব সন্তানের অন্তরে আজ আমি তা দিলাম ছড়াই  ।
আমার দরিদ্র সুফি বাবার ঘরে,
এসে তুমি জনমভর থেকেছ মাগো কত কষ্ট করে,
দেখেছি করেছ আহারে কত ভাণ,
সুখে থাকার অভিনয়, পুলকে কষ্ট জয় ও মুখে মেখে তার হাসিখান,  
দেবো কেমনে কবে, নিজে না খেয়ে সবারে খাওয়াবার ঐ প্রতিদান,
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হবার খোদার মহিমার শত শোকর ও বড়াই,
ঐ কষ্ট হতে মরমে সুখ পেতে, বুঝিনা কেমনে ঐ স্মৃতি মুছি কিবা তা হতে আমি নিজেরে সরাই ।
আমার সংগেও যেন হচ্ছে এমনটাই,
পড়ে পা পিছলে হাটু কাদা জলে সদা আমি কেনরে হাবুডুবু খাই,
কি দোষ কি গুনাহ আমার, বিধিরে কেন মাফ হয়ে যায়নারে তার, হয়তোবা নিয়তির পরীক্ষা ছিল তাই ।
হোক, তাতে নাই কোন ক্ষতি,
হে মোর জীবনের মালিক, মহাবিশ্ব অধিপতি,
শুধু এইটুকু চাই,
তব করুণা ও ক্ষমার অংগীকার ছিল যাই,
আমি যেন ওরে যাই পাশ করে ও সেরা হবার ঐ যোগ্যতাটা পাই,
আমারে ছাড়েনা যেন পারেনা, চিরতরে ধরাশায়ী করিতে ওরে সজোরে কেবলই ঝাপটে ধরে জড়াই ।
হে প্রভু ক্ষমা করে দাওনা আমায়,
অবসান করে অপরাধ দোষত্রুটি ভুল ও সব গুনার গোপন সে দায়,
অপারগতা ও অক্ষমতার ভাবনায়, মন হয়ে রয় সদা মলিন ও ভার ঐ অপার অনুশোচনায় ।
ভয়ে ভীত হয়ে পেরেশান,
রহে এন্তেজার এক অপরাধী প্রাণ,  
খোদার সব বাণী ও বচন চিরসত্য মহান,
মন দিয়ে শোন সবে, ওরে পেতে তব দুটি কান,
আগেতো মানুষ হতেই হবে শুধু তারপরে তুমি হবেযে মুসলমান,
খুলে গেলে তৃতীয় নয়ন হেরিবে সাত জমিন ও মুক্ত অসীম ঐ সাত আসমান ।
যেজন এমন ভাগ্যবান,
হয়েছে আপন, চলন বলন মনন ও কাজেতে মহান,
তারাই শুধু তারে ডাকিলে নিমেষে পায় ও অতি কাছে দিব্য দেখিতে পান,
কত বড় সে আহারে, কি পারে ও কি নাহি পারে, কোথায়বা হারে আর কতইবা সে মহান ।
কিবা তার রুপ বাহার,
কেবা তার সম কিবা অংশীদার,
সৃজন নিধন এক মালিকের সব ক্ষমতার অধিকার,
জ্ঞানী ও বিশ্বাসীগণ জীবনে মরণে ধন্য জীবন, যাচে ও আশায় রহে পাবে তার যথা পুরস্কার ।


পর্ব - ০৭


এ জীবন, ধনজন, দেহপ্রাণ ও এই এত সুখ-মান,
তুমি ওরে ভুলে গেছো কি,
জেনে বুঝে শিখে লও যা এখনও অজানা ও শিখতে বাকী,
বলো কার এই বিশ্বটার মালিকানা খান,
তব ঘরে-বাহিরে ছড়ানো এত অফুরান নেয়ামত ও দান, কার এই খুটিহীন আসমান ।
বিধাতায় তাই চান,
তারা যেন সবে পান সেই সম্মান,
সব গোলাম তার হয়ে যায় আসল মানুষ ও সাচ্চা মুসলমান,
করিতে পারে যেন সে বড়াই হয়েছেযে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ ও মহান,
হতাশায় নয়রে বরং কষ্টরে জয় করে, আজীবন দেহমনে বিসর্জনে বিশ্বাসে সবরে আশা ও নির্ভরতায় ।
ঐ নিদানের দারুণ ঝড়ে,
দীনতাগুলির গল্প যখন কল্পনা ভরে,
ভেবে অসহায় নিত্য আমারে তা খায় কুড়ে কুড়ে,
না পেরেছি কভু কিছু ওরে, দিতে মনভরে আমি তোমাদেরে ।
আজিকে তাই মোর বড় ইচ্ছে করে,
দোয়া করি দু’হাত তুলে প্রাণ ভরে,
সারাক্ষণ তোমাদের বিচরণ হোক, খোদার বিশাল আনন্দ বন গভীরে,  
তোমরা যেন ওরে বেড়াও ভেসে ও খেলেহেসে ঐ অসীম সুখ সাগরে,
বুক ভরা সুখ আর হরষ বিনোদন, ছাড়িয়ে চরণ যেন শির বেয়ে সদা তা উপচে গড়িয়ে পড়ে ।
তারা সবে হাত তুলে দোয়া করে,
স্বর্গে যাবার অদেখা ঐ সোনালী সিড়িটা ধরে,
উথলে উঠে যায়রে টুটে বিধাতার করুণার আবেগ ঝড়ে,
তোমরা ধরেছ যাদেরে তব ঔরস ও জঠরে, আজীবন করেছ লালন পরম সোহাগ আদর যতন ও মায়ায় ।  
আজ মনে পড়ে, ঠিকই দূরে সরে গিয়েছিলাম,
ভাবি, এত আপন হয়েও কেমনে কেন, এমন পর হয়ে রয়ে ছিলাম,
বুঝিরে আজও তাই, বড় পুণ্য কিছুই করা হয় নাই, বিধাতার বিচারে যা অতি ভাল কাম ।
বিধিরে বলো কেমনে ও কেন হলো হেন পরিনাম,
ছিল যার একই দেহ আর, ঐ একই আত্মার, এই বুঝিরে তার ভালোবাসার দাম,
মনে পড়ে কিরে অবুঝ শিশুকাল,
কত বাবামায় বুড়োকালে হয়ে যায় হেন অসহায় বেহাল,
বাবামাকে কে দিয়েছ, কতটুকু শ্রদ্ধা ভক্তি বিনয় সম্মান ও সুখ-আরাম,
হিসাব আছে কার, কোন ছেলেমেয়েটার, তাদের তরে ঝড়েছে কবে বলো তোমার কয়ফোটা ঘাম ।
সন্তানের উপর খোশ বাবামার রুহু কয়,
হে খোদা, বাছারা আমার যেন সবাই ওরে নেককার হয়,
এমন মানুষ, লোকে ও খোদায় সবায় যারে ধন্য ধন্য করে ও ভালো মানুষ কয়,
সব পরীক্ষায় পাশ করে যায় আর হয় সব রণে জয়,
মহা ভাগ্যবান তোমার এমনই মহান, গোলাম হয়ে বহুকাল ধরে যেন তারা ওরে বেঁচে রয় ।
দিন কাটায় ও জীবন যায়,
সোনার মানুষে ভরে যায়, সোনা ফলায় তোমার মাটির দুনিয়ায়,
এমন একটা বীজতলা গড়ে ও কোটি তার চারা রোপন করে, এমন অগনিত গাছ লাগায় ।
যে তার ফুল-ফল,
যত লতাপাতা, শিকর ও বাকল,
ডালপালা ও যে কষ বা দেহ-রস বাঁচাতে প্রাণ যোগায় বল,
দূষিত বাতাস নিজে করে পান,
অকাতরে বুকভরে, বিশ্বজুড়ে সবারে সে করে দান,
কে দেখেছেন অক্সিজেন, কে তার দাম দেন কিবা জানেন কত সে মূল্যবান, ঐ প্রাণবায়ু পরিমল ।
কিছুই নিজে খায়না সকলই দেয় পরকে বিলায়,
কেউ যদি তারে উপরে ফেলে বা সমূলেও চায়,  
করেনা কারেও মানা দেয়না বাধা ডালপাতা সব কেটে বা ছেটে ফেলায়,
স্বদেশ ছেড়ে ভিনদেশে,
দুদিনের এ বানিজ্য সফরে এসে,
দিন কাটে আর সারা দিনের শেষে, কোনমতে সঠিক পথে জীবনটা পার হয়ে যায়,
দিকহারা ভ্রান্ত পথিক সবায় যেন দিশা খুঁজে পায়, আলো আর ভালোটার হেন খেতিচাষ দুদিনের বসতি ও ব্যবসায় ।