পর্ব - ০১


ঘরে কি বাহিরে,
যেদিকে আমি চাহিরে,
দেখি সবারে রেখেছে ঘিরে,
বিভোর যাদুর নেশার এক ভোগের ভিরে,
চলনে বলনে কাজে,
রঙ মেখে যেন সবে আসল ও ভালো সাজে,
আসলে সেতো আসল নয়, শুধু যেন অভিনয় আমরা যেটুকু জানি তা নকল পরিচয় ॥
দেখেছি যুগ যুগ ধরে,
এক চালের তলে একই ঘরে,
এক বিছানায় শুয়ে মনের ভিতরে,
পর ভাবনা লুকিয়ে থুয়ে সেযে বসত করে,
মন ভুবনে এক পরের সনে দূর বিজনে গোপনে বিচরে,
জীবনটা কেটে যায়,
সুখের ঠিকানা যেন তবু খুঁজে নাহি পায়,
সুখের অভিনয় করে, বন্দি হয়ে ওরে যেন এক জেলখানায়,
যদিও মোখে সুখসুখ বলে,
সুখ কারে কয় জানেনা আসলে,  
কেন এমন হয়, অন্তরে অন্তরে তারা যেন কেউ কারো বন্ধু আপন নয় ॥
দেখি চুরি করে,
গোপনে হেথা বিচরে,
অন্যজনা বসত করে মনের ঘরে,
ওরে মন, অল্প সুখে যদিরে তব মন না ভরে,
কেন আর এখানে রয়েছ পড়ে,
যদিরে ইচ্ছে করে, ঘর ভেংগে সুখী হও নতুন জীবন গড়ে,
ভিতরে বাহিরে দুই,
যেমনি চলছিস যা করছিস প্রতারণা তুই,
তবে মরণের নয়, নহে আল্লাহর ভয়, সে কিরে শুধুই লোকলজ্বার ভয় ॥
নিজের পছন্দে বিয়ে করে,
সুন্দরী সেই বউটা রেখে তার ঘরে,
ডুবে ডুবে জল খায় নষ্ট মেয়ের প্রেমেতে পড়ে,
একদিন হয় পরিচয়,
লোকে যারে পরকীয়া প্রেম কয়,
আসা যাওয়া ও কথাবার্তায় ভাব বিনিময়,
শেষে পরস্ত্রী ও পরপুরুষের নাকি যৌন মিলনও হয়,
কারো জীবন চলে জনমভর,
এমনি করে হয়ে যেন দায়সারা দোসর,
যদিও হয়ে পড়ে নড়বড় ভালবাসা ও বিশ্বাসের ঐ ঘর,
গোপনে মনের মানুষ হয়ে যায় পর, অদেখায় অজ্ঞাত গুনায় পুড়ে সুখশান্তি করে ছারখার করে লয় ॥


পর্ব - ০২


দেহটারেই তারা চায়,
একবার যদিরে তারা হেরে যায়,
আর চাইলেই তা যখন ওরে হাতের নাগালে পায়,
বয়সের দোষ মন ও মেজাজ খোশ করা যেন হয়ে পড়ে বন্ধুর দায়,
দুজনের যখন একই চাওয়া পাওয়া নহে কেন নিরব বিজন কোন এক আংগীনায়,
পরিণয় নহে দুজনেই ভাবে,
কহে সে নাহয় পরে দেখা যাবে,
কে চাহে নিতে বলো এমন এত দায় ও শেষে পড়ে ঝামেলায়,
এইতো ভালো আছি বেশ,
কখনও পাশে সুখের হুতাষে কখনওবা নিরুদ্দেশ,
যেটুকু সুখ ওরে এই ঘরে আমার কাছে, মোহ ও চাওয়া পাওয়ার নেইকো শেষ,
না কাটিতে ঐ পঞ্চসুখের রেশ,
দেখেছি জীবনে অনেক ধ্বসে যেতে লাগে এ নিমেষ,
সেটুকু বলো কজনে পায় বা কজনের আছে, আমার যেটুকু জানা আমি তা করলাম পেশ,  
লাগামহীন মাতাল নেশায়, চড়ে ও ভেসে মেঘের ভেলায়, গাছে গাছে লতাপাতার দোলনায় দোল খায়, হলেই প্রণয় ॥
ফ্রি সেক্স কাহারে কয়,
আর সে ভাব কেমনে গড়ে নিতে হয়,
বুঝিনা তাতে বাবামার কেন এত ভাবনা, বাধা ও ভয়,
টিনএজ ছেলেমেয়েরা নাকি বলে সেতো এক মজার খাবার দারুণ খেলা তেমন মন্দ কিছুতো আর নয় ॥
শিখিয়ে দিয়েছে সব অধুনা পাশ্চাত্য সমাজ,
ভেংগে এদেশের তরুণ ও যুব সমাজের সংকোচ, জড়তা ও ভয়লাজ,
বুঝেছি তার কারণ, বুঝি তারা ঐ সুখেরই মোহতাজ,
দেখি ৩০/৩৫/৪০ বছর হলেও শিক্ষিত ও স্বচ্ছল ছেলেরা কেন বিয়ে করতে চাহেনা আজ,
নগ্নতা আর বেহায়াপনার মহাকাশ জাল,
হয়েছে এ কালের এক অদেখা ভয়াল মহা জঞ্জাল ও কাল,
হয়ত চাইলেই পায় বলে,
নারীর প্রতি আস্থা, ভক্তি ও আকর্ষণ বুঝি গেছে চলে,
বিবাহে আগ্রহ নেই, স্ত্রী সন্তান ও সংসার নাহলে কেন তবে তারা চায়না তাহলে,
সেতো এ দেহটার দামাল চাওয়ার ছলে,
ক্ষণিকের উঞ্চ পাওয়া যৌবনের দাওয়া, চুরি করে খাওয়া, কিসের মায়া কিবা অভিসার কেমনে তা হয় মধুময় ॥
অনেক বন্ধু কে হবে আপন,
কারেও ছাড়িতে কভু নাহি চাহে এই মন,  
বুঝেনা বেহায়া অবুঝ অস্খীর মন কোথাযে সুখ আর কোথায় কষ্টবেদন ।
যদি বলো তা প্রেম নয়,
তবুতো দহটার আনন্দ সুখ বিনিময়,  
হতেও পারে কাল, যদি তা দেহমনে গেঁথে লেগে রয়,
পরকীয়া প্রেম কালিমাময় ও সে এক অবক্ষয়,
বিয়ে হলেও অন্যজনে অন্য কোথা, যদি সুখ না হয়ে তা হয় জ্বালাময় ।  
উঠিবেই একদা ঝড়,
যে ঝড় ভাংতে পারে ঘর,
বিয়ের আগে প্রেম অতি ভয়ংকর,
শেষে কে হবে দূষমন কে আপন কেবা পর,
এমন হতেও পারে হয়তোবা জাগবে আবার পূরাতন প্রণয়, ১/২ যুগ পর,
প্রতিহিংসা, ক্রোধ, ক্ষোভ, মোহ ও লোভ নিশ্চিত নিশ্চয়, অনাগত জীবনের কোননা কোন এক সময় ॥


পর্ব - ০৩


দিয়েছে এ আধুনিক যুগ,
সভ্যতার নামে এনে ঢের অসভ্য সুযোগ,
হয়েছে মোদের জীবনে আপদের যোগ বাড়তি কিছু উপভোগ,
সে তো আর কিছু নয় অন্যায় সম্ভোগ, মন ও দেহের ভয়াবহ এক জটিল রোগ ।
এ বিলাস আনিছে না কি সর্বনাশ,
মাটির দুনিয়ায় রবেনা কিরে আর শান্তিসুখের বসবাস,
কে হবে বিধির নিধি, কে হবে তার খাস গোলাম দাস,
আমারতো ভয় হয়, বিধাতার এ সৃজন ধারা আলো ও ভালোর চাষ,
হয় মিথ্যা মন্দেরই জয়, যদিরে শেষে এ ভুবনে বেশী দিন আর টিকে নাহি রয় ॥  
তার মাঝে দেখি যেটুকু ভালো,
আবু হকে কহে তা নহেরে আকাশের আলো,
বাহিরে রঙ মাখানো চোখ ভরানো মন রাঙানো ভিতরে ভীষণ কালো,
তারাই এ সমাজে চতুর,
যুগে নাকি চায় অতিশয় র্স্মাট তাই তারাই যায় বহুদূর,
হলেও কালিমায় ভরপুর, ভাবছে তারাই ভাল, সবার সেরা ও বিশ্বটা বুঝি তারা করেছে জয় ॥      
কেউবা আবার ঘরে,
ধড়ফড়িয়ে ও আক্ষেপ করে মরে,
কেনরে হলোনা চার বিয়ের বিধান নারীর তরে,
বিধাতার বিধান লংঘন, সে এক অভিশপ্ত জীবন ছলনা ও কলংকময়,
ওরে বোঁকা সে কি নাহিরে মস্ত ধোকা প্রতারণা ফাঁকী,
ছোট্ট জীবনের কদিন আর রয়েছে বাকী, মনেহয় সামনে এক পরাজয় ও মহাঅবক্ষয় ॥
মন ভরেনা চোখ ভরেনা,
এ দুইয়ে মিলে যেন আমারে দেয় তাড়না,
কিছু আছে কিছু নাই,
যারা করে পরম সুখের বড়াই,
এ জগতে তাদেরওতো ঠিক যেন তাই,
এইতরে সুখ ভরেনা সবার বুক এইতো জীবন ভাই,
সুখের লাগিয়া এখন, আমি বলোনা কার কাছে যাই,
ওরে যেটুকু আছে,
এ কুড়ে ঘরে আমার কাছে,
পেয়েছে তা কয়জন দেখেছ কি একবার তা করে যাচাই,
দেখনা মনরে, একবার হিসাব করে, ষোলআনা কানায়কানা তা কি কারো কভু দেখেছ হয় ॥
দুই নায়ে দুই পা,
উতাল মন বলে যেদিকে খুশী চলে যা,
এই দোটানা,
ওরে মন মোটেও ভালোনা,
খাবো কি খাবোনা চলে যাব কি যাবনা,
তবে কেনরে তুই যাসনা, কে তোরে করেছে মানা,
চলনে বলনে কাজে তবু একদিন,
বাধা হয়ে আসে কিছু পিছুটান কিছু অদেখা ঋন,
অন্তরের খবর জানেন অন্তরের মালিক,
লোকে বলাবলি করে যখন সবার চোখে তা ধরা পড়ে যায় ঠিক,
এই দেহ আর মন,
না হলে এক কারো কাজ ও বচন,
মনেপ্রাণে এক না হলে ওরে সেইজন, আবু হকে বলে আসলে আজীবন অসুখী রয় ॥