পর্ব - ০১


দমে দমে করো জিকির,
জীবন রণে হতে হলে কোন সাহসী বিজয়ী বীর,
সবর ও সালাত,
সবল করে দুটি চোখ ও পা-হাত,
দিন কিবা গহীন রাত, দেখায় আলোয় ভরা তীর,
কে করেছে মানা জীবিকার কর্ম্মখানা, করোনা জীবনের সকল ফিকির ।
তারাই শুধু পারে,
জীবনে যারা বহুদূর যায়, কভু নাহি হারে,
মহিমায় খোদার সাঁতরে সাত সাগর হয় পার আপদে নিদানে হয়না অধীর ।
সদা সত্য বলন,
সহজ, সরল ও সোজা পথে সদা চলন,
আলো ও ভালোয় বাঁচা, করে যেটুকু যায় পারা তাই ঢের হালাল উপার্জন ।
কি ক্ষতি, হতেই হবে এ জীবন,
রঙ মাখা সঙ সাজা ঢং করা চঞ্চল ও চনমন,
হোকনা তা একেবারেই সাদামাটা কিবা রংচটা ও অতিশয় সাধারণ ।
পুণ্যের বীজতলা সৃজন,
চাই সে ভালো কথা, ভালো কাজ অনুক্ষণ,
ঐ চিন্তন বা সুমনন, অনায়াসে অবিরত যাতে হতেই থাকে হয় পুণ্য সাধন ।
কেটে যাবে মোহ ভোগ,
চোখ ও মনের তাড়না করা যত রোগ,
আর নাহি চাই, ভাল আছি ভাই কি হবে দিয়ে এত ধন,
হবে যোগ যা আগে সে হেরেনি কখন, প্রয়োজন পরম অরুপ ঐ সে মহাদরশন ।
কভু গহীন আঁধার নিশীথে একাকি যদি,
পার হতে হয় বিজন মরু, তরুহীন বন-পাহাড়, সাত সাগর ও তেরো নদী,  
পুণ্যময় ও ধন্য হয়েছে হয় সে জীবন, ছুতে পেরেছে যেজন জমিনে বিছানো ঐ মহারাজার সুরভিত রাঙা চরণ ।
ধন্য ও সফল হয়েছে সেজন,
যা বলে বলুক মূর্খ ও নির্বোধের দল, চতুর অন্ধগণ,
করিছে তোমাদেরে অনুসরণ, নিরাকার ও অদৃশ্য ঐ সে যম সারাক্ষণ,
একথা বিশ্বাসে আছে যার, নাইযে মরণ নাহি তার, যেজন তা রাখিবে মনে ও করিবে সদা স্মরণ ।
মাটির দেহটা মাটিতে ফেলে নিথর,
বাড়ী-গাড়ী, ভোগ-বিলাস আর বিনোদনের এ ঘর,
হাত-পা ও চক্ষু বেঁধে ভিন জগতে ভিন্ন কায়ায় সে এক নতুন সফর,
অদেখায় ও অজানায় দুই দুনিয়ার সব দায়, তুলে লয়ে নিজ মাথায়, এ বিদায় চিরতর,
আজ কেউ নেই পাশে, এত প্রিয়জন কেউ কাঁদে কেউবা হাসে আপন-স্বজন হয়েছে সবাই জনমের পর ।
ছাড়া শুধু গুনাহ কিবা পুণ্য,
সাথে নেই তার কোন সম্বল আর একেবারে বিত্তহীন ও শূন্য,
মনের বল, বাহু ও বুকের বল, অর্থ, দর্প ও অহম, বজ্র কন্ঠ ও গায়ের বল সবই চিরতরে নিয়েছেন কেড়ে ঈশ্বর ।
ইচ্ছে তার হবে যখনি,
ডোর ধরে দেবেন এক হেঁচকা টান তখনি,
বিধাতায় কভুও ছেড়ে দেননা, কাউকেতো তিনি ছেড়েও দেননি ।
উড়ন্ত একখানা রঙীন ঘুড়ি,
খোলা আকাশে নেঁচেনেঁচে টেনেটেনে করে সূতা চুরি,
করছে খেলা ভেসে ভেসে দোল খাওয়া বাতাসে যখন যেমন খুশী চারপাশে উড়ি উড়ি,
সে কি সবার নজরে পড়ে, কারো লাগি সে এক আরামের ঘুম, আবার কারো তরে আপদ ও নিদানের তুফান ঝড় ।


পর্ব – ০২


হঠাৎ দিলে হেঁচকা টান,
দেহখানি ধড়ফড়, ছটফট ও পেরেশান,
নিমেষে ধপাস করে হুমড়ী খেয়ে শেষে, পড়বে এসে মাটির উপর ।    
একটু একটু করে সারাদিন,
মহাজনের মাথাভারী ঋন পরিশোধ করাটাই বুঝি হবে সমীচীন,
মনে মনে আল্লাহর মহিমা গাওয়া,
পায়ে পায়ে পিছেপিছে চলছে চুপিচুপি মরণ, যেখানেই থাকা বা যাওয়া,
এলে সমন আর কোন পথ তার নেই পালাবার, যতই চেষ্টা কিবা চাওয়া ।
যদি চোখ, মন ও মনন হয়রে সৎ,
তবে এখন আছে, গরীব-ধনী জগতের সবার কাছে কত উপায় ও পথ,
সহস্র কথায় ও কাজে, সকাল দুপুর রাত বিকাল ও সাঁঝে, অতিব সহজে ঢের করুণা ও পুণ্য পাওয়া ।
সীমাহীন কোন পোড়াবন,
নাকি তরুহীন মরুভূমি অসীম ও বিজন,
যেথা নাই লতা-গুল্ম ও পাখীদের মুখরিত কলরব ও কুজন ।
আহা কি বাহারি ঝিল-বন,
সহস্র পতঙ্গের যেথা নাঁচন বিচরণ গুনগুন ও ভনভন,
অগণিত ঝিঁঝিঁ পোকা ও জোনাকির ভির, তাদের আলো ও বাঁশরীর মাতাল অধীর মাতন ।
নাই লোকজন কেউ,
একের পরে এক বিশাল বড় বড় তার ঐ ঢেউ,
নাই কোন পারাপার, চারিদিকে থই থই জল, এমনই অকূল, অথই ও অতল ঐ পাথার ।
করোনা বড়াই,
কেজানে কার হবে কোথা ঠাই,
ওরে মরণের পরে কোন শ্বশানে বা গোরস্থানে ভাই,
জানা দরকার নিত্য সবারই তাই, নিজে একবার নিজের হিসাবটা নিজেই করা চাই ।
লয়ে বেশী বিদ্যা, বিত্ত-ধন ও তোমার বড় জাত আর,
বয়সের রুপ-যৌবন, কচুপাতার পানির মতন এই আছে এই নাই এমন আয়ু যার,
ঐ জলে নাকি মহাসাগরের তলে, নাকি মহাকাশে কারো জানা নাই ঠিকানা তার,
দাউদাউ খলখল,
চৌদিকে লেলিহান জলন্ত অনল,
সীমাহীন ঐ ঘের নাই পার, নাই তার কোন জানালা দুয়ার, মহা আগ্নেয়গিরির ঐ সে কারাগার ।
রুদ্ধ হয়েছে যাদের ক্ষমার দুয়ার,
শুধু যত অবিশ্বাসী অপরাধী ও অবাধ্যতার গুনাহগার,
গযবের কষ্টে পড়ে করবে সবে সমস্বরে আর্তনাদ, হাহাকার ও চিৎকার,
জ্বলবে ও পুড়বে, কভুও তবু ছাই হবেনা তবে, তখন আর হবেনা মরণ আজব ঐ মানব দেহটার ।
অসীম ও অপার মহাক্ষমতার ঈশ্বর,
বড় আপন, নহে কারো দূষমন কিবা ওরে নহে কারো পর,
সুনিপুণ তার সৃজন বাহার, চমৎকার সহস্র কৌশল আর অপার দক্ষতার ঐ মহান কারিগর ।
ক্ষমা ও ধ্বংস কিবা রক্ষা করার দায়ভার,
এ মহাবিশ্বটার একক মালিক, সম তার কেহ আর কোথা নাহি যার,
পরম করুণা ও অপার দয়ার সাগর,
তার অবাধ্যতার ও হিসাবের পাওনাটার লাগি, হবেন সেদিন বড়ই কঠিন, নির্মম ও ভয়ংকর ।
ক্ষমা ও করুণার দুয়ার,
তবে খোলা আছে ও মহাকাল রবে তার,
জেনে রাখো সবে যারা এ ভবে মুখাপেক্ষি কাঙাল তার দয়া আর আশা ও ভরসার ।
প্রিয় বান্দা ও খাস গোলাম,
হোক কুৎসিত পাবেই পাবে সে তার বিশ্বাস ও নির্ভরতার দাম,
আর যতই ক্ষুদ্র হোক তার, সকল সুবচন, সুচিন্তন আর যত ভাল কাম, চির শান্তি-সুখের পরম শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ।


পর্ব – ০৩


যে দিলো এ জীবন,
আবার যার হাতেই হবে সবার মরণ,
বুঝলোনা অকৃতজ্ঞ, স্বার্থপর ও অবিবেচক মানুষের মন,
কোনদিন জানা নাই, তবে সুনিশ্চিত তাই, এ মরণটাকে সবে করতেই হবেযে বরণ ।
স্ত্রী ও সন্তানগণ,
ভাল কাজ ও হালাল উপার্জন,
জায়গা-জমি, বাড়ী-ঘর ও অর্থ-বিত্ত ও ধন,
কে দিলো তাহারে দিচ্ছে আজীবন আহারে নেই বুঝি স্মরণ,
অন্ন, বস্ত্র ও চিকিৎসা আর জীবনের লাগি ছোটবড় সবার সব যতকিছু হয় প্রয়োজন ।
কিসের আবার মালিকানা,
কেজানে তারা অন্ধ নাকি অবুঝ কানা,
ভেবে দেখো সবইতো দেওয়া তার, জীবনের যতকিছু ষোলআনা,
নিজেরে ভাবে মস্ত বড় বিদ্যান, তা হতে পারে তবে জ্ঞানের কিছুই তার হয়নি জানা,
চলে গেলে পরপার, ঐ ধনের পাহাড়, কে পাবে ও কে খাবে আর, কি হবে ফায়দা তার ছিলনা মাথায় ঐ ভাবনা ।
চুপচাপ নিরুত্তাপ সব ছেড়ে সব ফেলে তার,
চলে যায় নেই কোন তার, আফসোস কিবা হাহাকার,
দিয়েছিল রাজায়, শুধুযে তারে হায় করিতে ভোগ-দখলের অধিকার,
নাহলে কেনরে সারাজীবন ধরে, করে রণ যেই বিত্ত-ধন করেছিল সে একদা যোগাড় ।
পেয়ে শুধু দুদিনের ধার,
আহা কত ঔদ্ধত্য ও বাহাদুরি দেখেছিযে তাদের সবার,
লাখ বছরের ইতিহাস বলে, দূর্দন্ড প্রতাপের কত রাজা-বাদশাহ হয়ে গেছে ছারখার ।
ইশারায় মহান স্রষ্টা, পালক ও দাতা ঐ খোদার,
সাত জমিন, সাত সাগর ও সাত আসমানের একক মালিকানা যার,  
লয়ে রাজার ধন, যত মূর্খ লোকজন, হয়ে একজন সাধারণ ইজারাদার, বলে শুধু আমার আমার ।
আহা মরণের পরে আর,
বলোনা কি থাকে হাতে কিবা পাতে কার,
যাই বলি ধন-জন,
একি কারোই দেখি তা নেই স্বরণ,
হঠাৎ মরণ এসে সবই তার অবশেষে, আচমকা একদিন করিবে সব হরণ ।
থাকা, খাওয়া ও পরার বিনিময়ে,
কিছু কাজ বা একখানা বড় এসাইনমেন্ট দিয়ে,
নানা শর্তে সাত রঙে সাজানো দুদিনের এ মর্তে, অদৃশ্য একটা চুক্তি হাতে ধরিয়ে,
তবেই খোদায় দিয়েছে মানুষেরে তার দুনিয়ার জীবন,
তাই পেয়ে হায় দেখিযে সবায় বিধাতারে ভুলে যায় যত বিদ্যান, বিজ্ঞ ও বিচক্ষণ ।  
যাই হোক, যাই ছিল অংগীকার,
কিছুতো চাই ই চাই, বিনিময় কিবা প্রতিদান তার,
নিশ্চয় লবেন হিসাব তার, মহারাজ্যের রাজাই যখন হবেন পাওনাদার,
সব দোষ-ত্রুটি, ভুল, অন্যায় ও অবিচারের তিনিইতো করিবেন বিচার,
কেন আর হেলাফেলা তবে, ফিরে যখন যেতেই হবে ঐ রাজার কাছেই আবার ।
ওরে অধম গোলাম,
চলবেনা হেথা দুনিয়ার কোন বাহাদুরি কিবা চালাকির দাম,
এবার তবে ভাল করে ভেবে দেখা যাকনা অন্তত শুধু একবার,
সহজে ঢের পুণ্য করা আর, মহারাজার রোষানল হতে দুই জীবনে বাঁচার মত, কি উপায় আছে আমার ।
আহারে হতভাগাগণ,
ঋন খেলাপী, চিনলোনা তার দাদনের মহাজন,
অপরাধী আসামী পড়বে ধরা হাতে-পায়ে কড়া কারাগারে যাবে যখন,
লাভ হতো এখন চিনলে মহাজন, হয়তো মাফ পাওয়া যেতো, আর কি দেবে ছাড়ি হলে জারি গ্রেফতারি সমন ।


পর্ব – ০৪


আল্লাহই তোমার, আমার সকলের রব,
বাঁচন, মরণ, খাওয়া-পরা ও মাথা গোঁজার ঠাই জীবনের চাই যতকিছু প্রয়োজন সব,
যেমনই করুণা তার, রোষানলে ক্ষেপে গেলে ভয়ংকর গজব,
সৃজন, ধ্বংস, নিধন, গাছের পাতা পড়া, গ্রহ, নক্ষত্র, চন্দ্র-তাঁরা, পরলোক ও এই ভব ।
ওরে অ অকৃতজ্ঞ ও অবিশ্বাসী,
তোর জীবনের গলায় হবি অসহায় পড়ার আগে ফাঁসী,
ওরে এখনই তাহলে, মরার পরে বাঁচতে হলে, অন্তরে বাহিরের গলে বল সকলে আল্লাহই আমার রব ।
ওরে নরাধম বেয়াকুফ,
দেখনা ভেবে বসে কিছুক্ষণ করে একদম চুপ,
তোরা কি অন্ধ-বধীর, কি বলে ঝর্ণা, সাগর ও নদীর ছলাত ছল ঢেউয়ের জল ও সমস্বরে বেঁধে দল করে কলরব ।
অধম গোলাম দাস,
কানার দলের কি হয়না বিশ্বাস,
তারই খেয়ে-পরে ও রাজ্যে করে বসবাস,
তাই বলে কি মহারাজায় দেয়না দেখা ও রয় বলে নিরব,
চিরন্তন মহা সত্যগুলিও তাদের কাছে মনেহয় কিরে তামাসার কোন গল্প গুজব ।
আছে যার প্রাণ,
যখনই আসিবে আল্লাহর ফরমান,
যবে ইচ্ছে হবে জীবনের মালিকে যদি সব ফিরিয়ে চান,
হয়ে গেলে ক্ষমা আর সব চাওয়ার অবসান, ধন, জন ও এ প্রাণ তারে দিতে হবে করে দান ।
কানার দল কেন ভাবেনা ও দেখেনা,
চলছে কেমনে আর, হাতের মুঠোয় কার এ মহাবিশ্ব জগতখানা,
দক্ষ নিপুণ রুপকার কে সে,
কেন আপনারে ঢেকে রয়েছে লুকিয়ে কোথায় বসে,  
ওরে ভাই হাতে সময় থাকতে তাই, কথায়, কাজে ও দানে কিবা ইবাদতে কিছুনা কিছু চাই ই চাই সন্তুষ্টি তার ।


০১)  
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ
আল্লাহ এক ও একক, তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ বা মা’বুদ নাই এবং হযরত মোহাম্মদ (সঃ) আল্লাহর প্রিয়তম বান্দা, তার প্রেরিত রাসূল ও সারা জাহানের চিরকালের/কেয়ামত পর্যন্ত শেষ নবী । এ বাণী ও বয়ানে নিজ মনে-প্রাণে ও জবানে শতভাগ বিশ্বাসী হয়ে তা পাঠ করা বা বলা হলে তাতে হয় ইবাদত ও পুণ্য অপার ।


০২)  
বিসমিল্লাহ (বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)
সারাদিনের সকল কাজের শুরুতে মহান আল্লাহপাকের দয়া ও সাহায্য তথা অধিক করুণা নেয়ামত, বরকত ও রহমত লাভের আশায় আল্লাহকে স্বরণ করা ও সর্বদা তার করুণার চাদরে আবৃত থাকার জন্য তা পাঠ করা বা বলা হলে তাতে হয় ইবাদত ও পুণ্য অপার ।  


০৩)  
আলহামদু লিল্লাহ
সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য, একথা স্মরণ ও স্বীকার করে তার মহান দরবারে খুশী ও সন্তুষ্টির শোকর জানানো কিবা তা আদায় করা এবং যে কোন ভাল কথা ও সুখবরের বেলায় তা পাঠ করা বা বলা হলে তাতে হয় ইবাদত ও পুণ্য অপার ।  


০৪)  
আস্তাগফিরুল্লাহ
অজ্ঞতা, অনিচ্ছা, অসাবধানতা, অবিশ্বাস, অবাধ্যতা কিবা হেয়ালিপনার কারণে কোন ভুল, অন্যায়, অপরাধ বা গুনাহ হয়ে গিয়ে থাকলে মহান আল্লাহপাকের কাছে আমি ক্ষমা চাইছি, আল্লাহ দয়া করে আমাকে অনুরুপ সকল কার্য্য থেকে হেফাজত করুন, তা পাঠ  করা বা বলা হলে তাতে হয় ইবাদত ও পুণ্য অপার ।


০৫)  
লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহ
এটা আস্তাগফার এরই অংশ যার পূরোটা হলো – আস্তাগফিরুল্লাহা রাব্বি মিন কুল্লি জাম্বিও ওয়া আতুবু ইলাইহে, লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লা হিল আলিয়িল আজিম, তথা অভিশপ্ত শয়তানের অনিষ্ট বা ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য  আল্লাহর সাহায্যের আশ্রয় চাওয়া, তা পাঠ করা বা বলা হলে তাতে হয় ইবাদত ও পুণ্য অপার ।


পর্ব – ০৫


০৬)  
আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহে ওয়া বারাকাতুহু
কাহারো সংগে দেখা হলে তাকে সালাম দেওয়া তথা তার কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করে আল্লাহর কাছে এ দোয়া প্রার্থনা করা, তা পাঠ করা বা বলা হলে তাতে হয় ইবাদত ও পুণ্য অপার ।


০৭)  
ফি আমানিল্লাহ বা আল্লাহ হাফেজ  
আল্লাহপাকই একমাত্র ও সর্বোত্তম হেফাজতকারী, শতভাগ বিশ্বাসে একথা জেনে ও মেনে কাউকে মহান আল্লাহর হেফাজতে সোপর্দ করা এবং তা পাঠ করা বা বলা হলে তাতে হয় ইবাদত ও পুণ্য অপার ।  


০৮)    
আল্লাহু আকবার
আল্লাহ তায়ালা তার একক ক্ষমতা ও কর্তৃত্বে সবচেয়ে বড়, সর্বশ্রেষ্ঠ ও মহান । এ বাক্যটি আল্লাহর সঠিক মর্যাদার সর্বোত্তম জিকির, তাসবিহ ও তাকবির । আল্লাহর বড়ত্ব ও মহত্ব কিবা তার দৃশ্যমান বা অদৃশ্য মহাসৃষ্টির বড়ত্ব, বিশালত্ব ও অসীমত্ব প্রকাশ করতে যথোপযুক্ত । তা পাঠ করা বা বলা – তাতে হয় ইবাদত ও পুণ্য অপার ।


০৯)  
ইনশা আল্লাহ বা ইনশাল্লাহ
মহান আল্লাহ যদি চাহেন বা যখন চাহেন ও দয়া করে কবুল বা মনজুর করেন তবে ভবিষ্যতে হবে, করবো বা ঘটবে এমন সকল ভবিতব্য বিষয় বুঝাতে এ বাক্যটি বলতে হয় । তা পাঠ করা বা বলা হলে তাতে হয় ইবাদত ও পুণ্য অপার ।    


১০)    
ইন্না লিল্লাহ
খারাপ, ক্ষতিকর, দুঃক্ষজনক, বিপদজনক বা মন্দ কিছু ঘটে গেলে কিবা অনুরুপ ছোটখাট কোন দূর্ঘটনা, দুঃসংবাদ কিবা কারো মৃত্যু সংবাদ শোনলে বা জানতে পারলে এ বাক্যটি প্রযোজ্য ।  তা পাঠ করা বা বলা হলে তাতে হয় ইবাদত ও পুণ্য অপার ।


১১)  
জাযাকাল্লাহ
কাহারো কাছ থেকে কোন ভাল ব্যবহার, এমনকি ভাল কথা বা আশা ও সান্তনার বাণী, সুপরামর্শ, ভালকাজ, সাহায্য, কোন উপকার বা সহযোগিতা লাভ করলে তার প্রতি আল্লাহর উত্তম প্রতিদানের জন্য দোয়া করা । তা পাঠ করা বা বলা হলে তাতে হয় ইবাদত ও পুণ্য অপার ।  


১২)  
না’উযুবিল্লাহ
সকল প্রকার গুনাহ, খারাপি বা মন্দ ও ক্ষতিকর সম্ভাব্য বিষয় থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর পানাহ ও সাহায্যের আশ্রয় চাওয়া । তা পাঠ করা বা বলা হলে তাতে হয় ইবাদত ও পুণ্য অপার ।


১৩)  
মাশা আল্লাহ বা মাশাল্লাহ
আল্রাহপাক যেমন চেয়েছেন তাই হয়েছে এবং এ বাক্যটি বলে তাতে নিজের খুশী ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করা । তা পাঠ করা বা বলা হলে তাতে হয় ইবাদত ও পুণ্য অপার ।


১৪)    
সোবহান আল্লাহ বা সোবহানাল্লাহ
আল্লাহ মহা পবিত্র ও সুমহান । আল্লাহর ক্ষমতার বড়ত্ব এবং তার সৃষ্টির কোনকিছুর কুদরত, কেরামত, কুয়ত ও মহিমা বা বিশালত্বের বিস্ময় প্রকাশ করতে এ তাসবিহ শ্রেষ্ঠ । এ প্রশংসা অনেকটা আল্লাহু আকবার এর অনুরুপ । তা পাঠ করা বা বলা হলে তাতে হয় ইবাদত ও পুণ্য অপার ।