একজন গুরু, বিশ্ব জোড়া একখানা পাঠশালা ॥
আকাশ জমিন,
চক্ষু যার ঝাপসা মলিন,
হবেনা দেখা চেনাজানা শেখা আর কোনদিন,
অনূভবে চেতনায় যেন নেই কোন দায়, অদখোয় বাড়ছে ঋন,
সবাই বেশী ধন, অধিক উপার্জন আর ভোগ বিনোদনে হয়েছে বিভোর ভোলাভালা ॥
পড়িতে চায়না,
কি পড়িবে সবইতো তার জানা,
দূর্বোধ্য নহে, সহজ মংগল পাঠ কেন হলো বিড়ম্বনা,
ঐ সে পূরাতন ঞ্জানের কথা, আলো ও ভালোর বারতা চোখ ও মনে দেয় হানা,
চঞ্চল মতি, ক্ষিপ্র গতি, ধনে বড় হবার বাসনা অতী, বুঝেনা লাভক্ষতি, তাই পেরেশানি তাড়না,
এমন ধারনা মনটারে আরও পড়িতে জানিতে করে মানা, না পড়িতেই তাই হায় যেন তেষ্টা পায়,
মাথাটা ঘেমে যায়, কোন সে অস্থীরতায় যেন চেষ্টা ও আগ্রহটায়, ভাটা পড়ে হয়ে যায় একেবারে ঢিলেঢালা ॥
নহে সুবিদ্যান পন্ডিত,
নাহি জানে সাহিত্য নৃত্য গীত,
মানূষ সে অক্ষাত একজন,
দেখি তার বিপরীত, অতী সে সাধারন,
নাই কোন ডিগ্রী আর কোন দেশীবিদেশী পত্রছাড় এমন,
নাই লম্বা হাত নহে উঁচূ জাত, রাজনীতি কিবা প্রশাসন ক্ষমতার সিংহাসন,
হোকনা সত্য তাই, কি আসে যায় তাতে ভাই, কেন ম্যল্যায়ন হবেনা তার ঐ সত্য সুবচন,
গাছগাছালির ফাঁকে সোনালী সূর্য দেখে হয় প্রভাত, অজ গাঁয়ের ভিতর ছোট্ট তার বাঁশের ঘর টিনের একচালা ॥
ঐ সে লোকটায়,
কি এমন জানে, কি বলিতে চায়,
বারবার একই কথা লেখে আর, সেই বুলিই শোনায়,
তাদের কারো চক্ষু নাই,
তাইতো বুঝি করে তারা বড় হবার বড়াই,
মন ও মননে, নিরবে বিজনে শুধু গহীন গবেষনেই মিলবে তাই,
বিদ্যা অমূল্য ধন, ঞ্জানের অসীম ভান্ডার এ ভূবন আর নশ্বর এ জীবনটাই,
মাথায় ভারী বোঝা, পথ চিনেনা চলেনা সোজা, খবর নাই শূন্য যে রয়েছে সবার আপন পূন্যের ঝোলা ॥
ঞ্জান দিতে চায় যেন সে একজন মহান শিক্ষক,
সবার একথা জানা, তা কভূ হয়না সোনা করিলেই শুধু চকচক,
ছাত্র হতে কিবা শিখতে চায়না, আছে কত উপদেশ বায়না তাই নিয়ে বাচালের মত বকবক,
রাজার সনে প্রজার গোপনে প্রতারনা, নিজের মগজে ফাঁক, ভাবে অতী চালাক, আসলে সে নিজেই ঠক,
পড়তে চায়না, জানবে শিখবে কেমনে,
চোখ নেই তাই হয়না দেখা কতকিছু আহা পড়েনা নয়নে,
সভ্য লোক সমাজে থেকেও তারা রয়েছে যেন আলোহীন এক গহীন বনে,
সবদিক জুড়ে বিশাল এ খোলা প্রকৃতি,
দিগন্ত জোড়া সাগর নদী ও মাঠ দেয় অবিরাম পাঠ শোনায় অমোঘ বাণী ও গীতি,
সেইতো আমার লেখনীর আধার, আকাশ ও মাটিতে শীতল পাটিতে যে বইটি আছে সারাক্ষন বিছানো খোলা ॥
নাই সুবচন,
আপন স্বার্থভরা মন,
কেন এ ভূবন মাটির জীবন,
নাই ভালো কাজ কোন মহৎ সৃজন,
যাবে কোথায় কি পাবে হেথায় হলে মরন,
এত সহজ নয়, বিধাতার সন্তুষ্টি ও কৃপা সাধন,
শুধু এই ভাবনা ভয়, দান করিলে যদি কমে যায় ধন,
নাই তৃতীয় নয়ন, মনন ও গবেষন তবে কেমনে হবে দরশন,
এত ধন তবু নাই কেন দান, কাঁদেনা প্রাণ, আহাজারি করা দীনজন,
আবু হকে কয় প্রয়োজন জাগড়ন, এসব বিষয়, আজকাল নাকি পাগলের পরিচয়, এখন শিকায় তোলা ॥
যখন আমি সে ছবি আঁকি,
কোনকিছু তার যেন না রয় বাকী,
যা লেখে আমার কলম, যা দেখে মম আঁখি,
পারিনা যখন করি বসবাস আহরন চাষ ছোট করে রাখি,
আলো ও ভালোর বিতরন যা চাহে এ দেহমন  ম্রিয়মান হয়ে থাকি,
চীর সত্য একই বাণী, বারবার আমারে লয় টানি, ঐ একই পথে চলা আর জীবনের সহস্র রুপের গল্প বলা ॥
শুধু ভাবনা,
পেরেশানি আর তাড়না,
ধনে বড় হবার সহজ উপায় জানা,  
হয়েছেতো ঢের আর কত, এবার ওসব ছাড়না,
এত ধন কি প্রয়োজন, মরে গেলে তা কে খাবে আর,
যখন এত ভোগবিলাস ধন যেতেই হবে ছাড়ি কি কারন হেন বাসনার,
কে হবে সংগী আর, যাবে কি সংগে তোমার, ঐ শীতল গাড়ী আর সুরম্য প্রাসাদ বাড়ীগুলি পাঁচ ও সাততলা ॥
অন্ধ যেজনার আঁখি,
শেখা জানা দেখা ও চেনার এখনও যে অনেক বাঁকী,
হিসাব করলে বুঝিবে হায় কত দায় এখনও অনাদায় আর জীবন তোমার কয়আনা ফাঁকি,
ঐ মনের ঘরে,
কেমনে পসিবে আলো ওরে,
কি লাভ হবে সব হারিয়ে তা বুঝিলেও আর পরে,
কেমনে হবে সাধন হবে পাওয়া, পরম আলোয় ডুবিয়ে নাওয়া, সব জানালা বন্ধ করে, দুয়ারে দিয়ে তালা ॥
এই ধারনা,
আমারতো সবই জানা,
করেনা পাঠন তাই শিখিতে জানিতে চায়না ও পায়না,
কেমনে হবে সাধন শেখা ও জানা যারা ভাই আসলেই কানা,
এখনই সবে এসো চলে যাই,
বেলা কম, অল্প সময় আর বাকী আছে ভাই,
আমিতো সবই জানি, আমিই বড় ও সেরা না করে সে বড়াই,
ঐ পাঠশালে, তারায় তারায় পাতায় ডালে, এখনই ভর্তী হই আর নাম লেখাই,
ছাত্র হই আমরা সবাই, দেখিনা হেথা কি খুঁজে পাই, শুরু হোক সাধারন এক সাদা জীবনের নতুন পথে চলা ॥
বড় বেশী অবহেলা,
হর্ষ বিনোদন খেলা আর খেলা,
সাত রঙে সাজানো স্বপ্ন আশার মেলা,
মনের আকাশে হামেশা ভাসে বাসনার ভেলা,
কি হবে তারপর, এখনযে আবিরে ছাওয়া গোঁধূলী বেলা,
রঙীন বেলুন হাতে সকাল দুপুর বিকাল ও রাতে শুধু দোলনায় দোলা রেখে, চলো অভ্যাস করি সবে সত্য বলা ॥
বিদ্যান ও পন্ডিত গন,
এ যূগের যত ঞ্জানী গুনী জন,
মোহ ও ঘোর নেশায় মগন অচেতন,
জীবনের একটাই সাধনা চাই অনেক বেশী ধন,
একেবারে বেখবর,
বন্দি একখানা ছোট্ট ঘরের ভিতর,
এই ঘর ছাড়া জগতের বাকী সবাই যেন পর,
এখনও কি বলবে ভাই, হাতে মোর সময় নাই, বিচরণ অবিরত মাথায় কত এলোমেলো ভাবনা ও ঝামেলা ॥
আকাশ অনেক বড়, নেই যার কোন সীমানা,
সাগরের নেই তল, তাই বলেকি হবে বিফল, কি আছে হেথা প্রয়োজন দেখা জানা,
পাঠশালা আর একখানা পরীক্ষাগার, প্রতিনিয়ত লক্ষ শত কথায় কাজে হচ্ছে তার, এ ভূবনের জীবনখানা,
ভালো কথা বলো ভালো কাজ ও কিছু দান করো,
মরার আগে একবার মরো, আমার কথা ধরো বেশী বেশী পড়,
ভেংগে মনের যত যাদুর নেশার ঘের, অন্তরের মোহর, হও ধূয়েমুছে সুন্দর মহাকালিমার শিশার সীলগালা ॥
হনহন করে দূরন্ত বেগে,
লোকালয় হতে যেন যাচ্ছে ভেগে,
ভালো ব্যাবসার কাজে, তারা কারা রয়েছে লেগে.
বাকীরা সবাই ভোগের ধূমে কিবা অচেতন ঘূমে, তারাই শুধু রয়েছে জেগে,
ধাবমান অকুতোভয় অম্লান গবেষনা অনূসন্ধান সচেতন করিতে সৃজন সদা জাগ্রত সৈনিক প্রাণ ঐ কাফেলা ॥