চাই একটি মন
যে আগলে রাখবে সব।


যখন বের হবো
অজানা শঙ্কায় দুলবে।
তারপর ফোনে জিজ্ঞেস করবে,
‘কী করছো এখন, আজ তাড়াতাড়ি যায় না ফেরা?’


ক্লান্ত সূর্যের আবির মাখা বেলায় যখন ফিরবো
নববধুর সাজে অধীর আগ্রহে সামনে এসে দাঁড়াবে,
সারাদিনের ক্লান্তি ভোলানো বেদনাবিধুর এক চিন্তারেখা মুখে টেনে বলবে,
‘এত কষ্ট কার জন্য?
বললাম না, দুমুঠোর অধিক দরকার নেই।
এতো খাটুনি তবে কিসের?’


বাবা-মায়ের খোঁজ নিতে যখন
ধুমায়িত সন্ধ্যায় সে ঘরে যাব
ফেরার পথে সবুজের যে উপহার নিয়েছিলাম
হাতে নিয়ে তাদের দিকে বাড়িয়ে বলবে,
‘মা-বাপটা যেন আমারই কেবল।
সারাদিন আমাকেই খোঁজ নিতে হয়।
যদি আমারই সব করতে হয়,
তবে অন্য কেউ যেন মা বলে না ডাকে।’
বাবা ডেকেও আর আল্লাদ করার নেই দরকার।
তাদের আমিই রাখতে পারব।’


রাত্রি যখন নীরব-নিঝুম,
বিদ্যুৎ চালিত পাখাও শরীর জুড়াতে ব্যর্থ
বাইরে প্রবাহিত সোঁ সোঁ বাতাস
শীতলপাটি আর সামনে খালি জায়গা
বলবে তখন,
‘আমার মন তো কারও বুঝার দরকার নেই!
আমারও যে সাধ জোছনা মাখা, একটু গল্প করা,
সে বোধটুকু আল্লাহ কাউকে দেন নি।’


রাতের শেষ প্রহরেও যখন ‍ঘুমের ঘোরে অচেতন
কাঁথা টান দিয়ে নিদ্রায় ব্যাঘাত হেনে বলবে,
‘কাজ তো কেবল তুমিই করো?
দুনিয়ায় আর কাজের কেউ নেই।
অন্যের জন্যই দিনভর খাটো।
এখন নিজের জন্য তো করো।’


দীর্ঘ ক্লান্তিতে যখন দেহমন অশান্ত
অভিমানী সুরে বলবে,
‘সারা জীবন তো খেটেই গেলে
একটু তো পারো কোথাও ঘুরে আসতে।
আমায় না-হয় নাই-বা নিয়ে গেলে,
অন্তত নিজে তো ঘুরে আসো।
জীবনটাকে আর কত বিপন্ন করতে চাও তুমি?