মন তুই জানি কেমন,
বুঝালেও বুঝিস না, সময় সময় দেখিযে এমন,
শুনিস না মানিস না যেন, কেনরে কোন নিষেধ বারন ॥  
একটাই রথ,
সোজা একটাই পথ,
এক ঘরেতে দুজনার বসত,
দন্দে ভরিস, করিস হট্টগোল ও দ্বিমত,
নাই খন্ডন নাই বিভাজন, এক বিন্দুতে দুজন কেন হয়না এমন ॥
তবু জানতে ইচ্ছে করে,
অ তুই কেমন আছিস ওরে,
নাজানি তু্ই দেখতে কেমন, কোথায় আছিস এই এখন ॥
লুকিয়ে থাকিস, দিসনা দেখা,
আমারে তুই, বাহিরে থুই, ফেলে রেখে একা,
দিয়ে নাকে রশি,
কেজানে কোথায় বসি,
মম শিরা উপশিরায় নিরবে চষি,
চড়কির মত, তুইযে আমারে ঘূরাস,
এই খেলায় অবিরত, জানিনা তুই কি মজা পাস,
কি যে হরন তরন, সারাক্ষন করিস কেন জ্বালাতন ॥
কতনা নাকানি চূবানী,
আগে পিছে ডানে বামে টানাটানি,
খাওয়াস আমারে, সাতঘাটের সাত রকম পানি,
তবু কেন জানি, আমি পেলাম না ছাড়া, পেলাম না তোর দরশন ॥
গহীন নিঝুম বিজনে সুন্দর,
বৈভব আলোকন কলরব ভয়ংকর,
তুই ক্ষনে বন্ধু, তুইযে ওরে নিমেষে পর,
জীবন যেন এলোমেলো, করিস ঘরটা নড়বড়,
কখনও ভরা জোছনার বান, কখনও ঘন আঁধারের ঝড়,
কখনও থইথই জল, কখনও মরানদীর বাঁকে যেন এক শ^শান বালুচর,
মনেহয় কখনও দরদী আপন, আবার দেখি যেন, এমন কেন কখনও দূষমন ॥
কখনও চালক,
কখনও অবুঝ নাবালক,
কান্ডারী দিশারী ও পথ প্রদর্শক,
কখনও গুরু, পূরোহিত পূরো সিদ্ধ সাধক,
ম---ন, কে তোমার সংগীর মালিক মহাজন, কে করিছে তারে চুপিসারে লালন পালন ॥
দাও কত অনটন পেরেসানি তাড়না,
বলো কি নাই তোমার, আর কোনটা তুমি পারনা,
তবে কি তাই, তুমি ধনীদের, অসহায় গরীবের কারোনা,
কেড়ে নাও কারো দুধের বাটি,
কাউকে দাও বোঝার উপর শাকের আঁটি,
আবার দেখি পলকে কর দরিয়া পার, কারো কারো ভার, নিজেই তুমি লহ তুলে করো বহন ॥
মনের সুখ চোখের ঘূম নেও কাড়ি,
তাই কি গোপনে, সংগীর সনে দিয়েছ আড়ি,
দেখি তব মন ভীষন ভার,
ভেংগেছে যেন লাভের কারবার,
যখন তখন অকারন, বোঝাটা ভারী, নাহলে কেন দেখি তুমি নাই, বহিতে আর নাপারি যখন ॥
খুঁজে পাইনা,
জানা নাইযে ঠিকানা,
থেমে আছে একজন কানা,
মহাজন আর ফড়িয়ার দাদনের হিসাবখানা,
দেখা হয়না আজ বহুদিন,
কেজানে সুদাসলে হয়েছে কত ঋন,
হয়না এ জীবনের পানাদেনা লাভক্ষতি আর ভালমন্দের সুখদুঃখের আলাপন ও কথোপকথন ॥
ছেড়ে যেতে পারিনা আমি তোরে,
বারবার হারি তবু, সাধ্য নেই কিছু করি গায়ের জোড়ে,
দেহেতে আছে প্রাণ,
সেতো দাতারই করুনার দান,
এ বিশ^ভূবন সৃজনের কারিগর মহান,
তবুও তার কত সাধ আর সাধ্য সে, অন্তরালে বসে, করিছে হরন ও দমন নিয়ন্ত্রন ॥
এই দেহমন জীবনের মালিক,
দেখি নাই চিনিনা, পাবো গেলে কোন দিক,
দূর্বল অসহায় অক্ষমেরে,
হাতপা ও চক্ষুমোখ বেধে মেরে,
ফেলে রেখে মিথ্যা মন্দ ভূল মোহ আর নেশার ঘেরে,
হতভাগা এই আমার, কষ্ট আর বেদনাগুলির সমাহার, তারই এই পত্র লিখন ॥
তার করুনা ও মহিমার,
পাইনি আমি তেমন কোন ছাড়,
আমার দীনতা আর অপার অক্ষমতার,
শত হাটে, ঘাটেঘাটে কত আমার হয়েছে হার,
সুখে দুঃখে তারই বুকে, তবু তার অসীম রুপের সাজানো পসার,
তোরে আমার বড় দেখতে ইচ্ছে করে,
বলনারে থাকিস তুই কোন বাড়ীতে কোন ঘরে,
তোর সনে মোর কিসের এত,
নাই বিভাজন এমন এক দেহের মত,
তোর আর আমার, প্রজা রাজন এই দুজনার, কোন সে নীবিড় যাদুর মায়ারঅ বন্ধন ॥
আবেগ আর খেয়ালে নয়,
পরাজয় নহে, চাহি সাফল্য বিজয়,
সাধিতে হবে দোহে মিলে সলা করে যা ভাল হয়,
কি নেই আর কি পেলাম না,
অনূভবে চেতনায় দীনতার এই ভাবনা,
দিবে কষ্ট করিবে পথভ্রষ্ট পেরেসানি তাড়না ও যাতনা,
নহে মোহে অনূরাগ, অনূক্ষন সচেতন জাগড়ন সাধনা ও সাধন, আলো আর ভালোতে ঘাটতি পূরণ ॥