তোমাতে বিশ্বাস রেখেছি প্রথম দেখাতেই
তোমার চেহারায় দেখেছিলাম বিশ্বাসের ছাপ।
তখন কল্পনায়ও আসেনি,
তোমাতেও থাকতে পারে অবিশ্বাস।


মাধুরী মেখে যখন বলতে, কাউকে বিশ্বাস করবে না।
ফ্যালফ্যাল নেত্রে সেকথার গভীরতা মাপার প্রয়াস পেতাম।
যখন বলতে, বিশ্বাস কেবল নিজেতেই রাখা যায়। তখন
ওপিটে পেতাম তোমায় বিশ্বাস রাখার আস্থা।
তোমাকে তখন আরেকটি ‘আমি’ অনুভব হতো।


মাঝেমধ্যে আমার আস্থা নিরূপণে বলতে, তুমি বিষম সরল।
ভাবতাম, অবোধ বালকের মতো তোমায় ভালোবাসাই আমার সরলতা।
ভুলে গেছিলাম, সরলভাবেও অনেক সময় গরল কথাটা বেরিয়ে যায়।
আসলে ভালোবাসা আমায় এসব ভাবনা থেকে অন্ধ করে রেখেছিলো।


আমার ব্যাপারে যখন আস্থাশীল হলে
ধীরে ধীরে তুমি নিজেকে অবমুক্ত করলে আপন রূপ-বিরূপে।
আমি তখন ভয় পেয়ে গেলাম।
না, আমি তখন বেদনায় মুষড়ে পড়লাম।
না, আমি আসলে কেমন হয়ে গেলাম, ঠিক বলতে পারছি না।


অতপর আমাকে সর্বস্ব করে তুমি চলে গেলে।
যেমন খাঁচার দুয়ার খোলা পেয়ে বনের পাখি বনে চলে যায়।
আমি ব্যথায় কুঁকড়ে উঠলাম।
তুমি চলে গেলে।
যেন আমার সাথে তোমার দেখাই হয়নি কোনদিন।
কিংবা চলার পথে না-দেখার মতো দেখা হয়েছে।
যাতে মায়ার ডোরে জড়াবার মতো কিছু নেই।
দিনশেষে বুঝলাম, আমি আসলেই সরল।
এবং আমি আসলেই সরল।