কেউ কেউ বলে, তা মিথ্যে না হলে, স্বপ্ন নাকি ভাবনা বা কল্পনারই ফসল ॥
এ জীবনে দেখেছি কত,
হয়েছি পুলকিত বিমোহিত শিহরিত,
পর্বত শিখর হতে গিয়েছি পড়ে,
কই আজওতো আমি, তবু যাইনি মরে,
শাহী ঘোড়ার গাড়ীতে চড়ে,
রাজপুত্তর সেজে খুশীতে টগবগ করে,
এক রাজকন্যারে বিয়ে করে, সংগে লয়ে ফিরছি ঘরে,
ঘূম হতে জেগে, আফসোসে রেগে, দ্রুতবেগে কিবা আবেগে, স্মৃতিতে একদা তা পড়েছে তল ॥
জাগ্রত দিবসেও দেখেছি কত স্বপন,
ভূতলে কুঠুরিভরা সাতরাজার মহামূল্য গুপ্তধন,
তাঁরাবাজির ঝিলিক নাঁচন, চোখের তারায় কিছুক্ষন,
কই কভূ তার হয়নি সাধন, এ জীবনেতো পড়েনিও প্রয়োজন,
ময়ুরের পালকে ঢাকা, সিংহের শির আঁকা, সোনার তৈয়ার রাজ আসন,    
দেশছাড়া অচিন প্রবাসে নীড়হারা, এক মুসাফির যাযাবর করিতে আসা বানিজ্য বসতি ভ্রমন,
ভেবে ও খুঁজে আকূল হই,
সবকিছু আর এ নিপূন খেলা যার সে রলো কই,
আমি কাঁদিহাসি নাঁচিগাই যা করি যেথা যাই, উঠিবসি চলিফিরি খাই, তার সংগে রই,
তবু কেন আমি তার মালিক নই, হায় আজ কোথায় চোখ ধাঁধানো মন রাঙানো ঐ সকল ॥
এ জীবনে ভোলার মত নয়,
এমন কত বিরহ বিষাদ বুকে ধরে লয়,
মোহময় নাহলে জীবন মিথ্যে মনেহয় হেন কত স্বপ্নআশা,
তবু পথ চেয়ে থাকে, যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে, মায়াজাদুর ঐ ভালবাসা,
যতদূর চোখ যায় চারিদিক, শুধু ধূ ধূ বালুচর চিকচিক, কেন দেখি হেথা পাথর আর শুকনো দূর্বাদল ॥
এ স্বপ্ন আবার হতেও পারে তা,
বিধাতার ইশারা, কোন সতর্কবাণী কিবা বারতা,
দেখে কেউ ক্ষনিকের চিন্তায় পড়ে,
নানাহ দূর্ভাবনায় কাউকে যেন ঝাপটে ধরে,
কেউ অজানা ভয়ে মরে, কেউ হারিয়ে ফেলে তার সবটুকু মনোবল ॥
কয়জন আছে এ যূগে এ সমাজে এমন,
যার কাছে একটা আরশি আছে, করিবে করিছে যেথা মন্দভাল আঁধারআলো সব দরশন,
সাত রঙে মাখানো রাঙা,
কারো মন হয় যেন চপল চাঙ্গা,
রসালো স্বপনে যেন অঠাই জলে পায় ডাঙ্গা,
হয়ে যায় চেনা দায় আসল নকল, যেথা গুটগুটে কালো কিবা ছলছল আলো ঝলমল ॥
মরম যাতনার কাল,
কোন স্বপ্ন বিভৎস ভয়াল,
কোনটা যেন ছড়ানো মায়াজাল,
স্বচ্ছ শাড়ীতে ঢাকা দেহ হুরপরীদের,
সেযে এক কল্পলোকের স্বপ্ন পুরির সাজানো ঘের,
পাখপাখালীর নাঁচনভরা, তরুছায় ঘেরা মাধবী মধুর চাঁদনী রাতের,
নিদানে এক নির্মম নিয়তির ফের, অভয় আশ্রম শান্তির ঠাই সম এক নিথর জলমহল ॥
কখনযে এক রঙীন ঘূড়ি,
দোল খায় মেঘের দোলনায় চড়ে উড়িউড়ি,
পানসী নায়ের, যাত্রা উজানের, রাঙা পাল দখিনা পবনে বেসামাল দারুন দূরন্ত চঞ্চল ॥
মোদের এই জীবন পটে,
নিত্য কত ছোটবড় শত ঘটনা ঘটে,
ঠিক বেঠিক কতনা তিক্ত রসালো রটনা রটে,
কে মনে রাখে,
কটা ইবা অন্তরে ছবি আঁকে,
স্মৃতির গহীন তলে ঙা তলিয়ে থাকে,
এক ভাংগা রথ থমকে থেমে তিন পথের বাঁকে,
স্বপ্ন মানে, দোলনায় দোলানো জাদুর নেশার টানে, অবুঝ মন ভূলানো এক মধু ভরানো ছল ॥
হাল্কা বাতাসে নড়েচড়ে,
ছলছল এই বুঝি গেলো পড়ে,
আহারে কে তারে রাখিবে সামলে ধরে,
কঁচুপাতার উপরে, শিশির কিবা বৃষ্টি রেখে গেছে জমা করে, সামান্য জল টলমল টলটল স্বচ্ছ পরিমল ॥
অতি ক্ষুদ্র একবিন্দু সুখ,
কখনো ভাংগে, কখনোবা ভরায় বুক,
কখনও সে হাসে উল্লাসে,
কখনও বিষাদের জোয়ারে ভাসে,
দেখা অদেখার, তীক্ষ্ন নয়ন আছে যার তিনখান,
তবু বিধাতার মহান দান, গোলামের সামান্য প্রতিদান অদৃশ্যমান,
বহুবার আসে উথাল পাতাল ঢেউ,
জীবনে মরনে, অনেক কঠিন লগনে সংগে থাকেনা কেউ,
এইতো জীবন, তখন কে দিশারী, কে হবে অভিযাত্রী কিবা আর ঐ কাফেলার সম্বল ॥
নহে ঐ স্বপন,
কারো ভাগ্য লিখন,
মোহ ও নেশার এক মিলিত সম্মোহন,
হয়ত পথ দেখায়, তাড়না দেয় তাড়ায়, করে দিক নির্দেশন,
কারো বেলায় এইতো জীবন, যাতনা বেদনা হর্ষ বিনোদন, নানা কষ্ট ও জ্বালাতন,
তবে স্বপনের নেই কোন দায়,
কেউ কিছু পায় কি না পায়, কিবা পেয়েও হারায়,
লাভক্ষতি জয়পরাজয়,
দস্যু মরনটা পায়ে পায়ে পিছু লেগে রয়,
এমন এক সময় আচমকা এসে এ জীবনটা কেড়ে লয়,  হোক সেজন যুদ্ধে সফল কিবা বিফল ॥
সীমানাহীন যার ঐ আকাশ,
বিশ্বাসী অনূচর সেইতো শুধু তার প্রিয় দাস,
কি আসে যায়, পায় কি না পায় বেশী ধন বেশী ভোগবিলাস,
মাটির দুনিয়ায়, হুড়োহুড়ি আসে আর যায়, ছোট্ট জীবন ও তার দুদিনের বসবাস,
আমার কথা হয় যদি কারো বিশ্বাস,
ভক্ত অনূগত মানূষগন যারা করছ তার দাদনের খেতি চাষ,
স্বপ্ন জানতে, বিধি মানতে, রহস্য ও ভেদের ইতি টানতে, দীক্ষা নিতে একবার তার কাছে যাই চল ॥
মানূষ হতে চায় যে মানূষগন,
ভূলে যাও মন্দ ভালো যাই হোক ঐ স্বপ্নের ধরন,
ফলাফল যাই হোক, যে যাই বলে বলুক ঐ বোঁকা লোকজন,
কর পণ আত্ববিশ্বাস, অধ্যবসায়, সাধনা, পরিশ্রম ও বিধাতায় সর্মপন,
আনে সাফল্য বিজয় ও ধন, সুবচন, মনন ও সৃজন তাই সে জীবন করো গঠন,
কুসংস্কার, লোকভয় ও সে অন্ধবিশ্বাস যা করে সর্বনাশ, তাই গলাটিপে ধরে তারে কর নিধন,
আশা, পরিকল্পনা, সাধনা ও চেষ্টায়,
মানূষ সাহস, মনোবল ও অসম শক্তি গায় ফিরে পায়,
স্বপ্ন ও অলীক কল্পনা এবার ছাড়, যদি পার ফিরে আসো বাস্তবতায়,
লভে এক নতূন জীবন, যেজন ঐ দুই বিশ্বাসে, তার পাঠশালে যায় আসে, প্রতি ন্বিঃশ্বাসে রয় অটল ও অবিচল ॥