(এ কবিতাটি কলমে অঙ্কিত জীবনের সহস্র  রুপের হাল্কা পরশ। যারা সংগীহীন, জীবন যাদের কষ্টের, নানা অপ্রাপ্তি ও সে না পাওয়াজনিত গোপন শূন্যতার কারনে জীবনের গতি শ্লথ, দিক ভ্রষ্ট ও স্বপ্ন-আশাগুলি ভংগুর হয়ে পড়েছে, একা চলা ও একাকি ভার বয়ে বয়ে যারা ক্লান্ত এবং নাবলা সে কষ্ট যাতনায় হতাশা যাদেরে ঝাপটে ধরে থামিয়ে দিতে চায় ঐ অসহায় মানুষগণের পাশে থেকে তাদের প্রতি বিনীত শ্রদ্ধা, একটুখানি তার ভাগাভাগি তথা সহানুভূতী, সহমর্মীতা, উৎসাহ, প্রেরণা ও দৃঢ় মনোবল যোগানোর মানষিকতায়ই এ কবিতাটি রচিত।)  


পর্ব - ০১


ষাটোর্ধ মানুষ একজন ॥
পিঠে দায় লয়ে ঘুরে,
এই যেন অতি কাছে এই বহুদূরে,
কখনও মগন বসে কিবা ঠায় দাড়িয়ে অচিন পুরে,
তাতে কি মাফ হয়ে যাবে সব ঋন, এভাবে কতদিন কতযূগ কতক্ষণ, ঐ ভার সে করিবে বহন ॥
গায়ের কোথাও পড়েনি কুড়ো,
খেতে পছন্দ পিঠা দই মিষ্টি ও মাছের মুড়ো,
দৃষ্টি ও বল এখনও সকলই সচল, রয়েছে নিঁখুত পূরো,
চলনের দূরন্ত গতি, সাহসী মতি, দূর্লভ সাধ নহে নড়বড়ে থুরথুরো,
মাথায় নেই টাক,
সুজন সুবচন সুমতি সকলই ঠিকঠাক,
আছে চাঙা চপল আর সকল রুচি পছন্দ তার, যেন কিছুটা অবুঝ, একটা সবুজ রঙ মাখানো মন ॥
কোন কাজ তার নেই,
সময় কাটে তাই, কিছুনা কিছু পঠন ও লিখনেই,
তা নহে জীবন, ক্ষুদ্র সীমাণায় থেকেই,
একটু পরিসরে দেখা জানা চেনা ও শেখার সীমিত গন্ডিতেই,
অকারণ বেশী কথা বলা কিবা আর, বেশী ঘুমাতে ভাল লাগেনা তার কিছুতেই,
চাহেনা মন, ঘুরে বেড়াতে অযথা অকারণ, যেখানে সেখানে যেথা নেই কোন কাজ কিবা প্রয়োজন ॥
এ কঠিন রণ, প্লাবন ঝড়,
শত অনটনও তারে করেনি কভু কাতর,
নেই কোন বয়সের ছাপ,
করেনা বিড়বিড় বকেনা প্রলাপ,
প্রতি পদচারনে বচনে নিঁখুত পরিমাপ,
নেই কোন ভাবনা, কষ্ট কিবা তাড়না ঐ পরিতাপ,
চাওয়া না পাওয়া ও সে দূর্ভাবনার অপবাদ, অবসাদ কিবা চাপ,
অবিচল লক্ষ্য অটল, আজও সঠিক তার দিক, যদিও পার হয়ে গেছে, কিছু বেশী জীবনের দুই ধাপ ।
নেই কোন বায়না,
কারো কাছে যায়না দেয়না ধর্না,
ভোগের রোগে কিবা দীনতায় তবু সে হারেনা,
কারো কাছে কিছু্ই চায়না, না পেলেও হয়না কাতর পায়না কান্না,
শাহীভোজ সে খায়না,
আছে তার আজব একখানা আয়না,
নেই চাহিদা কিবা প্রভাব ও উত্তাপ, নাই কোন পেরেসানি তাড়না,
আজও করিতে বাসনা অসাধ্য সাধন, অসম সাহসী মন যদিও নেই তেমন, ছিলনা তার কোন বিত্তবেসাত ধন ॥
চেহারায় নেই কোন বার্ধক্যের ভাজ,
এখনও খোঁজে করিতে চায় খুব ভালো কোন কাজ,
শূন্যে প্রাসাদ গড়ার স্বপ্ন বিলাস, সেতো মরমের সযতন নিত্য সাজ,
শত দায় যেন ঘুরপাক খায় তার মাথায়, এত উদ্যম কোথা পায়, অনুভবে নেই কোন ভয় লাজ,
এখনও আটঘাট ফিটফাট বেশভূষণ, তবু তা কেমনে হয়, বুঝিবার মত নয়, সুশোভন তার বলন ও চালচলন ॥


পর্ব - ০২


দেখতে হলেও কালো,
শান্ত মৌন গুরু গম্ভীর শক্ত সবল গায়ের গাঁথুনি ভালো,
বাহিরে যখন ঘন আঁধার, ভিতরে তখনও তার ক্ষিন প্রদীপ শিখার মিটমিট আলো,
ডুবেভাসে তবু ভালবাসে কভু হয়নি তল, দৃঢ় মনোবল, তাই সে করিতে চায় যৌবনে যা হয়নি সফল ও সাধন ॥
কেউ বলে হয়েছে সত্তর,
হাসিমাথা শোভন বচন যেন তাতে মাখানো গুড়,
কালো চুল কোথাও হচ্ছেনাতো ভুল, বড়জোর হয়ত হবে চল্লিশ কি পঞ্চাশ আরে দূর,
বাতাসে দুলে লম্বা দাড়ি ও বাবরীচুলে কালি মাখালে দেখাতো তারে যৌবনে ভরপূর,
কন্ঠ সতেজ, ফুরফুরে মেজাজে শুয়ে যেন সিংহটা নাড়ছে লেজ, হাঁচিতে এমনই তার পৌরুষ গর্জন ॥
দাড়িগুলি একেবারে সাদা,
মনেহয় যেন সে হয়েছে নানা দাদা,
চুল তার রয়েছে কালো এখনও পূরোই আধা ।
মনেহয় যেন চাচা-মামা কিবা বড় ভাই,
কারো বন্ধু হতেইবা দোষ কি, তাতে আমি কোন অপরাধ খুঁজে নাহি পাই,
মন আর ভালবাসার সনে দেখেছি সারাটা জীবনে, বয়সের ওরে তার কোনই যোগ নাই ।
কে বলেছে ভাই,
তাতে পানি ছাড়া কিছু নাই,
লাউয়েতে হয় বাওস বাউলের ডুগডুগিটা বাজে তাই,
সরষেতে আছে তেল, তালেতে মধূরস, বেগুনে শতগুন লাউয়েরও আছে বড়াই,
সবার দক্ষতা, বিচক্ষণতা, সক্ষমতা শক্তি সামর্থ্য ও তেজে কভু আমি মিল খুঁজে নাহি পাই ।
দেহ খাঁচার গাঁথুনি ও গঠন,
কজনে বলো করিতে পারে তা অনুধাবন,
বিনিসূতার সে অমোঘ ভেদ বাঁধন, দেখতে হোক তা যার যেমন,
কার দেহ মনের সুখ বিনোদন নেই, কার আছে ঢের, সেতো বিধাতার নেয়ামত দান আর এক অমূল্য রতন ॥
চুলদাড়ি সাদা হয়ে যাওয়া ও ত্বকে ভাজ ধরা,
আসলে এ ঘাটতি দেহের ভিতর, শ্রবণে ঘাটতি, চোখের নজর কম কিবা দাঁত পড়া,  
সে কথা মিথ্যে নয়,
প্রাপ্তি লয় জয় কিবা ক্ষয় পরাজয়,
এইতো খেলা ভিতরে বাহিরে জনেজনে ভিন্ন রকম হয়,
কারো আছে কারোবা নাই, বিধাতার দান বহে সেতো নহে কারো বড়াইয়ের বিষয়,
জীবনের লাগি তাকি খুব প্রয়োজন,
নারে ভাই সবার আগেতো মানুষ হওয়া চাই, নহে বেশী রঙ, বিদ্যা ও ধন হওয়া সুদরশন ॥
দেখছি আজীবন সারাবেলা,
এ ভুবন এক হরেক রকমের পসরা সাজানো মেলা,
কেউ খেলে, কেউবা খেলায় ও কেউ বসে দেখে সে মজার খেলা,
বরফের পাহাড়, ছাইয়ের টাল, চকচকে বালুকার ঢিবি, রঙীন মেঘের ভেলা,
দেহের সুস্থ্যতা সে যে মহান, বিধাতার এক নেয়ামত দান, যদিও ফুরায় তবু অফুরান সে গুপ্ত রহস্য ধন ॥


পর্ব - ০৩


কারো আছে কারো নেই,
কেউ না চেয়ে পায়, কেউ চেয়েও পায়না কিছুতেই,
কেউরে দেয়না কাউকে ভরে দেয়, দেখছিতো শুধু আমি সেই,
আবার যখন যারটা খুশী নিমেষে তা কেড়ে নেয়, সব ঘটে বিধির ইচ্ছেতেই ।
ফুরলো দিন ফুরালো বেলা,
ভেংগেও যেন জানিনা কেন ভাংছেনা মেলা,
শেষ হয়েও যেন হচ্ছেনা শেষ ঐ সে দারুণ মজার রংগ খেলা ।
পুরাণ হিসাব বকেয়া ঋন,
হে রাজা কি প্রজা মহাবলীয়ান স্বাধীন,
মাথার উপরে যে মহাজন ক্ষিপ্ত মেজাজ বদন মলিন,
ভুলে গেছে যেন হায়, খাতক প্রজায় তার দাদন সে শোধিবে কোনদিন ।
কবে হবে শেষ,
আমিতো জানি তা এক নিমেষ,
সব হারিয়ে সবারে ছেড়ে অসহায় কাঙালের বেশ,
ঐ সফর ধন ও ক্ষমতার বাহাদুরির উপর নির্মম ঝড়, অহংকার করিবেই নিরুদ্দেশ ।
যা প্রয়োজন বা মানুষের মন যাহা চায়,
তাই কি বলো কাউকে কেউ দেয়, নাকি সবে তা খুঁজে পায়,
তবেতো সবাই রাজা হতো আর জুলুম করিত, যদি এমন হতো কোথাও তা কুড়িয়ে পাওয়া যায়,
লভিতে কোন ধন, সাধনা বিনা হয়না সাধন, কারোবা আবার সে আশায় কেটে যায় তার পূরোটা জীবন ॥
সুপ্ত গোপন ভালবাসা,
মনের মত সংগীটারে পাবার মধুর আশা,
দেহ থেকে তারা নহে জুদা,
মন ও চোখের বলিতে না পারা তবু উদাস করা পিয়াস ও ক্ষুধা,
লুকানো সে একটু বাসনা ও অল্প প্রয়োজন,
কখনও কখনও বেড়ে ত্রিগুণে, তেল ঢেলে দেওয়া যেন অদেখা আগুনে, করে গহীনে লুকানো হেন জ্বালাতন ॥
চোখ পড়েনা, মন নেই বউয়ের প্রতি,
কি কারনে এ দেহটার হলোযে এমন মতি পরিনতি,
চোখ ও মন তবু বদলেনি কেন, এক বুড়ো মানুষের,
শির হতে চরণ ধরেছে অন্য ধরণ, বুঝি তাই বার্ধক্যের জের,
আলগা হয়েছে কেন ঢের, কে জবাব দেবে কে বুঝিবে এ মোহমায়া যাদুর ঘের ।
কিছুই যেন করার নাহি,
কি হবে আর সে অধিকার চাহি,
কি যেন নাই অনুভবে বুঝি তাই সেই কবে দুজনেই তা পেয়েছিল গোপনে টের, বলেছিল মেধা ও মনন ।
করেছে দ্বিমত দরশন,
একমত একটু দরদ ও সহন,
বুড়োকালে না হয়ে প্রেমেতে কাতর,
তাহলে এমনই কি হয় একটা বয়সের পর,
পৃথক বিছানা, এক ঘরের ভিতরে দুইজনের দুই ঘর,
এত আপন হয়েও কেনরে আজ দুজনেই হলো তারা দুজনার পর, এ কেমন জীবন ॥


পর্ব - ০৪


বাহিরে সব সাজানো গুছানো ঠিক,
ভিতরে চাপা ক্ষোভ, কষ্ট ও ভোগের বাসনার হিড়িক,
কেন নেই,
আগের মত সেই,
জুড়ে থাকা সারা দেহ ও মন,
একে অপরের প্রতি দূর্বার মোহ ও সে আকর্ষণ ।
এখন যেন শুধু টিকে আছে ওরে,
হায়, এই বুঝি যায় ভেংগে কিবা ছিড়ে হেন নড়বড়ে,
নহে আর মধুর,
কাছে থেকেও যেন বহুদূর,
পুরাতন পিয়ানোতে,
প্রিয় কথার বাজানো গহীন রাতে,
পুরনো প্রিয় গানের শুর, শুধু ঐ দায়টুকুর ঢিলে ও হাল্কা এক অলীক বাঁধন ॥
পুরুষ যেন এক তৃষিত মধুকর,
ভিনদেশী অচেনা কোন মুসাফির যাযাবর,
উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে সে, গিয়ে বসে শত ফুলের উপর,
বুঝি আহারে, বাঁধিতে পারেনা তাই তাহারে, কোন মায়ার ঘর কিবা রুপের বহর ।
কহে রুপ নাহি চাই,
ঘাষফুল কিবা রাজকুসুম, মধু না পেলে আমি হেথা নাই,
ছটফট চঞ্চল, দেহ মন ও নয়নে নেশার ঢল, উড়াল পংখী মন হয় কখনও পর কখনওবা পরম আপন ॥
তাদের বিবাহ হওয়া দরকার,
বন্ধা বিধবা ও হয়েছে ছাড়াছাড়ি স্বামী নাই যার,
কুমারী এমন কত, বিয়ের বয়সটা যার হয়ে গেছে পার,
হোক বা নাহোক রুপসী, বয়সটা কম বা বেশী, যাই হোক তার,
ইচ্ছে করে, গিয়ে ঘরে ঘরে, আমি হই আপন গল্প করি কিছুক্ষণ, ঐ তাদের সবার,
বন্ধু কিবা ভাই, তাতে কোন ক্ষতি নাই, প্রতিদান বিনিময় নাহি চাই, করি কিছু সেবা ও উপকার ।
মরমী হই, ভাগ লই তাদের ঐ অজানা গোপন কষ্টগুলির,
থাকিলে আশ্রম দিতেম তাদেরে ঠাই, নাহলে বেঁধে ছোট্ট এটা পাতার কুটির,
হতে পারলে বান্ধব,
কিছুটা হলেও করতাম লাঘব,
যদিও না পারিতাম তার ষোলআনা সব,
সহসা আসিলে জোয়ার চর পড়া ঐ মরা নদীর মতন, তাতে একটু যদি হতো তাদের উপষম ও প্রসমন ॥
হয়না কেন তাদের বিয়ে,
এত বাছাবাছি আর বিলম্ব কেন বিয়েটা নিয়ে,
সংগী ছাড়া হয়না জীবন,
সন্তানহীন দিনেদিনে সে ঘরের বাড়িবে ঋন,
মরন তাদের স্মৃতি মুছে দেবে সব কেড়ে নিয়ে তাড়িয়ে ।
কতটুকু কার দায়ভার,
বন্ধা, তালাকী, বিধবা নারী হাজার হাজার,
কি করিব আমি একা, বিয়ের অধিকার মোর সেতো শুধু চার,
একটা সুখের ছোট্ট ঘর, চাই একজন ভাল মানুষ বর, ঐ তাদের জন্য সবার ।
তাতে যারা সংগীহারা আর,
তাদের হবে তেমন কি কল্যাণ ও উপকার,
যদি এগিয়ে না আসে তবে, বিয়ে না করা অগনিত যুবকেরা, ভাগেতে আমার, বাকী রইল আর মাত্র শুধু তিনজন ॥


পর্ব - ০৫


নাইবা কামায় সে দুই হাতে,
যদিবা আসে দিনদুপুরে কিবা গভীর রাতে,
বিবি আছে তার আরও তিনজন ক্ষতি কিইবা তাতে,
কি প্রয়োজন, না হলে কি আসে যায়, বেশী বিদ্যা ও ধন কিবা অনেক বড় জাতে,
চাই শান্তি সুখের ঠাই, যদি মোটা কাপড়ে কাটে দিন আর মাছডাল দুধভাত পড়ে পাতে ।
তবু যদি হয়,
নিরাপদ একটা আশ্রয়,
নাইবা হোক,
যা যাই বলে বলুক লোক,
যা চাহে তব মন, নাহোক তেমন নহে তত, চাই সাধারণ মানসম্মত, এমন একটা নিরিবিলি আবাসন ॥
সুখতো আল্লার দান, তবে কিসের সংসয়,
বিয়েতে নিশ্চয় কোন পাপ নয়, বরং তাতে ঢের পুণ্য হয়,
এ নহে অপরাধ কিবা ভুল, তবে কেন এত বাঁধ কিবা বাঁধা ও ভয়,
সেতো মনের ব্যাপার, যেটুকু পেয়েছি তাই দিয়েযে মনেরে বুঝাতে হয়,
যুবক যুবতীরা বেসরম লাগামহারা, লিভ টুগেদার করে তারা, বিয়েতে কেন রাজী নয়,
অথচ দশ বছর না হতেই পার, আজিকার কিশোর কিশোরী তার, বিপরীত সংগী কেমনে খুঁজে লয় ।
তরুণ তরুণী ইচরে পাকা, ওভার স্মার্ট,
ভুলে গেছে তারা কোনটা শোভন, ইচ্ছে করেই করিছে হার্ট,
ছোট্ট এ জীবন, মরণের পরে রয়েছে প্রকৃত জীবনের আরেকটা বিশাল পার্ট ।
বয়সের তুলনায় বেশ বড় স্তন,
তবু নেই কেন তার কোন ওড়না কিবা আবরণ,
সে কি তবে উগ্র ক্ষুধার্ত নগ্ন অশোভন বিপণন,
চোখ ধাঁধানো নেশায় কি কহিতে চায়, সে কোন আহবান কেন করিছে প্রদর্শন, গায় গেঞ্জি ও স্কার্ট ।
যারা আমার মতন,
নহে কানা, একটু সচেতন,
রয়েছে মন নয়ন ও দরশন,
যার যাকে লাগে ভালো চাহে মন,
পরকিয়া প্রেম করেছে তার সুন্দর নামকরণ,
কেউ বলে মজার খাবার কেউবা মজার খেলা যৌন মিলন,
মামা-চাচা নয় আংকেল, ভয় নাই ভাই রয়েছে নানা নিরোধ উপকরণ ।
খায়না হিমশিম তবে কি আমরা ক্রমেই হচ্ছি আদিম, ভাবিতে কি লাগেনা একটুও ভয়,  
তারাই লাভবান, করেছে ধরাকে কিছু দান, লভেছে নবপ্রাণ আর সব দ্বিধা সংকোচ ও সংসয় যারা করেছে জয়,
যদি করে সবে দায় পালন, পাওনা ও অধিকার সবে পায়, কিবা সত্য ন্যায় ও সুবিচার মনের ভিতরে টিকে রয়,
এসো গড়ি হাতে হাত ধরি, এমন এক সংগঠন, অসহায় নারীদের যেন হয় ঠাই একটা শান্তি সুখের পুর্নবাসন ॥  
শুধু কাপুরুষই দায় নিতে ভয় পায়,
ভুল ধারণা ও অমূলক ভয় তাদেরে তাড়ায়,
তবে কি জীবনে তারা যেটুকু পায়, তারচে অনেক বেশী হারায়,
বিবেক মানে তৃতীয় নয়ন, বুঝি তাদের সে নয়ন শুধু সারাক্ষণ অচেতন হয়ে ঘুমায়,  
জীবন মানে পরবাসে কিছুকাল যাপন, ধরা দেয় যার কাছে যেমন তার অনুভবে চেতনায় ।
দেখি এ জগতে,
সবাই ব্যাকুল আরও বেশী পেতে,
ধন আহরণ আর বিনোদন ও ভোগবিলাসে মেতে,
বিবেকের আদালতে, সুবোধ সুজন আসল মানুষ এমন, হতে পেরেছে বলো কয়জন ॥


পর্ব - ০৬


কি প্রয়োজন, কার মন কি চায়,
মনের মানুষ জীবন সংগী হয়েও কি সবাই মনের খবর পায়,
কে খবর লয়, বিশ্বাস ইবা কজনের হয়, কি রতন আছে কার কাছে,
সবুজ সজীব সতেজ এমন কত বৃক্ষ আছে, কভু ফুল ও ফল ধরেনা যেই গাছে,
মন এক গোপন ঘর আর,
রয়েছে খোলা তার অনেক জানালা দুয়ার,
তবু কজনের হেথা হয়েছে গমন, রাখে কিবা জানা আছে তার খবর, কি ধন তার ভিতর রয়েছে মজুদ গোপন ॥
না বাঁধিলে ঘর, না করিলে সংসার,
তবে কি হবে তাদের, রেখেছে বিধি যাদের, বেঁধে জোড় যে দুজনার,
মহাপাপ অমান্য করা রাজার বিধান, হনন তার অধিকার, কিবা ঐ রাজ পরিবার,  
হয়ে অনুগত গোলাম দাস,
পেতে যথা মান বেশী দাম, চাই ষোলআনা বিশ্বাস,  
এ জগতে বিধাতার কে করিবে আলো ও ভালোর নিবিড় চাষ,
চাই রাজার সনে, প্রকাশে ও গোপনে, দেহটা ও আত্বার এক বন্ধন,
বিধাতার রাজ্যে তার পরিচিতি প্রকাশ ও প্রচার, চলমান এ প্রথা চিরন্তন,
এ ভেদ সৃজন, এ কাজ ও দায় কার, মানুষ শ্রেষ্ঠ সবার, না করিলে তুমি আর কে করিবে তার মূল্যায়ন ॥
চুপিসারে হায়,
সবইতো তার এ দুনিয়ায়,
মনিব তবু গোলামের কাছে কি যেন চায়,
সংগে রহে কি যেন কহে, চারপাশে শুধু ঘুরে বেড়ায়,
মহাবিদ্যান পন্ডিত কজনের অনূভবে চেতনায় আছে তা জানা কিবা ধারণায়,
তুচ্ছ ক্ষুদ্র কিছুনা কিছু ভাল কথা বলো ও ভাল কাজ কর,
পাঠশালা আছে খোলা, জগত জোড়া বিছানো তার বইটি পড়,
সামাণ্য দান করে মহান, হও রাজার কাছে আরও দামী ও অনেক বড়,
খুটিহীন ঐ আকাশে, করিবেনা নড়বড় যতই আসুক দূরন্ত ঝড়, সুরম্য বিশাল প্রাসাদ গড়,
কেজানে কখন কার আসিবে সমন, তড়িঘড়ি করিতে হবে গমন, অচেনা অজানা দেশে চির জনমের নির্বাসন ॥
চলো ভাই,
মিলে আমরা সবাই,
ঐ বুড়োর সনে রাজ নিমন্ত্রণে বেড়াতে যাই,
অনেক পুণ্য বিনা উপাসনা কেমনে হয় সে বাসনা খাসা,
কেমনে লোকে করে পায়ে হেটে রাজবাড়ীতে কুটুম হয়ে যাবার আশা,
জানিনা, নগন্য এক অধম প্রজার,
একোন মোহ বিলাস, উপহাস নাকি আরজি ও আবদার,
কিছু না দিয়ে, ডালাভরে শুধু নিয়ে, সেকি তবে তামাসার ভালবাসা,  
চলছে গোপন আয়োজন, রাজ সিপাহীদের মহড়ার মাতন, এক খাস মেহমানেরে জানাতে রাজার সাদর সম্ভাষণ ॥