নাবলা কষ্ট বেদনার ফল, দোচোখের দোফোটা জল ॥
কিছু কিছু চোখ আছে কাঁদেনা,
বাহিরে নাই ছাপ, বুকেতে বুকফাটা বেদনা,
এমন অল্প শোকে মন হয় কাতর,
তবেতো ভালই যদি নিভৃতে অশ্রু ঝড়ে, পড়ে তা টপটপ ঝড়ঝড়,
নাহলে বিপদ, অধিক শোকে বলে লোকে, কন্ঠ নিরব আর বুকটা যেন হয় পাথর,
মন ভরে করিলে কান্না,
অনেক কমে যায় নাকি বেদনা,
সে ও যেন এক মস্তবড় সান্তনা, কান্নার পর বুকের ভিতরটা যেন হয় শান্ত শীতল ॥
কাউকে বলেনা মন,
কেউ জানেনা তার কি কারন,
গোপনে শত রজনীর হয় তার নিদ হরণ,
উতাল মন পায়না উত্তম, এমন কোন আর যাতনার মলম, কিসে হবে প্রসমন ঐ বিষাদের ঢল ॥
মনের সামান্য আঘাত,
জ্বালা হয়ে আসে জোছনা ভরা রাত,
অসার অঁচল যেন হয়ে আসে সারা দেহ পাও হাত,
মনে রাখে মন, তা আজীবন, বিবেকের সনে হায় বাধাতে চায় সংঘাত,
আশা গুলিরে যেন হায়, জোড় করে ধরে গিলে খেতে চায়, ঐ কষ্ট আর হতাশার দল ॥
সেতো কান্না নয়,
যদি কখনও কখনও হয়,
সান্তনা আর অদেখা সমবেদনার জয়,
কান্নার রোল সে এক অস্ফুট বোল সময় সময়,
অতী আপন জন, যেন প্রিয় বন্ধুর মতন, দরদীর বেশে কাছে এসে কষ্টটারে করে তল ॥
প্রাসাদ পুরীও পুড়ে ছাই করে দিতে পারে,
অত্যাচারী যূলূমবাজ দায়ে পড়ে যায়, যেখানে হারে,
কেউ সাদামাটা কারো কপাল ফাটা কারো পূর্ন হর্ষ বিলাস,
একজন রাজা, একজন তার দাস, তবু কেন এক ঘরেতে বসবাস,
মানেনা পরাজয়, মজলুমের বুকের চাপা কষ্টের একটি দীর্ঘশ্বাস যেন দাউদাউ এক দাবানল ॥
কালিমাভরা ঐ বিষাদ,
নিরব করুন নির্মম আর্তনাদ,
জীবনটারে বানায় যেন এক বিশাল কারাগার কিবা ফাঁদ,
দেয় বাঁচার আশা, একটু ভালবাসা, হারিয়েও দিক পায় ফিরে ঠিক, এক সঠিক মনোবল ॥
এক বিষাক্ত ছোবল,
শুপ্ত আগ্নেগিরির দাবানল,
বড় মমতায় কে যেন ধূয়েমুছে দেয়,
এক প্রশান্তির ঘরে, হাত ধরে টেনে ডেকে নেয়,
মনের যত কষ্ট বেদনা সকল, আরজি বাসনা গুলি হয় সফল, দেহমন হয় সজীব ও সচল ॥
চোখ যে মনের, সুখবেদনের কথা বলে,
কখনও হাসে উল্লাসে, কখনও ভাসে তপ্ত লোনা জলে,
খোদার আরশ কাঁপে,
বিধাতা রহেন যেন কঠিন চাপে,
যার লাগি যতটুকু সুখদুঃখ সে রাখে মাপে,
ক্ষনে ক্ষনে উঠে দরিয়ায় তার, যেন করুনার সে এক অপার ঝড় হেন থরথর টলমল ॥
তার মনে যেন আর নাহি সয়,
নিজেই কষ্ট পায়, এমনই ধারনা হয়,
মানূষের মন তার আয়না,
অকূলে পড়েও সে কূল হারায় না,
মিথ্যে নয়, যদি কভূ কভূ হয়, ভূল সে ধারনা,
তবু ধারা হারায়না, কলকল ছলছল প্রবল এক ঝর্না, যেন মুক্তো দানার মত স্বচ্ছ পরিমল ॥
সকরুন আর্তনাদ ও ফরিয়াদ,
কত সোনার সিংহাসন, রাজ প্রাসাদ,
হয়েছে মৃত্যু কূপ, বিরান বিজন ধূলিসাৎ বরবাদ,
বুঝেনা মানূষ, চোখেতে রঙের ফানুস এ জীবন এক রঙ মাখানো ফাঁদ,
কত কাফেলার অভিযান, কত রণ কত প্রাণ, করুন পরাজয় আত্বহনন সম করেছে বিফল ॥
একটি সকাতর মুনাজাত,
দেখেছি জীবনে কত সে লম্বা হাত,
বদলে দিয়েছে সোনালী দিন সামনের তিমির রাত,
কত দূরন্ত ভয়াল, রাহুর বাহু বেসামাল হয়েছে কূপোকাত,
কারো পোয়া বারো বাজিমাত, ক্ষুদ্র অভিসম্পাত, আর নাহি প্রভাত,
এক ফোটা তপ্ত জল, কারো কপালে হাত, নিমেষে নিপাত, সমূলে বিনাশ ঐ দূষমনের দল ॥  
খবরদার ভেংগোনা কারো মন,
মানব হৃদয় সে নাকি এক খোদার সিংহাসন,
এ মাটির জগত ভূবন, হোক তা যত বড় তখ্ত ও আসন,
একেবারে মূল্যহীন, তারচে অনেক বেশী দামী ভিখারীর মাটির বাসন,
অদেখায় আছে, বাদশার কাছে, এক পাহাড় সম দায়ঋন, হয়ে যায় নড়বড়ে, করে তা ধূলিসাৎ টলমল ॥