ভূমিকা – যারা বিজ্ঞ ও বিচক্ষণ তাদের মেধা ও তৃতীয় নয়ন অণুক্ষণ ঐ ছোট্ট মাথায় অগণিত ও আজব যত সব প্রশ্ন বানায় এবং মনন ও গবেষণায় এক এক করে তার জবাবও দিয়ে যায় । তাই তারা আঁধারেও সঠিক দিক ও পথটা খুঁজে পায় । আর যারা ঠিক তেমন নয়, তাদেরকে পড়ে পড়ে, দেখে দেখে, শুনে শুনে এবং হয়ে বিশ্বাসী ও করে সুজনের অনুসরণ ও অনুকরণ অসাধ্য ঐ কাজটি সাধন করে নিতে হয় । আকাশ, জমিন ও জলের এ মহাজগতের একজনই স্রষ্টা, দাতা, পালক, প্রভু ও মালিক সেকি সত্য নয় । তার ভুবন জোড়া উম্মুক্ত এ মহাবিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হয়েও যদি তার সহজ বাণী ও পাঠগুলি সমাপন করা না’ই হয় তথা চেনা, জানা, দেখা ও শেখার ঐ কাজ বা দায়গুলি বাকীই থেকে যায় তবে নিশ্চিতই সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হয়েও বৃথা ও বিফল তাদের ছোট্ট এ মূল্যবান জীবন । তাই ক্ষুদ্র এক অনুকম্পা থেকেই ঠিক তাদের জন্যই আমার এ নগণ্য লিখন বা বিরচন । তা আসলে চিরন্তন সত্য প্রকাশ ও প্রচারের আপন দায়বদ্ধতারই এক তুচ্ছ দুঃসাহসী প্রয়াস ।
আমার মন বলছে, রবীন্দ্র জীবন দরশন, সত্য ও সরল পথের সাধারণ চলন, বচন ও লিখন এবং জগদীশ্বরের প্রতি তার বিশ্বাস, ভক্তি, শ্রদ্ধা, বিনয়, মান্যতা, ভজন, পূজন, কীর্তন ও ভয় বিধাতার মন করেছে জয় । তার গহীন আধ্যাত্বিক অনেক সংগীত আকাশবাণীর ঐ কথাইতো কয় । যার একটি ”হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে” যুগ যুগান্তরে আজও অনেক সুফি সাধক ও পুরোহিত পূজারির প্রেরণার উৎস হয়ে রয়েছে । তা সব মানুষের নাহয় নাহোক, হয়তো ছুয়েছে ও তাতে প্রীত হয়েছে প্রভুর হৃদয় । খোদার সনে তার প্রিয় শ্রেষ্ঠ সৃজন ইনসান যে গোলামেরই একবার জানা, পরিচয় ও ভাব হয়েছে তা তার গুণ ও কাজে নিশ্চয় অবয়ব, পরিচ্ছদ, জাত পরিচয় কিবা নামে নয় ।      


পর্ব – ০১


ভুলিয়ে রাখার কত কি দিলে,
আমার হিয়ার মাঝে গোপনে তুমি লুকিয়ে ছিলে,
হাজার পর্দার অন্তরালে, জানি তুমি ইচ্ছে করেই ঐ গোপনে নিরবে রহিলে,  
ঝলসে ধূসর ও বিবর্ণ না হয়ে যায় সবুজ ও নীলে, তাই বলে কি তুমি এই ভেবেছো তোমায় দেখতে আমি পাইনি ।
ঠিকই আমি বিভোর নেশায় মজে গিয়েছিলাম,
তবু হে মনিব আমার, ভুলিনি আমি দমে দমে যপেছি তোমার নাম,
কত পেরেশানি ভাবনা, ছিল অবসাদ আর শত তাড়নার গড়িয়ে পড়া যত সহস্র ফোটা তপ্ত ঘাম ।
এ দেহটার ভিতরে যে প্রাণ সঞ্চার,
সবকিছু টুটে এসেছি ছুটে মম পঞ্চ হৃদয় আর,
চরণে তোমার ঢেলে দিয়েছে তার পরম ভক্তি-ভজন ও পূজার প্রণাম,
না প্রভু না ওরে, কভু ক্ষণিকের তরে, হারাইনি দিক,  ভুলেও তোমারে ভুলে আমিতো আর কোথাও যাইনি ।
আমি চিনেছি, জেনেছি ও দেখেছি তোমায়,
লাখো তোমার অরুপ বাহার, মহাসৃজনের যাদুময় এক রঙ সুষমায়,
ঐ বাণী ও পাঠগুলি আজও যাইনি ভুলি, দমে দমে ও কাগজে কলমে তুমি দিয়েছো যা মোরে শিখায় ।
যেটুকু পরম জ্ঞান,
দিতে ভরে তুমি মোরে দয়ায় করেছ দান,
আমার চাওয়ার সবটুকু পাইনি বলে ব্যথিতও হইনি কভু, রহিনি ম্রিয়মাণ,  
তুমি হাত ধরে ধরে, আমিও লয়েছি শিখে পড়ে পড়ে, জাগ্রত রিপু ও সতেজ ইন্দিয়ের দেহখান ।
হে বিরাট হে মহান,
তব করুণা ও ক্ষমতার প্রমাণ,
খুঁটি ও প্রান্তহীন ঝুলন্ত ঐ সাতটি আসমান,
তবু মাথার উপরে, কভু যায়নি ও যাবেনা পড়ে, তা চির ভাসমান,
হে করিম, মহিম, রহিম ও রহমান, তব করুণার সব দান অসীম ও অফুরান, ভরেছে মম দেহপ্রাণ ।
সদা মোর দেহ, মন ও প্রাণ,
নিরবে সরবে গভীর গহীনে গাহিছে তব গুণগান,
ছুটে গেছে শুধু তোমারই কাছে, নিশ্চয় তার প্রমাণও আছে, কে বলেছে তোমার গান আমি গাইনি ।  
এ বুকে ও শিরে,
বলো কি মম তব জালের বাহিরে,
যখনই দেখেছি ফিরে, নিরাপদ এক অদৃশ্য চাদরে সবখানে সদা রেখেছে ঘিরে ।
আরশের শীতল ও আরামের ছায়ায়,
আশা-নিরাশায়, পরম নির্ভরতার তব নিশ্চিত ভরসায়,
সুখে-দু:খে ও আপদে নিদানে আমায়, যখন ছিলেম বড়ই একা ও অসহায়,
দুহাত পেতে ও একটা বিশাল ডালা বিছায়, কি পেয়েছি কি পাইনি, না ভেবে তাই কি আমি তব কাছে চাইনি ।
সে এক দারুণ মজার খেলায়,
সাতরঙে সাজানো, কত সুর বাজানো ও চোখ ধাঁধানো ঐ মেলায়,
কোন ফাঁকে হায় কেটে গেছে দিন, হরষের বিভোর বিলাস ও বেহুষ হেলায় মলিন, হেরিনু এ পড়ন্ত বেলায় ।
তাই রাখিলাম চাই,
তুমি ভুলে না যাও আর যেন আমি পাই,
না রেখে তুলে দিও মোরে ডেকে সবকিছু ভরে, যা তুমি রেখেছো নিঁখুত সাজে যতনে সাজাই ।
গামছা, গেন্জি ও জুতার ফিতা হতে,
নিজ হাতে গড়াই, বাঁচতে ও চলতে খেতে যা প্রয়োজন হবে ও হয় দুই জগতে,  
হে মহারাজ আগাম আরজি আমার, গোলামের লাগি সুদূর আকাশে বানানো তোমার ঐ কুটুমবাড়ীখানি ।
মাটির দুনিয়ায় মাটির মানুষ করিয়া সৃজন,
দিয়া তারে অন্তরালে যেন নিদানে বেহালে কাজে লাগে ঐ তৃতীয় নয়ন,
তারে সৃষ্টির সেরা করিলে যখন,
জানিলাম স্রষ্টা মোর তুমিযে শুধু একজন,
বলো আর কেমনে তা রহিবে গোপনে, হে জগত মহাজন,
যখন তা আমার পড়িল স্বরণ, হঠাৎ হলো জাগরণ, বুঝিলাম যে পাবার তাই পেয়ে গেছে তব দরশন ।


পর্ব – ০২


ঢেকে রেখে তব বদন,
হে মহান দাতা, করিছো যাদেরে লালন পালন,
হতে কি পারেনা, তাদের মাঝেও রয়েছে এমন কোন কোন জন,
ফুটেছে যার তৃতীয় নয়ন আর লভে তব দান হেয়েছে যেজন সুজন, সুবোধ ও বিচক্ষণ,
আমাতে নাহয় তুমি রলে লুকিয়ে তব পরিচয়, হয়েছে কি লাভ হয়েও অতিব সাধারণ, রয়েছে কি তা গোপন ।
কেনরে তুমি অগোচরে করছো বিচরণ,
বিনয়ে তব চরণ চুমি, বিশ্বজুড়ে বেড়াও ঘুরে হে প্রভু মহাবিশ্বরাজন,
তব এ মহাজগত সংসারে, সকল জীবের তরে শান্তি, সুখ ও প্রগতির চিরন্তন সুন্দর সে এক সুনিপুণ আবাসন ।  
এ কেমন মহৎ ও উদার রাজশাসন,
যে বাসনা ছিল তব, করিবার কালে আদমকে সৃজন,  
হয় যেন সবে, তোমারে চিনিবে, মাথা পেতে লবে ও হবে তোমার মনের মতন,
সেকি পলায়ন নাকি তব স্বেচ্ছা নির্বাসন, হাতে-কলমে শিখাতে সবারে ও গড়িতে প্রজারে করে সুবোধ সুজন ।
ধন্য ও সফল ঐ জীবন,
এমন ভাগ্য বলো এ জগতে লভেছে আর কয়জন,
পদে পদে ও প্রতিক্ষণে ও দমে দমে বিশ্বাসী ও অনুসারীর নাকি হয় পুণ্য সাধন,
তাই বুঝি ধন্য আমি, অধম হয়েও হয়েছি এত দামী, পথের দিশা আর ঐ ঠিকানাটা তার যখন আজও হারাইনি ।
ঘুরে ফিরে ও বিচরে,
সপ্তাকাশের ঐ আরশে বসে ওরে,
কেমনে ও কেন তবে সে, প্রজার প্রাসাদে ও কুটিরে,
জনম জনম ধরে, নাহলে কেন তবে আর মহাকাল বসত করে তার বেশুমার গোলামের ঘরে ।
সৃজন, প্রলয় ও নিধন,
অনুক্ষণ সারা মহাবিশ্বটা বিচরণ,
কেমন রাজন আর কেমনইবা তার সিংহাসন,
ভোগের নয় শুধু দানের তরে, তার ভান্ডারে অফুরন্ত ধন-রতন,
কার কি আছে কি নাই করিতে বিতরণ, সমস্যা, আপদ আর আরজি, আকুতি ও প্রয়োজন,  
ঐ রাজার কি নাই আর সে কি পারেনা, যখন যা চাহে মন, অনায়াসে তার ইচ্ছেটার নিমেষে হয় সাধন ও পূরণ ।
কল্যাণ ও মঙ্গলের কারণ,
বুঝি হয়তো গোলামেরে শুধু দিতে চাহে বিধাতার মন,
মিথ্যা-মন্দ হীন, নাই কোন মহাজনের দাদনের ঋন, সবারে এমন এক সুখের জীবন ।
হলেও এত কাজ আর এত দায় তার,
শির ও মননে পাহাড় সম প্রতিক্ষণে চেপে থাকা ঐ ভার,
তবু কেমনে সে এত প্রশান্ত ও শীতল ক্লান্তি, অবসাদ, আহার, বিশ্রাম ও নিদ বিহন,
সকল জীবের ভিন্ন আহার যোগান, করিছেন মহাজগতটার দান-বন্টন, লালন-পালন, দমন, নিয়ন্ত্রণ ও সুশাসন ।
আমার যত দায় ও ভার নিরবে বহি,
অদৃশ্য ব্যথাগুলি সব একাকি গোপনে সহি,
তোমার বাঁধা সীমানার আঙ্গিনাতেই আমি আমাতে পড়ে রহি ।
যার দান সব নেয়ামত, বিনয়ে ও সাদরে আমি দুহাত পেতে লহি,
আমিতো কভু তার ঐ নিয়ম ও বিধান আর, নিয়ন্ত্রণ জালের জানি আমি বাহিরে নহি,
কেউরে না বলে, কখনো প্রসন্ন কখনোবা তপ্ত চোখের জলে, সব কথা হে প্রভু আমি শুধু তোমারে কহি ।
বুঝি আমারে তারা হারাতে ও ডুবাতে চায়,
তখন আমি চলে যাই, আকাশ ও শীতল মাটির নিরাপদ শান্তির ছায়,
তব ভরসায়, খোলা তোমার জগত জোড়া মহাপাঠশালাটার আঙ্গিনায় বিছানো সবুজের বিছানায় ।
সদা জ্বালাতন করে ও তাড়ায়,
দিয়ে তাই আকাশে, বাতাসে, জলে ও মাটিতে ছড়ায়,
দেখি তোমার আলোর সবটুকু ভালো আমারে জড়ায়, অনাদরে যেথা হায় তোমার জমিনে পড়ে গড়াগড়ি যায় ।  


পর্ব – ০৩


দলবেধে এসে যখন আমারে,
অনাহুত অকারণ সবে নাজেহাল ও পেরেশান করে,
আমিতো ঠিকই তা জানি,
নানা প্রলোভন ও হাতে লয়ে মোহের মোহন হাতছানি,
তাদেরেতো আমি ভালকরে চিনি, যতই চাহুক হয়তো তাই পারেনি, ঝাপটে ধরে চেষ্টা করেও আপ্রাণ টানাটানি ।
সাতরঙে সাজানো মনোহর,
সে এমনই রাজা, প্রজা হলেও নাহি কেহ তার পর,
এক মহারাজার, মহাবিশ্বটাজোড়া তার এক পরিবার ও যেন শুধু একটাই ঘর ।
বসত করে তারই জমিনের উপর,
এসব না জানিলে তুমি তাহলে কেমন মানুষ, প্রজা হয়ে জনম ভর,
কত সে উদার, মহৎ ও ক্ষমতাধর,
কেনরে বলো, ঐ রাজার আাবাসই হলো প্রজার ঘর,
তাই আমরা যে যাই বলিনা কেন ভাই খোদা, গড, ভগবান, আল্লাহ কিবা ঈশ্বর,  
মিথ্যে নয়, আহা কত করুণাময়, সুশীল ও সদয়, কখনো কখনো যদিও ক্রোধে সে হয় মহাভয়ংকর ।
তার কুদরত, কেরামত ও কুয়ত আর,
অসীম ও অপার তার একক ঐ ক্ষমতার বহর ও সীমানার,
জল-তরুহীন পাথর ও বালুকাময় মরু-পাহাড়,
খেয়ে বেঁচে আছে, নাহলে কেমনে চলে হেথা কচ্ছম, গুইসাপ ও খরগোসের সংসার ।
কেমনে সব কিছু হয়,
ঐ ভেদ কভু কারো জানার মত নয়,
মহারাজার এখতিয়ার, তার একান্ত নিজের গোপন বিষয়,
যে রহস্য চিরতর, সে খবর তার কভু যাবেনা, না না যেতেও পারেনা আজও তা জানা যায়নি ।
ঐ ধারণা,
কারো আছে কিবা নাই জানা,
কেজানে এ জগতে দুটি চক্ষু থেকেও রয়েছে কত দূর্ভাগা কানা ।
বিধাতার প্রিয় গোলাম বান্দা ইনসান,
কে সে পেয়েছে অসীমে দেখার, অদেখা নয়ন আর ঐ মহাজ্ঞান,
সে ই শুধু পায়, প্রভু মহান পরম দয়ায়, করেন যারে দান, হলে তারপর, যাচাই বাছাই ও প্রমাণ ।
তাই শুধু সবর ও শোকর,
আর সারাক্ষণ সিজদাহ তার অদেখা চরণের পর,
হেটেহেটে জনেজনে ও ঘরেঘরে পৌছে দেওয়া, সত্য সুবচন ও বাণী চিরন্তন শান্তির সুমহান সে খবর ।  
কত তার দাম,
কেজানে কি হবে ইনাম,
না দেখে ঈমান এনেছে তার যে গোলাম,
অগণিত জগতের মালিক ও বাদশাহ শুধু এক খোদার উপর,
মেনে লয়েও শত অনটন, আর হয়ে রয়েছে তার প্রিয় হাবীব মোহাম্মদেরও ভক্ত অনুচর ।
মনের কেজানে আছে কত শক্তি ও পাখনা,
তা’ওতো অজানা মহারাজার কাছে, কোন প্রজার আসলে আছে কি বায়না,
নাহলে কেমনে কল্পনায়, মহা সুদূরে গোপনে সে ছুটে বেড়ায়, তারে ধরা-ছোয়া কিবা কেন বেঁধে রাখা যায়না ।
একবার এক কবুতর ও পিপড়ায়,
নাহলে কেমনে মিলে দুজনে, হজ্ব করিলো গিয়ে সুদূর মক্কা ও মদীনায়,
তার কোন সে মহিমায়,
আমারও দেখিতে জানিতে বেড়াতে যেতে খুব মন চায়,
কি রয়েছে, বিধাতার বেশুমার সৃজন বিস্ময় এ ভুবন বাহিরে যত গ্রহ, উপগ্রহ ও তারকায়,
যেথা জ্বিন-ইনসান ব্যতীত অনুরুপ কোন প্রাণ, যেতে তৈয়ার আজ, পেলে বিধাতার সহজ কোন মহান কাজ ও দায় ।
রুহ বা আত্মা,
মহান এক বিধাতার মহাপবিত্র অণুসত্তা,
নিরাকার, সহস্র সৃজন বাহার, শুধু তারই একক সৃজন ও পূজক যে মালিকানা ।


পর্ব – ০৪


হলেওবা তা অল্প কিছুদিন,
মাটির মানুষের মাটির এ দেহটার ভিতরে রলেও অধীন,
যাই বলি তারে, ঐ মন বা হৃদয়টারে তবু কেউ আহারে কভু দেখিতে বা ছুতেও পায়না,
রুহ আর তৃতীয় নয়নটার হলে কখনও শুভ মিলন, যাতে সব দেখা যায় তৈরী হয় তা এমন, যেন আজব এক আয়না ।
কেউ ডুবে কেউবা ভাসে,
এইতো জীবন ওরে, বলো কি তাতে যায়বা আসে,
যাওনা সবে ওরে মহারাজার দরবারে এখনই যাও,
হয়তো পরে আর পাবেনা, তাই বিশ্বাসী ও বিনয়ী হয়ে ভিখারীর ঝুলিটা লয়ে হেথা গিয়ে কাতরে দাড়াও ।
হবে অপরাধী, ভাগ্যটারে যেন কভু দোষ দিওনা,
আপনার দোষে দেখো আবার শেষে, অবক্ষয় ও পরাজয়টা মেনে নিওনা,
ভাল ও সেরাটার একটু দাম হয়যে দিতে,
জন্মেছো যখন এ দুনিয়াতে, তবে একদিনতো ওরে হবেই হবে মরিতে,
তাই বলেকি নেই, দিয়ে কিছু মেধা, অর্থ, শ্রম ও সময় যদি ভালকিছু হয় তবে কেন নয় তা গড়িতে,
বাসনার সব ধন কেউ পায় কেউ পায়না, দুইদিনের রঙীলা এ দুনিয়ায় কেউ হারে ও কেউবা জিতে ।
যাও সংগে নিও একটা বড় মশাল,
তুমি ওরে কোন কাফেলার, আছে কি তোমার হাতিয়ার কিবা ঢাল,
আর লগি, কাছি, বৈঠা ও দাঁড়, গলই, পাটাতন, ছই, মাস্তুল ও পাল ।
জীবন জীবিকার সৈনিক,
অ ভাই ভিনদেশী মুসাফির অচেনা পথিক,
তাই বলে কি হতে হবে বিফল মনোরথ, ফেলতে হবে হারিয়ে সহজ সরল পথ ও দিক ।
হলে ও রলে তোমার বিশ্বাস অটল,
বিশ্বাসের আশা যে বুকে একবার বাঁধে বাসা, দেখেছি তার কভু হয়নারে বিফল,
কভু ডুবলেওবা তব ঐ তরী,
নিশ্চয় তোমাকে তরাবে তোমার, অসীম ক্ষমতার কান্ডারী,
হোক যত বড় ঢেউ, কাছে না থাকলেও কেউ, যতই গভীর জল তুমি পড়বেনারে তল ।
ভক্ত পূজারী হয়নারে কভু অসহায় ও কাঙাল,
ভরে যায় সবুজ পাতায়, ফুল ও ফলে সাজে শুকনো মরাগাছের ডাল,  
হোকনা যতই তারা সাময়িক দলছুট ও দূর্বল,
কভু মিথ্যা বলেনা হক এর পূজারী সত্য কাফেলার যত অভিযাত্রী দল,  
অন্তরালে তব সংগী হবে, সব ভার একাকি সে নিজেই লবে, পাবে তুমি দুরন্ত মনোবল ।
পাবে তুমি অদৃশ্য পার,
তাই ওরে ভাই, একটুও দেড়ী করোনা আর,
বিস্ময়ে তুমি হতবাক হবে, দেখিলে তার শক্তি ও করুণা কতযে অপার,
সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে সত্যের তরীতে চড়ে, সাহসে হাল ধরে অকুল দরিয়ায় এখনই ওরে নাও ভাসাও ।  
চলছো কোন পথে হে মুসাফির, একবার ভালকরে তা দেখে নাও,
তবে সামনে বাড়িও না আর একপা, যদি পরম পাওয়ার অটল আস্থা, বিশ্বাস ও ভরসা না পাও,
কার কি দরকার, ক্ষমা ও করুণার, হলে অবসান ও বন্ধ দুয়ার, কাতরে ও বিনয়ে দুহাত পেতে তার কাছে তাই চাও ।
একক মালিক এ মহাবিশ্বটার,
সৃজন ও লালন-পালনের গুরু দায়ভার একাই শুধু যার,
কেজানে কত সুন্দর ঐ সিংহাসনটা আর,  
প্রান্ত সীমানা অজানা যার, একটু ভাবোনা রয়েছে এত বড় সাম্রাজ্য যে রাজার,  
বেশুমার পোষ্য, এত সুবিশাল এক পরিবার, এবার ক্ষাণিকটা ভেবে বলোতো কত কাজ হতে পারে ও রয়েছে তার ।    
দান ও দাদনের মহাজন, এখন যত মহৎ, মহান ও উদার,
ছিল সত্য, সঠিক, নিখুঁত, শতভাগ ন্যায় ও সুবিচার বিধানের করা যে অংগীকার,
আখেরাতে লবেন যখন আপন হাতে তিনি তখন, মহাজগতের মহাবিচারকের আসনখানির দায় যার,
হবেন কঠিন ও কঠোর ছিড়ে ফেলে মমতার ডোর, নিশ্চিত তা জানা আর কেউই পাবেনা তার কোন ক্ষমা কিবা ছাড় ।  


পর্ব – ০৫


কেমন আজব মহারাজার এ সংসার,
বলো শুধু একটা আকাশের ওজন হবে বা হতে পারে কত ভার,
অতল ও অসীম সাত সাগর খনন করিবার পর, মাটিগুলি কোথা গেলো কেমনে নেওয়া তার,
কোথা হতে এলো আর কিবা কেমনে কবে তা, কেন করা হয়েছিল তৈয়ার, এত বড় বড় অগণিত সব পাথরের পাহাড় ।
আজীবন তোমাতেই যে করিলো বাস,
তথাপিও হায় পড়ে, লিখে, জেনে, শিখে না করিলে তুমি পাশ,
তাহলে তবে বলবেইতো সবে, তুমি হওনিতো মানুষ ও তার প্রজা, গোলাম কিবা দাস,
এত বড় এ দুনিয়াটার, এত ক্ষমতার মালিক এক রাজার, কথায় ও কাজে কেনযে বলো ‍তোমার হলোনা বিশ্বাস ।
কভু অভিমান ভরে ঐ রাজায় যদিরে বলে,
তবে পার হবে কোন ছলে, কি জবাব তুমি ওরে বলো তখন দিবে তারে তাহলে,
করিলাম এত দান, মিটাতে সব প্রয়োজন দিলেম দাদন, কেনো গড়োনি বীজতলা একখান করোনি পুণ্যের ক্ষেতিচাষ ।
শেষে আর না পেলে ক্ষমা,
কেজানে কত দোষ-ত্রুটি, ভুল, অপরাধ ও গুনাহ হয়েছে জমা,
হে অধম গোলাম প্রজা ও দাস বলো শেষে, অপরাধী আসামী হয়ে ফিরে গেলে নিজ দেশে তুমি আর দোষ দিবে কার ।
যত সব শব্দ, ছবি ও লিখন,
আপন কাজে যে যেটুকু করেছে অর্জন,
জন্ম হতে মরণ অবধি জীবনের সমুদয় সে হিসাব ও বিবরণ,
সবকিছু সাথে লয়ে, রাজহুকুমে আদিষ্ট হয়ে, নিমেষে ছুটে সহসা করিবে সে আরশে গমন ।
তারপর রুহটার,
নতুন করে শুরু হবে আবার,
নেই কোন কারচুপি খুঁত, এমনই মহারাজার বিচার ।
সকল বান্দার কর্ম্মের ফলাফল,
মন্দ কি ভাল অণু পরিমান নিশ্চয় তার যাবেনা বিফল,
খোদার বচন কোরআনের বাণী হবেনা মিছে যাবেনা বৃথা, হেথা নাই কোন পক্ষ বা দল,  
আর মরণ নাই যখন, পুরাতন সংগীর সনেই তার এক নতুন জীবন, কেজানে তা কতকাল, হবে কোথা ও কেমন ।
বাহিরে দৃশ্যমান কবর,
সেতো নহে শুধু একখানা ছোট্ট মাটির ঘর,
ভোগবিলাস ও হরষের বেহেস্তখানা কিবা আগুনের কারাগার ভয়ংকর,
আর ফিরে আসা হবেনা, দুনিয়া হতে শেষ বিদায়ের সফর,
যে ঘাটি করিবে প্রথম বাছাই আর, যাই হোক পাশ-ফেল তার, ফেরেস্তাগণের ঐ প্রথম পরীক্ষার পর ।
নহে তা তত সাধারণ,
লোকের অজানায় ও অদেখায় যদিও তা অদৃশ্য ও গোপন,
ভিতরে তার করা হবে ও রবে, জান্নাত ও জাহান্নামের শান্তি-সুখ ও অপার যাতনার যত সব আয়োজন ।
সবে বন্দি হওয়া বিনা সমন,
জীবনের কর্ম্মফলে স্বর্গ-নরক যার পাওনা হয়েছে যেমন,
ঠিক সে মোতাবেক করে বা গড়ে দেওয়া হবে, জেনে রাখো বিশ্বাসী ওরে সবে, কবরবাসীর নতুন দেহটার গঠন ।
আযাবের শাস্তি কিবা শান্তিময় ঐ পুরস্কার,
কোন ক্ষমা লাভ হবেনা আর কিবা পুণ্য সাধনের চির বন্ধ হওয়া ঐ দুয়ার,
পালাবার পথহীন ঐ কারাগার,
এদিক ওদিক সবার ছুটোছুটি, হাহাকার ও চিৎকার,
যাই হোক তাই, রাখিও স্মরণ ভাই, মরণের পরের ঐ জীবনে কারোই আর কভু হবেনা মরণ ।
চমকিত রোশনির ঐ চাঁদবদন,  
বিচ্ছুরিত লাবণ্য যেন দুধে আলতার মোহনি মিশ্রণ,
সে যেন পরম মধুর ও মায়াযাদুময় অবজ্ঞার নয় হেন এক সুতীক্ষ্ণ দারুণ আকর্ষণ,
আর সংগী সমেত স্বর্গবাসীগণ লভিবে সবাই, রবেনা যেথা কোন বয়সের বালাই ষোড়শী টগবগে নব যৌবন ।


পর্ব – ০৬


পাবে নরকবাসী সব নর-নারীগণ,
করুণাময় বিধাতার, একবার ঐ কঠোর হওয়া মন,
জানিনা কেনযে আর হায় গলবেনা টলবেনা ও পাবেনা ছাড় তারা আর কখন,
বিকৃত বদন দেহকাঠামো, চিরকাল জ্বলেপুড়েও যা হবে ও রবে এমন, আর কভু মরণ বা ছাই না হবার মতন ।
সেই কঠিন হিসাবের দিন,
কেউ প্রসন্ন ও কেউবা ভীষণ বিষন্ন ও মলিন,
জানা যাবে সব, মনিব ও লোকের কাছে কার কত আছে বকেয়া ঋন,
সবাই সবার হবে অচিন, রবে বেচুইন, বড়ই অধীর ও অস্থীর, পেরেশান ও একেবারেই বাকহীন ।
ফেরেস্তারা সব রেখেছেন লেখে,
নাম ধরে ধরে এক এক করে নেওয়া হবে ডেকে,
মুছিবার নয় ঐ সে নথী চির অক্ষয়, বালামের ঐ খতিয়ান দেখে দেখে,
ক্ষুদ্র ভাল-মন্দ ও পাপ-পুণ্য কিছুই বাদ পড়ে নাই যাবেনা বিফলে, সব কথা ও কাজই আমলে উঠিবে একে একে ।
কোরআন এর লিখন,
নবীজীর পাক জবানের বয়ান ছিল যেমন,
আসিবে গণনায়, শেষে পাল্লায় তুলেও তার করা হবে নিঁখুত ওজন,
সামাণ্য দান, সুবচন, মনন, গবেষণ ও ভালকিছু সাধনের সাধ চেয়েছিল প্রাণ, সেওতো মহাপুণ্য পূজন,
হবে করা যথা মূল্যায়ন, সবাই পাবে তার সঠিক বিনিময়, প্রতিদান ও পুরস্কার, হয়না হবেনা হেরফের রাজ ঘোষণার ।
নিত্য পড়ে ও লিখে,
এভাবেই সব জেনে, চিনে ও শিখে,
হতে চাই আমি ঠিক এমনই একজন ভালো ছাত্র,
দেখে দেখে ও করে করে হে প্রভু হবো তোমার ও মোর নবীজীর প্রিয়পাত্র,
কি আসে যায় দেখাকনা যারা ভয় দেখায়, খুঁজে পাওয়া সঠিক পথ ও দিক, তাই সম্বল হোক যতই আঁধার গহীন রাত্র ।
পুণ্যে ভরে,
মোর ভিতরে ও বাহিরে,
মুক্তো কুড়াতে যাবো তার অতল গহীন তলে,
আর ঐশী তোমার আলো ও ভালোর অদেখা অপার সোনালী ঝিলের জলে,
ডুবে রহে মম আপাদশির আয়েশে গভীর সারাগাত্র,
হবো আমি সেই নিষ্পাপ হেন, মায়ের গর্ভ হতে যে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়েছে ওরে ঠিক যেন এইমাত্র ।
রাতভর মোষল ধারার বৃষ্টির জলে ধোয়া,
পরম যতনে সবুজের গায়ে, তুমি ছাড়া কে দিয়েছে মাখায়ে সোনালী রোদের ছোয়া,
দুরন্ত ঝড়-তুফানে,
ভয় কি হলে একাকি, যদিরে কভু আঘাতই হানে,
নাও যদি পাই পুণ্যস্নাত ঐ সে এক পবিত্র সকাল,
নাহয় আমিই হবো, সব আঘাত মাথা পেতে লবো, মোর কাফেলার সরদার ও লাঠিয়াল ।
ভয়ে পালাবে দুষমনগণে, হয়ে শাণিত ইস্পাত ঢাল,
তিমির রাতে আমার হাতে তুলে দিও তব দীপ্ত আলোর একটা সাহসী মশাল,  
জীবনে মরণে, ডানে-বায়ে ও সামনে পিছনে, প্রকাশে গোপনে রয় যেন সংগী হয় মোর সনে তা মহাচিরকাল ।
জগত জোড়া তোমার, মহান ও উদার মহাবিশ্ববিদ্যালয়,
তবুও কেন খুঁজে পেলোনা তারা, তবে কি হবে দূর্ভাগা কিবা অন্ধ ও খোড়া নিশ্চয়,
আমার নয়ন ও মন ভুবনের জগতটা যেন ঘিরে থাকে ও জুড়ে রয়, এমনটাই যেন প্রভু আমার ভাগ্যে সদা হয় ।
না’ও যদি হতে পারি দু:ক্ষ নেই আমি মহাবীর,
ঐ স্বর্গ সুখের পরশের জয় লভিতে মম পঞ্চ পরাণ ও সপ্ত হৃদয় হয়ে রয়েছে অধীর,
গেলেও কভু হারি, মোর কাংখা ও অধিকার দেবোনা ছাড়ি, মম উপহার তোমার কুটুমবাড়ী, তেজে সব সংসয় ও ভয় ।
কাহারো জয় কিবা পরাজয়,
তব গোলামের যত সাফল্য ও সাধন কিবা নির্মম অবক্ষয়,
যাই হোক তাই, কিছুতেই নহে, আবু হকে কহে, নিশ্চয় প্রভু তুমিতো তার লাগি কভু দায়ী নয় ।


পর্ব – ০৭


কিছুতেই কেন হায়,
ইতি আসেনা মোর ঐ ভাবনায়,
দেনা ও পানার লুকানো ঐ হিসাবের খাতায়,
এত দান, নেয়ামত ও দাদনের কেজানে সবমিলে হয়েছে কত দায়,
কেমনে কবে করিবে শোধ, বুঝিবার ঐ বোধ, নরাধম নির্বোধ বলো সে আহা কেমনে কোথা পায় ।
নাকি বানাতে বিচক্ষণ ও অপরাধ বিহীন,
কোন ইচ্ছাতে নিজেরে তার হাতে সপে দিয়ে, হয়েছো তুমি প্রজার অধীন,
তার উপর জানিনা কেমনে কবে, অধম প্রজায় শোধিবে, গোলামের কাছে করা তব গোলামীর ঐ ঋন ।  
দয়াময় প্রভু যদি চান,
তিলকে বাড়িয়ে করে দিয়ে তা সম এক আসমান,
তার গোলামের কায়:মন একটি মাত্র বচন, ক্ষুদ্র মনন, লিখন, ঘোষণা ও বয়ান,
যা ছিল দুনিয়ায় তার মাথায় অর্পিত দায়, চিরন্তন সত্যবাণীর প্রকাশ, বিকাশ, প্রচার ও ঘরেঘরে জনেজনে পৌছান ।
পেলে প্রভুর প্রফুল্ল মন হলে এমন কবুল,
হয়ে যেতে পারে মার্জনা সব দোষ-ত্রুটি, গুনাহ, অপরাধ ও ভুল,
খাস গোলামের সামাণ্য সম্মান আর, হয়ে গেলে সমুদয় দায়গুলি তার সব পরিশোধ ও আদায় ।
অচিন রুহুটাই যদি মানুষ হয়,
তবে মাটির এ দেহটা নয়রে, নশ্বর এ কায়া বা কাঠামোটা নয়,
সত্য সুনিশ্চয়, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানুষই অমর, মহাপবিত্র, পুণ্যময়, অবিনশ্বর ও চিরঅক্ষয় ।
বানিয়ে পাঠিয়েছেন খোদ বিধি,
দুনিয়ায় তার ক্ষুদ্র অণুসত্তার, দিয়ে কিছু দায়ভার সীমিত ক্ষমতার এক প্রতিনিধি,
তাই যদি হয়, কেন তবে নয়, পেতে খোদার মন,
মানুষ মানুষেরে কেন অবহেলা অপমান করে, কেন পাওনা নয়, পরম ভক্তি, শ্রদ্ধা, বিনয়, পূজন ও ভজন ।
তার আসা ও যাওয়া,
কোন খবর কিবা কেন তারে কভু দেখতে না যাওয়া,
তবে কি ব্যর্থ দরবেশ, দার্শনিক ও মহাবিজ্ঞান,
আজও কেন হায় খুঁজে পেলোনা, হলোনা জানা দেহটার ভিতরে কোথায় তার অবস্থান ।
ভাবেনা মানুষ কোন সে তন্ত্রে,
জানিনা কেমনে, কোন সে কৌশল, ক্ষমতা বা ইশরিার মন্ত্রে,
অডিও, ভিডিও ও খতিয়ান লিখন, প্রতিক্ষণ আমরণ জীবনের সব হয় ক্ষুদ্রতম অদৃশ্য ঐ এক যন্ত্রে ।
আপন ইচ্ছায় আপনি বন্দি ও অধীন হয়,
প্রজার ঘরে কেমন করে, কেন লভেছেন সে তার এই ভিন্ন গোপন পরিচয়,
স্থাপন, স্থানান্তর ও সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ যাই বলি জীবন ও মরণ, মহান সত্তা এক খোদার হুকুমেই সব ঘটে ও চলে হয় ।
মানুষ পেলো সম্মান, হতে চির মহামূল্যবান,
বিধাতার সমুদয় সৃজনের মাঝে তারচেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান,
কত সহজে হওয়া যায় তব্ও কজনে হয় ও পায়, বিজয়ী সফল ও ভাগ্যবান,
এমনওতো হতে পারে মহাকাশের মহারাজ দরবারে তাদেরই নাই কোন ঋন, হয়েও বিহীন কোন দান কিবা প্রতিদান ।
কেনরে তারা ভাবনাহীন, কেমন দাস,
হায় হায় একি কান্ড, মূর্খ নাকি পাষন্ড প্রজার কুটিরে কেন মহারাজার বাস,
নাজানি কি হয়, লাগছে ভীষণ ভয়, কোন কথায় কি কাজে আবার হয় সে বেজার, তাহলেতো নিশ্চিতই মহাসর্বনাশ ।
নিয়ম ও বিধানের সীমানার অধীন,
হয়তোবা তারাই বিচক্ষণ, বিনয়ী, সচেতন ও হিসাবী হবার চিন,
ঐ বিশ্বাসী – এ জীবন, আপন জন ও সকল বিত্ত-ধন একদিন সবকিছু সমুদয় হবেইতো বিলীন,
অক্ষম ও অধম আমি, জানিনা আর কি দেবো জীবন, রুহু ও খোদার উদাহরণ ও বুঝাবো কেমনে ঐ প্রকৃত পরিচয় ।