চতুর কি বোঁকা অ মানূষেরা,
যা ছিল পাঠ, শেষ হয়েছে কি তা পড়া ॥
পড়া তো নয়,
যেন তা কঠিন মনে হয়,
পড়তে জানিনা, তাই কিছু লাগে ভয়,
ছোট্ট শিশুর হাতের মোয়াতো নয়, ভাল ছিল কত, তা যদি হত, শিশুর মন ভূলানো ছড়া ॥
কে যেন সুধায় মোরে,
র্সূয় ডোবার পরে, ঘূম হতে উঠে অতী ভোরে,
সব কাজে সবখানে সারাক্ষন আজীবন সারাদিন সারারাত,
খোলা ইস্কুলের সব জানালা দুয়ার ও তোমার বিশাল বইয়ের পাত,
কেন পড়না লেখনা, তবে কি তুমি চোখ থেকেও কানা, রয়েছেতো তোমার হাত,
সেইতো পড়া, চলনে বলনে ভক্ষনে শয়নে জাগড়নে উঠা বসায় আচড়নে, নিজেরে মানূষ রুপে গড়া ॥
বলে দাওনা, হে মহান গুরু,
কোথা হতে আমি কেমনে আজি করব শুরু,
যদি দেখা জানা, শেখা চেনা না হয়রে তোমার সঠিক ও পূরো,
আছে কি স্বরন, হবে মরন, যেতে হবে তড়িঘড়ি, পাপপূন্যের ঝোলা ভরি, এলে ঐ অদেখা চিঠিটা উড়ো,
নহে কোন ভূল ধারনা, বুঝতে হবে সঠিক,
না যেন হয়, কভূ এমনও নয়, যেন তুমি একজন দিক হারা পথিক,
মিথ্যে জীবন হলে অবসান, হবে নাজেহাল পেরেসান, দেখিবে কত আপদ আর নিদান, পড়বে যখন ধরা ॥
নিমেষে পড়বিরে তুই বিষম ফেরে,
খোদ খোদা নিরাকারে, যে ছিল ভিতরে ওরে, যখন তোরে যাবে ছেড়ে,
পরবাসীর ভিনদেশ, তোমারও মেয়াদ শেষ, পাসর্পোট ও ভিসাখান হঠাৎ নেবে কেড়ে,
আর নহে অবস্থান গায়ের জোড়ে, বাহাদুরী বড়াই আর স্বাধীনতার অবসান, যাবেনা থাকা, চট্টগ্রাম কি ঢাকা খুটা গেড়ে,  
দেখবে শেষে, আপন র্কম্মদোষে, পড়ে রাজ রোশে, ক্ষেপে ছুটে এসে, বারবার করবে প্রহার রাজ সিপাহীরা ॥      
হবে জীবন শেষ,
সবকিছু নিলাম তুইও নিরুদ্দেশ,
পালাবার পথ পাবেনা কিবা আর কারো দেখা, শূন্যহাতে আঁধার রাতে একাএকা কাঙালের বেশ,
মহারাজার, এক ফেরারী আসামী আর খেলাপী ঋনদার, যা খুশী খেয়াল ও ইচ্ছে মত আর যাবেনা কিছুই করা ॥
যদিরে হঠাৎ এক ঘায়,
থমকে গিয়ে দমের মেশিন নিথর হয়ে থেমে যায়,
সবল ও সচল দেহ, পারেনা ঠেকাতে কেহ, অসার অচল হয়ে ধূলাতে লুটায়,
অচেনা আজব এক অন্য দুনিয়ায়,
শুরু এক নতূন জীবন, পূরান হিসাব, বকেয়া দায়,
আপনার দায়, দেমাগে কেন নিতে নাহি চায়,
না ভাবিলে, কেমনে ঢুকিবে দিলে আসিবে তা ধারনায়,
ওরে অবুঝ বোঁকা মন,
সেই লেখাপড়া না হলে সমাপন,
আবু হকে বলে, যদিরে আসে চলে ঐ সফরের সমন,
ভোগের নেশার ধূমে, অচেতন ঘুমে, না হতে বিবেকের জাগড়ন,
ঐ বিদ্যা বা পড়ার, বিকল্প আর জুড়ি নাই যার, জীবনের ভেদ সার, ঐ ভ্রমনটার র্অথইতো মরা ॥
মনের ঘরে চুপটি করে বসে একা,
ভেবে দেখা, পড়াগুলো হয়েছে কিনা ভাল করে পড়া ও শেখা,
যদি না হয় চৈতন্যোদয়,
অন্তরে আলো আর ভালোর ঐ সূর্যটার উদয়,
কেন মন জানিতে শিখিতে চিনিতে ও বুঝিতে নাহি চায়,
না উঠে ঝড়, হৃদয়ের ভিতর, ঢেউ লাগে, লাফিয়ে জাগে অসার মানবতায়,
অনূভবে চেতনায় আসল মানূষটার, না হলে জাগড়ন আর, না খোলে তৃতীয় নয়ন তার ঐ রোশনীতে ভরা ॥
তুমি কি সেই ছাত্র যে করেছে ফেল,
কি পাবে হাতে আঁধার রাতে যদি বুঝে নিতে সারাদিন গেল,
কে চাহে এমন জীবন, যারে মরনের পরে ক্রুব্ধ ক্ষিপ্ত রাজন, নিবে ধরে দিবে জেল,
শোভা আর সৌরভে ভরায় হও এমন, সবুজ শ্যামল ফুল ফল ভরা কানন, না হয়ে এক মরা নদীর চরা ॥
ভর্তী বেতন নাই,
প্রভূই দিলেন সব গোলামের নাম লেখাই,
সকলের তরে সাজানো মেলায় রয়েছে ছড়ানো বই খোলা,
হলেও, তারা দেখেনা যারা ভোগেতে বিভোর রয়েছে আত্বভোলা,
অগনিত বিষয়, কেউ পন্ডিত হয়, তবুও কেউবা র্মূখ রয়, বিশ্ব জোড়া একই পাঠাগার ও একখানাই তার পাঠশালা,
বলতে কি পার কোথায় সেখানা, কজনের আছে জানা তার ঠিকানা, তা কত বড় আর কজনে হেথা নিত্য গমন কর ॥
জান কি ভাই কি আছে হেথা,
হয়নি নিবন্ধন নবায়ন, কপালে করুন দুঃক্ষ ব্যাথা,
তবে, কেমনে তারা মানূষ হবে, নাই যাতায়াত কোন যোগাযোগ যেথা,
বেলা বেশী নাই আর,
ঐতো বুঝি ঘনালো ঘন আঁধার,
যদি পারই তবে অবহেলে কেন হার, সেইতো ভালো যেটুকু পার, দিন থাকিতে দিনের আলোতেই পড় ॥
শেষ হয়নি যাদের শেখা ও পড়া,
ধরেও কোন ভালকাজ হয়নি ধরা কিবা করা,
সব থেকেও যারা হতভাগা, প্রাণ থেকেও যেন ম্রিয়মান আধমরা,
কিছু দান অবদান উদার ও মহান কোন পূণ্যর্কম্ম এখনও যদি না হয়ে থাকে করা,
তবে আ- - -জ, না হতেই সাঁঝ, পূন্য সম্বল আর, যা করা দরকার, তাই তড়িঘড়ি ভাই এখনই তোমরা সবাই তা কর ॥
ইকরা,
ইকরা মানে পড়া,
সৃষ্টির লাগি সামান্য কিছু ভাল কাজ করা,
অন্তরে একটা বিশ্ব পাঠশালা আর ভালর পাঠাগার গড়া,
হলে ঠিকমত ঐ সব পড়া, তা হবে শিখরে উঠার যাদুর সিড়িতে চড়া,
কি পড়ব, কেন পড়ব সবইতো আমার জানা, ছোট্ট এ ধরাটা মোর হাতের মুঠোয় ভরা,
বিধি কয়, মনেহয় তুইযে আজও কানা,
ওরে হতচ্ছাড়া হয়নি শেষ দেখাশেখা চেনাজানা ও বুঝাশোনা,
আকাশে বাতাসে মাটিতে জলে এত ঞ্জান বিদ্যা ও মানিক রতন ছড়িয়ে রয়েছে বোনা,
তবুও কেন খুঁজে পাওয়া গেলোনা, ঐ তারা পেলোনা তার আস্বাদন, কিবা আহরণ করা হলোনা,  
যদি তাই তবে হয়,
দেখি ভাই শত ঝুকি আর আপদের ভয়,
সম্বল সঞ্চয় কি আছে জানিনা ভাঁড়ারে তোমার, মনেহয় যেন তার শূন্য তিন কোনা,
ঝাটা নিয়ে ঝাড়ু দিয়ে দূর করা দরকার, হেন মনভাব তোমার, সবজান্তা ও হামবড়া,
পঠন মানে তড়িৎ উম্মোচন ঐ তৃতীয় নয়ন,
জীবনের সিলেবাস খান, কে পেয়েছ তার সন্ধান করেছ দরশন,
মগজে বুকে ও শিরায় ধারন ও শিখন আর আলোকিত হবার সব ধরনের অনূশীলন ॥
সে এক মহাধন,
পঠন শিখন ও লিখন,
জান কি ধনবান বিদ্যানগন,
কপালে জুটিলে সে এক পরম সাধন,
আবু হকে বলে, মানূষ হয়না মানূষ, সৃজন ও সাধনার ধন না হলে সমাপন,
ওরে পথ হারা, আপন ভোলা যারা, হলে চক্ষু খোলা হলে সাধন, সে নেয়ামত সবারে যেন তোমরা করো বিতরণ ॥
করোনা বিদ্যা ও ঞ্জানের বড়াই,
দেখাশেখা চেনাজানার অন্ত নাহি, তার সীমানা কোথায় জান কি তাই,
বেশী জানতে বেশী শিখতে ও ভাল মানূষ হতে প্রচুর পড়ার কোন বিকল্প নাই,
সেতো আমার মতে,
তা ভূলওতো পারে হতে,
বেশী বেশী পড়া চাই যার কোন অন্যটা নাই, তোমরা ভাই ভেবেচিন্তে তাই করে নিও তার সংশোধন ॥
চীরসত্য আকাশের বাণী,
দুহাতে শিরে ও বুকেতে টানি,  
কি আছে তাতে, লহ পড়ে শিখে জানি,
নাহলে কিছুই পাবেনা হাতে,
জানিবে এ জীবন তবে, শুধু পেটেভাতে,
তোমার কাজের কই মাহিনা বেতন, একলা যখন কোন এক আঁধার রাতে, করিবে কিবা করিতে হবে আপন বাড়ীতে গমন ॥
হলে ঐ বইটি পড়া,
হয় জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজটি করা,
আবু হকে বলে, নাহলে এ জীবন জিয়নে মরা,
কেননা, হাতে অনেক কাজ সময় অতী কম,
বইপড়া - ভালয় সময় কাটানোর তাই এক উপায় উত্তম,
জানা ও শেখার,
ক্ষুদ্র চোখে, ঘরে বসে থেকে, অনেক দূরে দেখার,
কখনও না হওয়া একা, বিশ্বটারে ভাল করে দেখার সহজ ও শ্রেষ্ঠ মাধ্যম,
দূর্ভাবনা থেকে বেঁচে থাকা,
নিজেরে আলাদা করে, আলো আর ভালোতে বেধে ধরে রাখা,  
কথা মিথ্যে নয়, অতী সহজ হয়, দীক্ষা লওয়া ও মানূষ হওয়া সুবোধ সুজন ॥
পড়তে দিলাম একটি মাত্র বই,
তাতে আর এত বেশী পড়া কই,
কেন বলো তুমি, সে অনেক পড়া,
পথেপথে চেকপোষ্ট রাজ প্রহরা,
ঘাটে ঘাটে যখন হবে শত জেরা,
চাই তড়িৎ সঠিক জবাব, শত প্রশ্ন করা,
হবে যাচাই বাছাই, বারবার তল্লাশী ভরা,
হবেনা পাশ করা, নাহলে তা দেমাগে ও দেহে ধরা,
এক বিশ্ব পাঠশালার,
মনের ঐ অচিন পাঠাগার,
অদেখা সপ্ত জানালা আর পঞ্চ দুয়ার,
সচেতন ত্বক, খুলিবে নাক চোখ ও কান সবার,
তীক্ষ্ন তুখোর ক্ষুরধার, যাহা মন্দেও কভূ হার না মানার,
হবে হ্রাস হবে পদানত, যত সব ভয়ংকর ও নিরব ভয়াল পাহাড়,
জানা হলে পরিচয় পেলে দরশন,
কে তুমি আর কে তোমার মালিক মহাজন,
কে দিলো এত ধনজন এত সুখ ভোগ বিনোদন,
মুসাফির হয়ে এসে, অরুপ ভিনদেশে তব কেন এ জীবন,
তারপরে শেষে কাঙালের বেশে, শূন্য হাতে আঁধার রাতে, আবার কোথায় করিবে গমন,
জানিলে তোমার, দেখিবে নাই আর, কোন কষ্ট হার কিবা ঋন, নাই পরাজয়, এ জীবনে কভূ আর কোনদিন হবেনা মরন ॥