বন্ধুরে---তুমি যাবে নাকি একদিন, বেড়াতে মোর বাড়ীতে ॥
পাকা কলা পেয়ারা ও পেপে গাছে,
গুড় মুড়ি চিড়া নাড় ও খই কতকি ঘরে আছে,
মাঁচানে ঝুলছে ঝিঙ্গে লাউ, আছি আমি তাজা সবজি ও ভাতেমাছে,
ঘরভরা হাসমুরগীর ডিম, সরপড়া ছাগলের দুধ আছে, কড়কড়া ভাত ভরা মোর মাটির হাড়িতে ॥
দলবেধে এসে, বিষের পোকামাকড়,
যেন সুখ পায়, নেঁচেনেঁচে হরষে কামড়ায় মাথার ভিতর,
সেকি সুখের জোয়ার নাকি বিরহের ঝড়, আমার মনের মানূষটা হয়েছে জনমের পর,
কি সুখে রেখেছে বিধাতা,
যদি একবার এসে তা নিজের চোখে দেখিতা,
নহে তা এক বিন্দু, আমি আছিরে বন্ধু, অপার সুুখ আর মজার একেবারে শেষ সারিতে ॥
সুন্দরী বউ, প্রাসাদ বাড়ী,
শহরে, কত সুখ কত ধন কাড়িকাড়ি,
অনাদরে হায় যেন তা যায়, ধূলিবালুকায় গড়াগড়ি,
আবেগ আর সামান্য ভালবাসার কাছে কেউকি কভূ যায়গো হারি,
বাড়তি সুখের আশায়,
বলো কে যায়, অজ পাড়া গাঁয়,
সে গুলি ছাড়ি, হাতের কাছে থাকিতে, শত র্হষ বিনোদন আছে যার সামান্য বেদন ঢাকিতে ॥
অনূভবে চেতনায় যেন হায় অস্ফুট এক হাহাকার,
ঘরে বাহিরে এ মনের গহীন গভীরে যেন এক শূন্যতার পাহাড়,
আমার অল্প চাওয়ার তাও কি সবটুকু তার হইল ফাঁকি,
কত চাওয়া, কত সুখ পাওয়া, আর কত কথা বলা এখনও রইল বাকী,
ম্বামী সন্তান ও সংসার সবইতো আছে আমার, তবু কি যেন নাই, মনে চাহিলে তুমি মোরে তাই, দিতে পারিতে ॥
হাহুতাষ কলরব, নিরব মাতনের হৈচৈ,
যে কান্না কভূ শোনা যায়না, সে সুখের গল্প কারে আমি কই,
আজও তোমার যাবার পথে, অ নামে ডাকবে বলে আমি কান পেতে, সুদূরে চেয়ে দাড়িয়ে রই,
শান্তিপুরের টিকেট কাটা নাই যার,
জীবন নামের ইষ্টেশনে আমি যেন এমন এক পেসেঞ্জার,
নিয়তির বিপাকে পড়ে, জানিনা নাকি আমি ভূল করে, উঠে চড়ে বসে আছি যেন, অন্য কোন এক গাড়ীতে ॥
আমি এত বেহায়া বোঁকা কেন,
সে স্মৃতি কিছুতেই ভূলিতে পারিনা যেন,
আছে মোর সবই ঘর বর,
এক মুসাফির অসহায় যাযাবর,
যেন আমি বড়ই একা, সবার অচেনা পর,
মম সাজানো মনকানন হতোকি এমন বিরান ধূসর, তুমি যদি না মোরে জনমের তরে ছাড়িতে, চোখের ঘূম কাড়িতে ॥
স্বাক্ষী আমার এই ক্ষতবিক্ষত বুকের পাঁজর,
কত শূন্যতা নাপাওয়া আর দীনতা ও অক্ষমতা এ বুকে হয়ে আছে যেন এক ভারী পাথর,
তবু ভাল ইতো ছিলাম,
এই মোর কতনা সুখের ধাম,
যদিও তোমার কাছে নেই মোর কোন দাম,
জানা ছিলনা, না পাওয়ার বেদনার এতযে র্নিমম তার পরিনাম,
সামান্য হলেওতো সুখ পেতাম, মুছে না দিয়ে মন থেকে সেই নাম, জানিনা বিধি কেন মোর হলোরে বাম,
এ অন্তরে যে মোখের ছবি আঁকা, যেন করেছে সবকিছু মোর বিরস ফাঁকা, যা লেখা বুকের পাঁজরে ধমনী ও নাড়িতে ॥