পত্র - পর্ব


ওরে আমার কাছে,
এমন একটা দেহ কোনে যা লুকানো আছে,
যা দেখে, তার তৃতীয় চোখে, তাই সে লেখে, দেমাগের ছোট্ট একখান আজব কলম ॥
সকাল বিকাল প্রতি ক্ষন প্রতি দিন,
হয়না ক্লান্ত, হয়না ক্ষান্ত, তাই বুঝি যা ভাবে সে সমিচীন,
বলে বলে, মনে করায় নানা ছলে কৌশলে, মনিবের কাছে গোলামের আছে যে ঋন,
ঘামেনা, ক্ষনিক থামেনা, বিধাতার বলে তার লেখা চলে, মেঘের ভেলায় জোয়ারের জলে, সারাক্ষণ হরদম ॥
একটা অতী সাধারণ বলপেন,
একাকি বসে, হিসাব কষে, মহাজনের দাদন ও লেনদেন,
যখন নিরব ক্ষন, কল্পনা অসাধারন, সব অনূভূতি ধারনা ও ধ্যান,
ছেলেমেয়ের ডাকাডাকি, এটা খান ওটা খান, উঠে এসে চানাস্তা সারেন,
তাদের মা খোঁচা মেরে, অযথা মেরে ঘা বিরক্তি ভরে, করে প্যান প্যান ঘ্যান ঘ্যান,
কি যেন যপে, চোখ তার লেপটপে, কে আসে কে যায়, কে কি মজা খায় নাহি তার ধার ধারেন,
বলে সে, দয়া করে বলেনতো আমারে, ঠিকমত খাননা ভাত,
কি করেন কি লেখেন ছাইপাস সারাদিন সারারাত, আপনার কি ব্যাথা করেনা হাত,
কিছু হরে শূন্য করে,
আবার কিছু তাতে দিয়ে ভরে,
যখন যেমন প্রয়োজন আমারে, নিয়ত তেমন নব নব সাজে গড়ে, কঠিন হলে আমারে পিষেদলে করে নরম ॥
পূরাতন ঐ চশমাতে কেমনে দেখেন,
আবেগ আর উচ্ছাস, কি বলেন কেবল মহারাজার দাস, কিজানি কত কি লেখেন,  
করেও এক ঘরে বসবাস, মনেহয় যেন তা একেবারে বনবাস, না কোন সংসারের খবর রাখেন,
আপনি আপনাতে মজে থাকেন, বুঝেন না কে আপন কেবা পর, দিরভর রাতভর বলেনতো কত পারেন,  
ফুরায় না কালি যে কলমটার,
নিশ্চয়ই তা বিধাতার অপার করুনার অবতার,
সব দোকানেই কিনতে পাওয়া যায়, এ কোন আজব কলম হে ঘরকুনো কবি তোমার, যদিও বা তার দাম অতী কম ॥
বহিতে পারেনা অপার দানের ভার,
তাই যেন তার, তীক্ষ্ন শানিত সে ক্ষুরধার,
অনেক জমে রয়েছে যেন হায় ছোট্ট ঐ মাথায় তার,
সচেতন হৃদয় মন, তৃতীয় নয়নখানা দায়দেনার এক বিশাল পাহাড়,
অনূভবে চেতনায় যেন তার, সাধ রয়েছে অপার, তবে জানে সে, নিজ সাধ্যে যে একেবারে অক্ষম ॥
অকপটে তাই কয়, যত সত্য বাণী,
যত অসহায়, মানূষেরে মমতায়, লয় তারে বুকেতে টানি,
একটু অসাধারন কিছুটা আজব,
আকূতি আর্তনাদ আহাজারি ও ফরিয়াদ সব,
তাদের কথা কহে, যারা চুপ করে সহে, তবু রহে শান্ত নিরব,
তা আবার সময় সময়,
কখনও যেন এমনই মনেহয়,
উঠিবে হয়ত হয়, ভয়াল রাজ, হবে তখন অগনিত সব যূলূমবাজ ও অত্যাচারীর বিশাল নিরব যম ॥
র্দূবলের বল, একটুখানি জল, যেথায় দারুন তৃষা,
মরনহীন ঐ জীবনের প্রতি জাগা তার একটু ভালবাসা,
তৃণকুটা দিয়ে গড়া, নয়ত মেরামত করা নতূন ছোট্ট একটা বাসা,
হতাশার মাঝেও যেন জেগে উঠা, আলোকময় এক ফুল ফুটা, বিশাল সবল স্বপ্ন আশা,
মজলুমের সিক্ত আঁখি, মুছে ক্ষনিকের শুস্ক মৃদু হাসা, আমার সকল সান্তনা ও সমবেদনার পুরস্কার ও উপষম ॥
শুধু হারায় যারা তেমন কিছু পায়না,
ঐ সব নিরুপায় অসহায় মানূষের সান্তনা,
যে কথা, যে বেদনা সহা কিবা কভূ কহা যায়না,
কারো মোখের খাবার জোড় করে কেড়ে নিয়ে খায়না,
ক্ষুধায় যারা কষ্ট পায়, তবু হাত পেতে কারো কাছে কিছু চায়না,
সকলের সেই, যার কোন কায়া কিবা ছায়া ও ভাষা নেই, নাবলা দুঃক্ষ বেদনা আর ভাষাহীন মরম যাতনার মলম ॥


মর্ত - পর্ব

সহন আর হার মানার নিরব স্বভাব তার,
কন্ঠে নাই না পাওয়ার কোন প্রতিবাদ হাহাকার,
নাই কোন তর্জন গর্জন আর বাহাদুরি কিবা অহংকার,
আপনার কাঁধে তার, বহে চলে চুপচাপ লয়ে আপনার ভার,
খুশী মনে হাসি মোখে সব মেনে লয় নিরবে সয়,
দুঃক্ষ আঘাত অনটন অপবাদ অপমান অঘটন পরাজয়,
সেইতো এক পরম পাওয়া মহাবিজয়, তাতে নেই কোন সংসয়,
ছড়ানো এত আলো,
তার সামান্য ওতো সে অনেক ভালো,
আঁধারে যা গিলে খেতে ভয়ংকর হাত বাড়ালো, ঐ কলমে পেয়েছি আমি খুঁজে তা যদিও বা মনেহয় কম ॥
যারা ভূল বলে, ভূল করে, ভূল পথে চলে,
ঝড়া তাজা ফুলগুলি জেনেশুনে দেখেও যারা দুপায়ে দলে,
তারা কি নয় মহাসৃষ্টির দূষমন,
চায়না প্রাণ, চাহেনা সৃজন শুভ ও শোভন,
কাপুরুষের মত, আঘাত ও আপদ যত, করে অনিষ্ঠ ও মর্মাহত, সুন্দরে পদাঘাত করে হয়ে বড় র্নিমম ॥
সে এক অদেখা মহা তোলপাড় আলোড়ন,
পড়িবে তার খাঁচায় যবে, হয়ত একটু হলেও হবে, তাদের মন সচেতন,
নিস্প্রান বিবেক ফিরে পাবে প্রাণ, আর অচেতন অশোভন ম্রিয়মান আত্বার হবে জাগড়ন,
মন্দগুলিরতো হবেই মরন,
সব অন্ধজনের খুলিবে অদেখা নয়ন,
সত্যগুলির মহাসম্মেলন খুলিবে ঢাকনা যখন,
শুরু হবে যখন, সৃষ্টির সেরা হবার অন্তরের সে মহাপীড়ন,
বিবেকের তাড়না, পেরেসানি ও যাতনা, কাটিলে নেশার ঘের, পঞ্চ রিপু ও ইন্দ্রিয় তাদের, পাবে সরম ॥
সবাই বুঝিবে হায়,
দুদিনের এই রঙের দুনিয়ায়,
মানূষ নামের মানূষ গুলির কিবা কাজ কিবা দায়,
কি দিয়েছ মানূষেরে আর কিবা চায় তার কাছে তার ঐ বিধাতায়,
নিশ্চয় বুঝিবে তা একদিন,
বিধাতার কাছে তার, কিবা দায় ও কিবা ঋন,
সামান্য আঁচে নতূন ছাচে গড়িবে অরুপ ধাচে নরম করে যত সব নির্মম ও কঠিন পাষান মরম ॥
অনেক অর্থ বিও আর,
বুদ্ধি বিবেক ও যত বেশী বিদ্যার,
অহমিকা ভরা, হাত লম্বা করা, কঠোর ক্ষমতার,
হস্ত বিবেক করিবে শীতল, যেখানে যত লুকানো বল, উগ্র বন্য হিংস্র ও গরম নিকৃষ্ট ও জঘন্যতম ॥
যেন সব অন্ধ ও যত মন্দ আলো খুঁজে পায়,
আর আপনাতে আপনি সবাই, খুউব ভালো হয়ে যায়,
যে যার তার নিজের ও অন্য সবার, জীবনটা ভালোতে ভরায়,
লিখে দেয় হেন বাণী ও পাঠ যাদুর পরশ ভরাই, সবারে লয় সে বাঁধনে জড়ায়,
শোধিতে পারে, মিথ্যা ও মন্দের কাছে না যেন হারে, লোকের ও রাজার কাছে যেটুকু আছে দেনা ও দায়,
হতে যেন পারে সবাই, যার মত এত ভাল আর নাই, এমন সুবোধ সুজন সেরা ও উওম ॥
তাদেরে শুধরে দিতে চাহে,
মাতাল বিনোদ ভালে অনল জ্বালে আপন গাহে
ঐ যারা, কেউ যদি কভূ খাঁদে যায় পড়ে,
তামাসা দেখে, নাহি তারে তুলিতে আহারে দুহাতে টেনে ধরে,
তেমন ভাল কাজ নাহি করে, সে ওতো কিছু ভালো যদিও বা ভালো কথা কহে,
করিছে শত ভূল, হারালো দুই কূল, কথায় পটূ র্তকে জিতে নড়েনা কভূ এক চূল, কেন তবু অনূতপ্ত নহে,
অবহেলা অবঞ্জা ভরে, নিজেরে বঞ্চিত করে, হতে সে মহাধন মূল্যবান, পাওয়া এক দান নেয়ামত পরম ॥


গগন - পর্ব

উওম হয়েও এ জগতে যারা,
নিজেরে ও বিধাতারে চিনলো না তারা,
বিদ্যান হয়েও র্মূখ চোখ থেকেও কানা রলো কারা,
দেখা চেনা শেখা বুঝা ও জানা কিছুই হলোনা যাদের তারা কি নহে হতভাগা হতচ্ছারা,  
ওলো দেখ চেয়ে তারা, লোভ মোহ মায়া ও ভোগে মাতোয়ারা, হয়ে রলো দামী হয়েও কমদামী ও অধম ॥
অন্তরে অদেখা ক্ষত,
অজানা শত শত রলো অগনিত,
কে আছে হেন বোঁকা আর, বলো তার মত,
পাহাড় হয়ে আছে জমে, দিনে দিনে সবই কমে, গোপনে অবিরত,
সহন বহন ও কহন সত্য ও সুবচন, সেই যেন হয় সবার দায় ভার, স্বভাব আচড়ন, সেই যেন আপন ধরম ॥
বুঝের হয়েছি যখন,
সেই হতে দেখছি আজও এখন,
তবে কি সত্য নির্বাসনে আর ভালোর হয়েছে মরন,
অনূভবে চেতনায় হচ্ছে অবিরাম কত নিরবে গোপনে রক্ত ক্ষরন,
আশা আর সাধ দিলেও রাজায়, সাধ্য দেয়নি আমায়, তাই বুঝি হয়নি সাধন,
তবুও ভাল সে ওতো এক পরম পাওয়া, এইযে বিশালের মাঝে বিলীন হয়ে যাওয়া, খুলেছে যে আমার তৃতীয় নয়ন,
আমি দেখেছি তারে, কোটি গুন আর কোটি বাহারে, অতল সাগর অসীম আকাশ ও পাহাড়ে, অন্তরালে এক অন্য জীবন,
সেইতো ভালো সবকিছু হবে কমকম, বুঝে জেনে ও মেনে রশিটা ধরে টেনে, সব তার বিধি বিধান ও নিয়ম ॥
বেশী ধন নাহোক উর্পাজন,
প্রাসাদ রানী মুকুট ও সিংহাসন,
শত সুখ আর সোনালী ভোগ বিনোদন,
ভালো কথা ভালো কাজ, নেই কোন ভয় লাজ, এমন সুবোধ সুজন,
আলো ও ভালোর চরম, ঐ বিধাতায়, ঠিক যেমন চায়, কানায় কানায় যেন ভরে যায়, হয়ে তার হেন প্রিয়তম ॥
না হোক রাজ্য জয়,
নেই কোন দায় নাই কোন ভয়,
বিশ্বাসে র্নিভরতায় আছে গোলামীর পরিচয়,
কোন কথায় কাজে কারো কাছে মোর মাথা নত নয়,
লোভ ক্রোধ ক্ষোভ মোহ হিংসা ও আক্ষেপ করেছিতো জয়,
যেখানে যাহা সে যখন দেখে,
বিজনে নিরবে বসে তার ছবি আঁকে ও লেখে,
জগতের শত রুপ ও রঙ আর,
তার সৃজনের, একটা জালের ঘের, জীবনের সহস্র বাহার,
আমারে করেছে মহান, ভরেছে হৃদয় মম পঞ্চ পরান, তার উপহার নেয়ামত দান এই কলম ॥
তবু ওগো পরম ধন্য আমি,
নাহয় হইনি তেমন, বয়েতো গেলো জীবন, ধনে ও বিদ্যায় দামী,
বারবার শুধু আমিযে তার, সহিতে পারা নেয়ামত ভার, ক্ষমা ও করুনা কামী,
মম এ জীবন, ধনজন লালন পালন সৃজন মরন, শাস্তি পূরস্কার সবইযে তার বিচার দিনের স্বামী,
হলেম ধন্য গোলাম হয়ে আমি, পঞ্চ হৃদয় সারা দেহ কায়ঃমনে, ভক্তি ভরে নত শিরে ছুতে পেরে তার ঐ শাহী কদম ॥
তা দেখে ওরে ভাই,
আমি দারুন অবাক হয়ে যাই,
কারো যেন একটুখানি ভাবার সময় নাই,
সেইতো বেশী ভাল সবকিছু কমকম,
ছেড়ে যেতে হবে, সবকিছু কেড়ে লবে না বলে যবে আসিবে যম,
অবিশ্বাসী সে নরাধম, যার আছে উল্টো মতামত, হারিয়ে পথ, নাহলে তবে নাই কেন তার দেখা ও জানার ফুরসত এক দম ॥
মোর কলমে দমে দমে কানেকানে মোরে কহে,
চলেছি যূগ যূগান্তরে যে কথা ও ব্যাথা গোপনে এ বক্ষে লয়ে বহে,
পরম আলো আর ভালো যেটুকু জানি, কারো চাহুক বা নাইবা চাহুক মন,
আমি জড়ো কলে লয়ে পাজরে টানি, মানূষ হবার সে পাঠ মন্ত্র ও বাণী করিব বিতরণ,
কেউ তা পকেটে করে,
কেউবা তার আত্বার ঝুলিতে ভরে,
কিবা কেউ মাথায় করে, নিয়ে যায় তা ঘরে,
সেইতো হবে আমার অতল গবেষন, অসীম সাধনার সাধন, পরম পাওয়ার রসে ভরা এক চমচম ॥