কিছুকাল, কিছু সময়, কিছুদিন,
বদলে সময় হয়েছে তা বড়ই অসময় ও এসেছে দূর্দিন
ভরেছে ঝুলি, দেখেনা কেউ তা খুলি, অজানায় হয়েছে মাথায় কত দায়ঋন,
নির্মম বারতা ও বাণী, যেটুকু সত্য বলে জানি, এ জীবন আসলে তা অল্প কিছুক্ষন ॥
সুখ দুঃখের কত গল্প কথা,
কিছু পাওয়া ও অনেক না পাওয়ার কত কষ্ট ও কত ব্যার্থতা,
বড় মনে হলেও তাই, আবু হকে বলে আসলে না ভাই, অল্প কিবা অঢেল সকল প্রাপ্তিই একদা হবে হরণ ॥
যার যত আছে বেশী,
বিদ্যা ধন ক্ষমতা বাহুবল ও পেশী,
বুঝিনা সে ই কেন,
দেখি এ সমাজে হয়েছে যেন,
বিঞ্জ বুদ্ধিমান সম্ভ্রান্ত কূলীন ও সেরা,
এক হেন মধুভরা মৌচাক যেন তার কাঁটাঘেরা,
শত দোষে দুষ্ট, তবু তাবেদার কিছু চামচা চাটুকার যেন তুষ্ট,
তোষামোদ খোশামোদ ও গুনগানে পুষ্ট, মহা ঞ্জানী ও গুনী অতি ভালমানূষ সে একজন ॥
বিনয়ে সালাম ঠুকে,
পূজোর ছলে যেন একেবারে যায় ঝুকে,
যারা হায়, কিছু করুনা কিবা দক্ষিনা চায়, অনটনে গোপনে মরমে মরছে তিলেতিলে ধুকেধুকে,
ধন নেই তবে আছে মন, অতি সাধারণ এমন অসহায় মানূষগন ॥
কত উপহাস ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ,
শুনেও রয় নিরবে সয় মেনে লয় করে থেকে চুপ,
দেখেছি আমি, মানূষ কত নগন্য হয় হয়েও দামী, আর জীবনের কত শত বিবর্ন  রুপ,
যখন অন্তরে বহে ঝড় পেরেশানি ও তাড়নার দহন, ঘরের চেয়ে ভালো মনেহয় যেন বন ॥
ভালো মানূষেরা,
কোনঠাসা, নানা আপদে আর অনটনে ঘেরা,
এ জীবন হতো যদি জোয়ারের জলে ধোয়া এক নদী, নয়তো গয়া কাশী বৃন্দাবন, সেইতো ছিল সেরা,
রাতারাতি ঐ সবার,
ধনে বড় হবার মন্ত্র জানা আছে যার,
বাকীদের চৌদিকে বিবেকের বিধান ও বাধার ঘের, নেই কোন পথ, রুদ্ধ সব দুয়ার সুযোগ কিবা আয়োজন ॥
আসে বারবার,
ঘরে ও বাহিরে যার,
অক্ষমতার অপবাদ ও ধিক্কার,
যা বৈরাগী বানিয়ে তারে করেছে ধন্য আর তার অনেক উপকার,
ভাগ্য মন্দ, লোকে বলে কপাল ফাটা,
চলিতে পিছল পথ, ভাংগা রথ, বিছানো কাঁটা,
মনেহয় যেন দুয়ারে ঝুলানো ঝাটা, এমন বচন, ব্যাবহার ও আচরণ সারাক্ষন ॥
ছুড়ে মারা মিছরির ছুড়ি,
শান্তি সুখের এ আবাস পুরী,
আমি যেন এক অপরাধী করেছি চুরি,
হয়ে উঠে মন, বিষময় এ জ্বালাতন, মনেহয় এ ঘর যেন এক জেলখানা কিবা পোড়াবন ॥
কোথাও নাই কোন মিঠা,
সবার ভাগ্যে কি জুটে দই মুড়ি চিড়া পিঠা,
কারো কাছে নহে মূল্যবান, তাই বুঝি নিস্প্রভ নিষ্প্রান, কূলোর ঝাড়ায় ঝড়ে পড়া ধানের চিটা,
মন তার চায়,
গোপনে সে চলে যায়,
শান্ত নিরব বিজন অচেনা জায়গায়,
কেউ চিনিতে না পারে আর, যেথা কভূ খুঁজে নাহি পায়,
নেই কোন লোভ মোহ আশা, ভোগ বিলাস ও স্বপ্ন ভালোবাসা কোন প্রয়োজন কিবা অনটন ॥
চুপিসারে বসে,
খাতাকলমে হিসাব কষে,
যোগবিয়োগ করে পাল্লাতে ভরে যখন করে দেখি ওজন,
মিছে দুনিয়া, কি লাভ হলো মাল কিনিয়া, শেষে বেঁচা গেলোনা এখন,
আমি তবে কেমনে শুধি, সুদাসলে যেন ফাঁসি হয়েছে গলে, মহাজনের দায় ও দাদন ॥
যূগের সনে আর গেলোনা পারা,
এক ভাগ্যাহত ক্লান্ত তৃষিত মর্মাহত হতচ্ছাড়া,
লোকে যারে ডাকে বলে চিনে, নাম তার পূর্ব পাড়ার ঐ শ্রদ্ধাভাজন বৃদ্ধ হারাধন ॥
বলে, বুঝলে বাবা,
সে ইতো মূর্খ বোঁকা ও হাবা,
থেকেও নয়ন করেনা দরশন, যার নাই বাড়ীঘর, যেন সবাই তার পর, তেমন বিত্তবেসাত ও ধন ॥
এ ভূবনটা এক বিশাল মাঠ খেলার,
কে বেশী পায় আর, দৌড়ে কে আগে যেতে পারে কার,
যেখানে নিত্য বসে রঙের মেলা, সে হারজিতের এক মজার খেলা, প্রতিযোগীতার,
মাথায় বুদ্ধি আর গায়ে বেশী জোড় যার, সারাবেলা এই খেলা ঝুড়ি ভরে লুফে কুড়িয়ে নেবার,
সবকিছু বেশী বেশী নেই যার,
দৃশ্যমান, তার ইতো সবখানে দেখি হয়েছে হার,
এ জগত সংসার, বিত্ত, রুপ ও ক্ষমতারই শুধু জয়জয়কার, জীবনের বুঝি এইতো বিধান ও ধরন ॥
শান্ত শীতল মতি,
চঞ্চল তার অতিশয় ক্ষিপ্র গতি,
এই দেখি নাই, এই ওপাড়া,
কখনও হাটে কখনও গুদারা ঘাটে, যেন তার কিসের তাড়া,
নেই চূলোচাল, যেন সকলই জঞ্জাল, কোন আপনজন,
বউ ছেলেমেয়ে, সেই কবেই তারা সবাই, ভিটেবাড়ী ছাড়া, আর ফিরে আসে নাই, করেছে ভারত গমন,
শূন্য উদর তবু প্রসন্ন বদন, হারাধন ছুটছে বেগে, কি কাজে আছে লেগে, সারাক্ষন হন্ হন্ ॥
যার ভাগে সবকিছু কমকম,
এ জগত মায়ার সংসার যেন তার কাছে সম এক যম,
এক উদাসী উপবাসী সন্নাসী যাযাবর, সবাই যার পর ব্যাস্ত রহে সে হরদম,
হয়তো পেতো নিতে বুকভরে বড় দম, আহারে যদি ঠাই দিতো তারে কোন আশ্রম,
অতিশয় কম, তার নিদ্রা আহার বচন ও কথোপকথন ॥
কিছু ব্যাথা ও ভার,
নেই কোন রুপ রঙ ছায়া যার,
নাবলা এমন কত শত অস্ফুট হাহাকার,
এক বিশাল শূন্যতা ও অসীম অপার দীনতা না পাওয়ার,
সহন ও বহন যায়, কি লাভ হবে বলো কহনে তবে কেউ তার কোন দায় নিবেনা যখন ॥
কোন ফাঁকে কেটে গেলো বেলা,
বাড়িল ঋন, খেলে এতদিন এক অর্থহীন খেলা,
কত কাজ ও দায় অবহেলায় অনাদরে অনাদায় পড়ে রলো মেলা,
বিবেকের চোর, ধোঁকার জালে এক বোঁকার নেশার ঘোর, ভোগবিলাস বিনোদন মাতন ॥
কি বলিব কার কাছে,
তার কি দেখার মতন নয়ন আছে,
কেজানে, কে কি শেষে না বুঝে বলিবে পাছে,  
তার ইতো বেশী অর্জন কামাই সঞ্চয় সম্বল ও উপার্জন,
প্রতিদিন প্রতিক্ষনে,
সপ্ত ইন্দ্রিয় ও রিপুর সনে, সদা রত রণে,
নেই যার, লোভ মোহ আশা আর কষ্ট আবেগ, অাছে বেশী ত্যাগ ও বিসর্জন ॥
কেউ গর্বে বলে শুধু আমার আমার,
আবার কোন লোকে বলে, আক্ষেপের ছলে কিছু নাই তার,
কিছু নেই আসলেই যার,
তাকি শুধু ঐ বোঁকা দূর্ভাগার,
সান্তনার বাণী ও বচন, একটুখানি উপষম কিবা তার প্রহসন ॥
বিদ্যাহীন পন্ডিত হারাধন,
কিছু নাই কেউ নাই তবু সে মহাজন,
এসো ভাই সবে যাই তার কাছে করি কিছু পাঠ গ্রহন,
হায় হায় ইস,
না বুঝিতে গেলো চলে বছর বিশ,
যদি তার সম হয় ফেসবুকে সময়ের অপচয়, সে এক অবক্ষয় বিষ,
আবার ঘূমে যদি হায়,
আরও বিশ চুপিসারে চলে যায়,
কাটিল কত আর কত তার রলো বাকী,
ঞ্জানীগন কাটায় জীবন বাকীর ঘরে শূন্য রাখি,
এসোনা বসি, জীবনের হিসাব কষি ও তার ছবি আঁকি,
আবু হকে বলে, তুমি দেখিবে নাহলে, শেষ ভ্রমনে যাবার ক্ষনে ষোলআনাই ফাঁকি,
জান কি তব, কদিনের এ জীবন,
কেন বিধাতায়, কি সে চায়, এ ভবে তোমারে করেছিল সৃজন,
কখন আসিবে নির্বাসন সমন, করিতেই হবে গমন, তব জীবনের দায়গুলি তবে বলো কবে
আর করিবে সমাপন ॥