মা - গো - মা, বলো তুমি আছো কেমন ॥
নেই জানা ঠিকানা, মা তুমি কই,
কোথায় আছো কেমন আছো, ইচ্ছে করে দেখতে যাই খবর লই,
তোমার কথা ভেবে মাগো, হৃদ গহীনে সংগী বিনে মাঝেমাঝে আমিযে আকূল হই,
তোমায় বড় দেখতে চাহে, আমার অবুঝ মন ॥
মা তুমি হয়তো আমার সনে,
রেগে কিবা ক্ষেপে আছো মনেমনে,
ছিলেম মাগো অবুঝ কানা,
কথা শুনিনি কাজ করিনি মানিনি মানা,
আমি তোমার যোগ্য কিবা অনূগত ছেলে ছিলেম না,
দিয়েছি করেছি অকারন মাগো, তোমারে কত পীড়ন জ্বালাতন ॥
সেই মাকে, কেউ নেই আর, যার সমতাতে,
শুইয়ে দিলাম মাটির গর্তে ভিজা মাটির বিছানাতে,
সারা রাত ভর, মোশল ধারায় বৃষ্টি হয়েছিল সেই রাতে,
জলে একাকার মায়ের কবর সাধ্য নাহি চিনিবার, গিয়ে দেখি প্রাতে,
পানি নেমে গেলে, সব ভাইয়েরা মিলে, মাটি এনে দিলাম কোদাল ধরে এই হাতে,
আহা এই মানূষের জীবন কাটে, কত সুখে নরম বিছানার সোনার খাটে, ভোগবিলাসে এমনই মাতে,
এইতো জীবন, ভূলে যায় মানূষের মন, রয়েছে যে তার মরন ॥
হারিয়ে মাকে,
স্বিঃস্ব একা পথের বাঁকে,
গাছের তলে গোরস্থানে মনটা তাকিয়ে থাকে,
হারিয়ে তোমায় সেদিন মাগো কি ধন কি রতন, আমি হারিয়েছিলেম হাড়েহাড়ে বুঝেছি এখন ॥
কত দীনতা আর অপারগতা,
বোধ বিবেকের ছিল ঢের যেন পূরো একসের ঘাটতি ও অক্ষমতা,
কত ক্রোধ আর ভূল আচড়নে, দিয়েছি অজান্তে বচনে অকারনে কত কষ্ট দুঃক্ষ বেদন ॥
তা কি আর এ ভবে,
কভূ আর কোনদিন ওরে হবে,
যদিও বা হয় দেখা,
আপন দায় লয়ে সবায় নিজ মাথায় ছুটবে একা,
পেরেসান নিদানের সেই লিখন, যাবেনা খন্ডন রোজহাশর হবে যখন ॥
স্মৃতি ভূলে যাবে আর,
বদলে যাবে আহা দৃষ্টি সবার,
বেহাল নাজেহাল হবে, আপন তাড়নায় সবে করবে হাহাকার,  
না পেলে বিধাতার বিশেষ করুনার ছাড়, হবে কিম্ভুত কিমাকার বদলে সবার চেহারা বদন ॥
মরম পীড়ায় আজিকে আমি,
মাগো, বাবা আর তুমি ছিলে কতযে দামী,
আজ বুঝি হায়,
ছিল কত কাজ আর কতযে দায়,
বকেয় অনাদায় ঋন, হয়নি পরিশোধ কিবা সমাপন ॥
কত কষ্ট করেছ সারাটা জীবনে তুমি,
তবু সুখ পেয়েছ, মাথা পেতে লয়েছ, প্রসন্ন বদনে নতশিরে তার চরনে চূমি,
সয়েছ কত, কঠিন বিশাল পাথরের মত, রোগবালাই শত আর যত পিছু লাগা অনটন সারাক্ষন ॥
মনেহয় তাই সঠিক যেন,
তবু আজও মানূষ আমি হইনি কেন,
সহন ও বহন, সে ওতো তোমারই পঠন,
আছে স্বরনে, বলেছ পুলকিত মনে, করিতে হবে রণ,
কেন তবু হয়নি আহরণ, দাওনিতো একটুও কম শিক্ষা ও আদর যতন ॥  
পারলে দোয়া করো মা,
কোন কষ্ট যদিও মনে থাকে জমা,
কত আপরাধ ভূল, নেই যার কূল, দয়া করে আমারে মাগো, করে দিও ক্ষমা,
জানি সেতো আমারই দোষ,  
যেন বেঁচে যেতে পারি হতে রাজরোশ,
হইনি হতে পারিনি আজও কেন আমি, মাগো তোমার মনের মতন, তুমি ঠিক চেয়েছিলে যেমন ॥
তারুন্যে ছিলনাতো যেন মন,
হলো জাগড়ন, অনূভবে সচেতন,
যখন মন জাগিল, ফুটিল তৃতীয় নয়ন,
কতযে সাধ ছিল, তবে সাধ্য ছিলনা তেমন,
তারপর - - - মাগো তুমি, মাটির এ মন্দ জগত ছেড়ে একদিন করলে পলায়ন ॥
মাগো যেন আমি না যাই হারি,
হই দামী আর কিছুনা কিছু দিতে ও পাঠাতে পারি,
জগতের যত অভাগা অন্ধগন, আর লাগি তোমরা দুজন,
হেন, মাফ হয়ে যায় যেন মম সব ঋন, উপহার ও উপঢৌকন প্রতিদিন আজীবন ॥
বাবাকেও বলো যদিগো তার দেখা পাও,
মহা রাজবাড়ীতে তোমরা যদি কভূ খাস কূটূমের দাওয়াতে যাও,
পেলে তার সপ্ত আকাশে সিংহাসন আর প্রাসাদখানা যার, ঐ মহারাজার নিমন্ত্রন ॥
আমি তার খাস গোলাম হতে চাই,
মায়ের দোয়ায় যদি আমি আউলিয়া হয়ে যাই,
আর কিছু নয়, সেইতো আমার বাসনা যা পেলে অপার সান্তনা আর কোন কষ্ট বেদনা নাই,
পেতাম বুক ভরা সুখ আর, হতাম মিথ্যা মন্দে ঘেরা, তবুও সৃষ্টির সেরা, এমন মানূষ হবার হতো বড়াই,
বলিও, যদিগো মা পড়ে স্বরন,
পেতে তার করুনা আর কৃপাভরা প্রসন্ন মন,
যদিগো দেখা হয় নেতার সনে, আর হয় কোন আলাপন,
এইটুকু সাধনা মম, ধন্য আমি আর ধন্য আমার এ জীবন, যদিরে তা হয় সাধন ॥