পর্ব - ০১


মেধা ও মননের সবটুকু আরাম,
নেই কোন ঘাম, ঘুম মানে দুটি নয়ন বুজে দেহটার বিশ্রাম,
নেই কোন ভাবনা বিষাদ, পেরেশানি তাড়না ও অবসাদ, কিছুক্ষণ কিছুটা অসাড় ও অচেতন ॥
লোকে বলে নাকি, ঘুমে আর মরণে সমান,
নারে ঐ ফারাক যেন জমিন আর আসমান,
ঘুমেতে এই দেহটার ভিতরেই, অদেখা প্রাণ রহে বিদ্যমান,
মরণে এমনই হয় আর কভু নয় দেহটাতে ফিরে আসা প্রাণ,
চির অঁচল অসাড় ও অক্ষমই রয়, বিচক্ষণ চতুর ও সবল দেহের ঐ মানুষখান,
আর ঘুমে কোন শব্দ হলে, দেহটায় পরশ পেলে কিবা কেহ ডাকিলে তার হয় আবার জাগরণ ॥
ওরে ভাই নেঁচে নেঁচে এসে,
দুদিনের জীবনের ছোট্ট এই পরবাসে,
গোলামের তামাসা দেখে রাজায় বসে ঐ দূর আকাশে,
দয়াময় বিধাতায় সংগে থেকে নিজেরে ঢেকে আড়ালে রেখে চুপচাপ হাসে,
কয়জনে রাখে কিবা আছে সে খবর,
আহারে রঙ আর বাহারে আরামের ঘুমে কার কাটিল কয় বছর,
যারা দিনেরাতে সারাক্ষণ ঘুমে তারা জাগো, যদি কারো হয়গোা শুধু ষাট বছরের এমন একটা জীবন ॥
মরার মত বাঁচা নয়,
কেন মেনে লবে জিয়নে মরণ ও পরাজয়,
রয়েছে কল্যাণ ও মংগল এমন সৃজন যেন কিছুটা হয়,
মনন, গবেষণ ও দরশনে জীবনটা হওয়া চাই পুণ্যময়,
শুভ চিন্তা, ভালো কথা ও ভালো কাজে, পরের তরে দীনের ঘরে কিছুটা সময়,
বেশী ঘুম ভালো নয়, যদিও তাতেই হয় এই দেহ ও মনটার ক্ষয় সাধন, বিনোদন ও পরিপূরণ ॥
জীবনের কতটুকু তার,
কাজের সময় ও কাজ করা দরকার,
আর মেঘের সনে উড়ে ঐ মহাশূন্যে ঘুরে বেড়াবার,
কেমনে বাড়িবে কিবা ওরে শোধ হবে ঐ মহারাজার দাদনের ঋন আর,
কিবা এই দুনিয়া রঙীন, ঘুমে কার কাটিবে কতদিন, ঐ হিসাবটা সবার জানা প্রয়োজন ॥
বোঝাই ঠেলাগাড়ীটা দিনভর শুধু ঠেলা,
বিরান বিরাট গাঙের পারের বটতলার ঐ রঙ তামাসার মেলা,
ঠেলতে ঠেলতে সারাটা দিনযে গেলো, কখন নেমে এলো এখনযে ধূসর সন্ধাবেলা,
কি কাজ কি দায়, কেন হয়েছিল এ ভুবনে আগমন, ঐ কাজ আর দায়গুলি হলো কিনা সমাপন ॥


পর্ব - ০২

ভেংগেছে বেঁচাকেনার হাট,
খোশ গল্পের চার দোকানের জমে উঠা চাট,
বেলাবেলি যে যার মত গেছে চলি, এখন বিজন এই নদীর ঘাট,
সুজন আর সুমতি যার শুধু হয়েছে তারই লাভক্ষতি ও দেনাপানার হিসাবটা মিটমাট,
নিত্য নাহলে কমকরে ছয় ঘন্টার ঘুম, দুঃসহ হয়ে পড়ে আরাম ও প্রশান্তির এ জীবন ॥
আবু হকে ভেবে-চিন্তে বলে,
কারো জীবন সত্যই এমন কষ্ট আর বেদনার হলে,
ক্লান্তি অবসাদ যাতনা বিষাদ পেরেশানি তাড়নায় ঐ গাড়ীটা খুব ধীরেই চলে,
তার দিন আর রাতগুলি অনেক বড়, যদি বিধাতার করুনার বরফ না গলে ঐ দরিয়ায় তা উঠে উথলে,
আর সুখের হলে নাকি লোকে বলে শুকনায় তার নৌকা চলে, ঐ জীবন মনেহয় যেন শুধু অল্প কিছুদিন কিছুক্ষণ ॥
কিছু না বুঝিতে হায়,
রংগ করা সংগীদের মেলায়,
শুধু তামাসা, নানান খেলা ও অবহেলায়,
শৈশব কৈশোর ও তারুণ্যের ঐ দারুন প্রভাব ছোয়ায়,
বিশটি বছর আহা কখন কোন ফাঁকে যে নিরবে চলে গিয়েছে হায়,
বুঝিনিতো টের পাইনি,
বুঝি সে কারণেই ইস্কুলে ওযে আমি যাইনি,
শুধু খাওয়া আর ঘুমটা ছাড়া, কোন কাজই আমি যেন খুঁজে পাইনি,
আমিওতো সে সোনালী সময় অবহেলায় অপচয় করে হারাতে চাইনি, কেমনে যে হলো এমন ॥
রয়েছে এ জগতে কত পন্ডিত কানা,
সব হয়েছে শুধু হয়নি এ জীবন, জগত ও তার মালিকেরে চেনা জানা,
এখনও অনেক বাকী দেখাশেখা করতে ফাঁকি ও বিফল এ জীবনখানা,
আমি জানি আমার এ দরশন হিসাবখানা, কিছুতেই তাদেরে কভূ বুঝানো যাবেনা,
বেশী বিদ্যান, ধনবান ও ক্ষমতাশালী যারা,
তর্কে তাদের সনে কিছুতেই কখনওযে যায়না যাবেনা পারা,
এ সমাজের সরদার, কোন কাজে কারো কাছে তাদের হয়না মানা হার, ছাড়া শুধু ঐ মরণ ॥  
এ জগতে যারা বিত্তশালী অধিক ধনী,
তাদেরই বেশী দায়ভার, বিধাতার কাছে তারা পাহাড় সমান ঋনী,
বুঝিবে তারা তখন যত সম্ভ্রান্ত ও স্বনামধন্য,
কথায় বড় কাজে নয়, দেখা যাবে হিসাবে কে কি করেছে কার জন্য,
এ সমাজের জনবরেণ্য বড় মাথা, লম্বা হাত ও বিশাল যাদের থাবা ও পাত এমন যত জ্ঞানীগুনী ও সুধীজন ॥


পর্ব - ০৩


শেষ বিচারে বসিবে যখন ঐ কঠিন হাশর,
রোশেভরা বিধাতার ক্ষমতার অদৃশ্য হাত মহাভয়ংকর,
অচিন সে দেশে যেথা নাই কোন আপন স্বজন ও নেই বাড়ীঘর,
স্বাক্ষী আসামীর অংগসমূহ আর লাগানো আছে অডিও-ভিডিওর গুপ্তচর,
কেজানে কে জিতে কে হারে, তা নহে কভূ কারচুপি ও পক্ষপাত প্রমাণ নির্ভর,
কি সম্বল সংগে নিবি ওরে হেথা খাবি কি করে, যে বিশাল জীবন ওরে মরণের পর,
নিখুঁত ঐ বিচারক মহাপাকজাত নেই কোন জিত-ঠক করবেন সুবিচার সবার কর্ম্মের উপর,
আহারে আবারও বিশটি বছর, সেতো আয়ুর আরেক নিরব খর্গ নির্মম নিদান ঝড়, কাটিলে ঘুমে অচেতন ॥
কেটে গেলে বিশটি বছর,
বলো কি থাকে অবশেষ আর তারপর,
ছোট্ট এ জীবনের তিনের এক,
ওরে বোঁকা চোখ খুলে হিসাবটা তুই করে দেখ,
ঘুমেতে কুড়ি ও শৈশব-তারুণ্যের বিশ,
ষাটের কি থাকে বাকী আর তা থেকে বাদ দিলে এই চল্লিশ,
তোমার জীবনের বাকী আর মাত্র বিশ,
এই বিশ এ সব কাজ তোর করিতে সমাপন যদিরে না’ই পারিস,  
এ জীবন শুধুই একবার, তার উপরই পরকালের প্রাপ্তি বা পুরস্কার, হেথাও যদিরে হারিস,
কত কাজ, কত দায় ও কতযে ঋন,
আজও অনাদায় সে ভাবনায় ওরে মনটা কেন হয়নারে মলিন,
এই জীবনটা হোক আহারে যতই সুখ বাহারে তা যদি হতো ঐ মহাসিন্ধু কিবা যমুনার মত ইশ,
তাতে কি হতো ওরে,
থাকিসনে আর পড়ে মোহ ও ভুলের ঘোরে,
সাগর নদীরও আছে মরণ তা জানিস কি না জানিস ওরে স্বরণে রাখিস,
রহেনা তা চীরকাল উজানে বহমান,
তারও জোয়ার ভাটার,
পাওয়া নাপাওয়া কিবা কষ্ট হারাবার,
মহৎ অবদান কিবা ব্যর্থতারও রয়েছে অবসান,
জেনে বুঝে ও শিখে তা নেরে সবে,
মরণেতো সব হারাবে, সে সুযোগ ওরে আরকি হবে,
তাই তব সব অপূর্ণ আকাংখা ও বাসনার তৃষিত আত্মার চাই উদার ও সচেতন প্রশমন ॥


পর্ব - ০৪


সবারই এ জীবনটার,
আছে বাবামা ভাইবোন পরিবার,
এত প্রিয় স্ত্রী, আদরের সন্তান ও সংসার,
কত কাজ সবকিছু সাজাতে ও করিতে ভাজ গুরুদায়ভার,
এ জীবন সেতো বীজ বপন ও চারা রোপণ আলো ও ভালোর আপন বীজতলাটার,
এমন কত অসহায় নিরুপায়, তারাও পায়, নিরবে চায়, এ জগতে কেউ নাই আর কিছু নাই যার ।
ওরে জীবনটার,
হাতে আছে এখন আর,
মাত্র ওরে কুড়িটি বছর তার,
সুষম সমাধান সব জটিল সমস্যার,
কবেরে হবে সমাপন সমূহ ঐ দায় সমাহার,
কত কাজ আছে পড়ে, ছড়িয়ে বাহিরে ও ঘরে, দুই জীবনের দুই দুনিয়ার,
এইতো সময় এই কুড়িতে, হবে ভরিতে সব তব ঝুড়িতে সাধ প্রয়োজন যাহা দরকার,
ওরে হাতে আছে আর অতি অল্প সময়, ভাবনার বিষয় করিতে উপার্জন ও সঞ্চয়, চাই সম্বল ও ধন আহরণ ॥
এখন যৌবন, কিসের ভয়,
উজানে চলার ওরে এইতোরে সময়,
কোন হার মানা পরাজয়, কিবা ভাটিতেও যাওয়া নয়,
যখন গায়েতে সয়, তখনইতো বেশী ভার বহিতে হয় যা লোকে মেনে লয়,
সাবধান, সহসা যখন আসিবে ভাটির টান, জেনো তা কিছুতেই ঠেকাবার মত নহে নিশ্চয়,
অ ঘুমরে অ ঘুম,
সেই তার মধুর বাসনার কুমকুম,
এখন গহীন রাত চারিধার নিরব নিথর নিঝুম,
কারো চোখেমোখে আর দেহমনে ভোগের দারুন আকুল ধুম,
দীপ্ত যৌবন, সব জয় করিতে যখন চাহে মন, চাঁদটারে টেনে ধরে দিতে চুম,
কজনে জেনেশুনে এ জীবন করেছে বরণ, এসব ছবি কখনও কি জীবনে তারা করেছে দরশন ॥
তুমুল আলোড়ন কারো দেহমনে,
বড়ই ক্লান্ত পেরেশান হেরে যাওয়াগণ এ জীবন রণে,
নিদহীন গহীন রাতে কেউবা দাড়িয়ে উঠানে কৃঞ্চ গগনের তারকা গণে,
কখন সে ঘরে আসিবে ভোর,
যার সারা গায় খেলে যায় বিভোর নেশার ঘোর,
এই রোগে সবাই ভোগে, সকলেই দেখি হয় যেন বিবেকের ঐ চোর,
কেমনে কাটে সময় বিজন ঐ ক্ষনে, করিতে তা নিবারণ একেলা ঘরে বন্ধ জানালা দ্বোর,
শুধু তা নহে জীবন তবুও তার রয়েছে প্রয়োজন, কিছুটা আরাম আয়েশ হর্ষ ও ভোগ বিনোদন ॥


পর্ব - ০৫


অতি অল্প এ কাজের সময়,
আজিকার এই দিন হয়ত তব সোনালী বিজয়,
বদলে গিয়ে হতেও পারে তা, কালকের এক কঠিন দুঃসময়,
পেলেই ভালো, দেখিবে নাহলে সবকিছু এলোমেলো, এখনই ঐ রাজার পরিচয়,
মরণ এসে তোমার,
সৃজন ধ্বংস নিধন অপার সে ক্ষমতা যার,
সাধ ও সাধ্যগুলি কেড়ে নিলে সব দেখিবে তুমি অপার অন্ধকার,
দুনিয়ার এ জীবন,
ধনজন সুখদুঃখ বিনোদন,
যার হাতে জীবনের সবখান,
এ জীবন সময়ওতো, তারই দান,
মাটির দেহটার ভিতর অক্ষয় অমৃত যে প্রাণ,
সে এক বিধাতার অফুরান নেয়ামত ও অপার করুনার দান,
দাতা ও মহাজন আবার ইচ্ছে হয় যখন, না দিয়ে সমন তার সব দান সব ধন করিবেন হরণ ॥
মাটির খাঁচার ভিতর নিভৃতে আত্মার বাস,
খাঁচা ফেলে সে উড়ে গেলেই ঐ দেহটাযে হয়রে লাশ,
আবু হকে বলে, দেহ আর আত্মা দুদিকে দোটানা হলেই সব বিনাশ,
আর হলে তার সনে মিতালী হর্ষ গিতালী বিজয় উল্লাস,
কখনও ঝিল-কাননে কখনও মেঘের সনে, গোপনে বিজনে হেথা বসবাস,
পাখীদের কোলাহল কুজনে যেথা ঝর্নার জলে মুক্তোর দানা পড়ছে গলে হেন চীর মোহন বিলাস,
র্জীবনের অবসান হঠাৎ সবকিছু শেষ,
না বলে নিরাকার ঐ প্রাণ-পাখীটা হলে একবার নিরুদ্দেশ,
তার ইশারায় চুপিসারে পলায়ন, যে কারিগর করে এত সুন্দর সোহাগে যতনে করেছে তার এ ভুবন সৃজন ॥
আসলে ওরে ভাই,
মানুষের মরণ বলে কিছু নাই,
বিধির মহান চক্র ঘেরে মাটির এ দুনিয়া ছেড়ে,
কোন্ সে লোকান্তরে কিছুদিন পরে পরে নবনব এক ভিন সফরে,
রে মন শুধু সাধনায়ই হয় সাধন,
আকাশের অচেনা দেশে আসা ও যাওয়ার ঐ ভ্রমণ,
দেহ ও মনটারে করে সর্মপন তার চরণে থুয়ে কপাল কায়ঃমন ভজন ও পূঁজন,
শূন্য হাতে আঁধার রাতে করা গমন, চক্ষু বুজে নিঃস্ব হয়ে অসার ঐ দেহটা লয়ে সটান অচেতন করে শয়ন ॥


পর্ব - ০৬


ঘুমের চেয়ে ভালো জাগরণ,
আবার এমন ঘুমও আছে এক অন্যধরণ,
রাতভর যে ঘুমের পূরোটাই নাকি হয় হবে পুণ্য সাধন,
যে সময় কাটে জীবের সামান্য কল্যাণ সাধনের তরে করে মনন ও গবেষণ,
শুধু সে ই জানিতে পায়, বাকীরা হারায়, যেজন কায়ঃমন সবখানে সারাক্ষন করে তার অন্বেষণ ।
পড়েলেখে দুনিয়ার পাঠশালায়,
কে ফেল করে আর কেবা হয় পাশ ঐ পরীক্ষায়,  
সে দায় করে বরণ, ছেড়ে এ জগত সংসার হতে হবে সবে বিদায়,
বিশ্বাস হয়কি নাহয় রাখিও স্বরণ,
লোকের মোখে যা শুনেছি আর তারা যারে কয় মরণ, সেইতো মরণ ওরে সেইতো মরণ ॥
সবাই ঘুমায়,
শীতল কামড়ায়,
কেউবা নরম বিছানায়,
লঞ্চঘাটে রেলষ্টেশানে ও গাছতলায়,
কষ্ট-আরাম কম-বেশী সুখ যেমনই হোক যেথায়,
এই ঘুমেরও আছে ধরণ, হিসাব দিতে মূল্য নিতে হবে দায়,
কতজনের অনিদ্রায় আরামের এ রাতটা হায় অতি কষ্টে ভোর হয়ে যায়,
কারো ঘুম আসেনা ক্ষুধার জ্বালায়, রোগ যাতনায় কারোবা হয়ত কোন দূর্ভাবনায়,
ধনীরা যার ঘুম আসেনা অষুধ খায় তাই ঘুমিয়ে আরাম পায়,
কেউবা পেটের লাগি সারারাত জাগি কাজ করে আর কেউবা গান গায়,
কেউবা জোছনা মাখে গায় আর কেউবা আঁধার রাতে উণ্কা দেখে আনন্দ পায়,
বসে ষান বাধানো দীঘির ঘাটে, উঠানে গাছের তলায় ছাদে কিবা খোলা আংগীনায়,
শুনেছি কম কথন কম ভোজন কম নিদ যাপন ও নিগূঢ় গবেষণে নাকি কারোকারো হয় ঐ রুপ দেখার মহাসাধন ॥
বলনা মন, মানুষ ওরে কোনটা,
এই দেহ-খাঁচা নাকি তার ভিতরের প্রাণ-পাখীটা,
কারে মরণ কয়, কারইবা হয় মরণ আর ওরে কে মরেনা জানবে পরে বাকীটা,
করলে নিঝুমে তা গবেষণ ফুটবে তৃতীয় নয়ন,
জুটবে রাজকুটুমের ঠাই পাবে শেষদমে নবীর পুণ্য বদন দরশন,
আর যাবে কমে সব পেরেশানি তাড়না অনটন ভাবনা ও মনের যত নাবলা কষ্টবেদন ॥
এবার আপনি মন গহীনে বসে,
কিছুক্ষণ করো গবেষণ দেখোনা একটু হিসাব কষে,
জীবন, ঘুম ও মরণ তা হবে দিব্য দরশন কবির লেখনীর মধুহীন রসে,
কি ফলাফল বিজয় না পরাজয় সফল কি বিফল, কি লভেছ আজীবন তুমি এ ভুবন চষে,
এ পঠনে হোক জানা,
যত সব বিদ্যান মূর্খ ও কানা,
বানিজ্য বেসাতি কিবা ঐ বেঁচাকেনা,
লাভক্ষতি ও দায়দেনা হয়েছে কি তার সব জানা,
তব এ জীবন সময়, কাজ ঘুম দায় ও মরণ, আবার সফর এ আসা যাওয়ার একটা নিগূঢ় সমীকরণ ॥