ঘনজুলমাত, নদীর দু'ধারে অসংখ্য যাত্রীরা অপেক্ষেয়মান,
স্নেহ ও মায়াময় গন্তব্য স্হানে পৌঁছতে সবাই ব্যাকুল প্রায়। রাত ঘন হয়েই আসছে।
এ দিকে চাঁদ ডুবে গ্যাছে নির্দি্ষ্ট সময়ে,চারিদিকে হাক ডাক নেই এখন আর।
দু'চোখে ঘুম নেই দু'ধারের যাত্রীদের
শুধু অপেক্ষার প্রহর গুণছে কখন পেরুবে রাত,কখন ওঠবে পূর্ব দিগন্তে সোনালী সূর্য্য।
মাঝে মধ্যে দূর ঘন জঙ্গল থেকে ভেসে ভেসে আসে ডাহুকের ডাক।মনে হয় তাদের কন্ঠে
প্রশংসা ও শোকরিয়ার সুর সৃষ্টি কর্তার।
ঘুমে ঢুলঢুল চোখ যাত্রীদের কিন্তু প্রহর কাটেনা।
ফর্সা হয়না,আঁধারে আঁধারে রাত আরো বাড়ে।
খুব ক্লান্ত দেহ মন যাত্রীদের, সবাই বুভুক্ষু ও
কিন্তু দীঘল রাতে কোথাও খাওয়ার দোকান
পাওয়া যাবেনা।তাই তারা হতাশ এবং
মাঝীদের জিজ্ঞেস করছে রাত পোহাবে কখন,
সূর্য্য ওঠবে কখন , কখন ছাড়বে নৌকো?
মাঝীরা সারাদিনের ক্লান্ততায় অঘোরে ঘুমোয়
কোন উত্তর দিতে পারেনা ওরা। ক্ষনে ক্ষনে
শিয়াল কুকুরের চিৎকার শুনে
স্তব্ধ হয়ে যায় যাত্রীরা, ভয়ে কাঁপে কখন
নিশাচর বাঘ সিংহ এসে খেয়ে পেলে তাদের।
তাই যাত্রীরা খুবই ভীত সন্ত্রস্হ।
তারা দিগন্ত থেকে আছছালাতু খাইরুন মিনান নাউম শুনতে চায় এখন, তারা চায় কালোর কালিমা
মুছে রঙ ছড়াক পূর্ব দিগন্তে, ওঠুক সূর্য্য তাড়াতাড়ী।
মাঝিরা নৌকো ছাড়ুক, কিন্তু আফসোস রাত যেখানে সেখানেই রয়েছে। বিতৃষ্ণায় বেহুস যাত্রীরা
তাই আবারো ডাকছে মাঝীদের রাত্রী কখন শেষ হবে, কখন সূর্য্য ওঠবে।
তারা পেরুতে চায়, এ অবস্হায় তারা থাকতে চায়না আর। দু'হাতে সরাতে চায় এ নিষ্ঠুর রাত
তারা দেখতে চায় গাছে গাছে ফুল ফুটুক, পাখি ডাকুক।
এ প্রত্যাশায় তারা এখন হাহুতাশ করছে।
আর বলছে মাবুদ আমাদেরকে মুক্তি দিইন,
বাঁচান। আমরা তোমারই ইচ্ছায় চলার প্রয়াসী
বল মাঝি বল সূর্য্য ওঠার কত দেরী কত দেরী?!


১৭/৪/২০১৭