সাতসকালে উঠেছিলাম বলে
শিশুর মতন নরম হলো মন
শ্রাবণ মেঘের বাষ্প উড়ে চলে
উদাস মনের খাঁচাটা নির্জন।
অঝর ধারায় বৃষ্টি ঝরে পড়ে
টাপুর টুপুর ফোঁটায় পাতা নড়ে
মাঝি ডাকে চলনবিলের বাঁকে
নাটোর থেকে পাবনা বলে হাকে।


চলনবিলের প্রেমে পড়ে আমি
নিষেধ ভেঙে বেরিয়েছি আজ
নৌকা পথে যখন যেথায় থামি
দেখি তার ঐ রঙবাহারি সাজ।
ভরা যৌবন চলনবিলের বুকে
সাঁতরে যাবো অনন্য এক সুখে
বলছে সবাই এসো খুলে দিল
আমি তোমার স্বপ্ন চলনবিল।


সূর্য-চাঁদে লাগেও যদি গ্রহণ
আমি যাবো নিকষ কালো রাতে
পেয়েছি গো তোমার নিমন্ত্রণ
সুমনা, গো থেকো আমার সাথে।
শ্রাবণ-ভাদর পিছিয়ে গেলে তুমি
জ্যোৎস্না রাতে ডেকো আবার সুমি
বিলের পাঁজর ভরাবে কাশফুলে
যুগল প্রেমে উঠবে হৃদয় দুলে।


সেদিন রুমি বললো কেন আড়ি?
চলনবিল ছিল ঘুমের ঘোরে
বিলের পাড়ে ছোট্ট কুঁড়ের বাড়ি
আমার দাওয়াত বর্ষাকালের ভোরে।
সুমি-রুমির নাওয়ের মাঝি আমি
রক্ষা করো চলনবিলের স্বামি
শাপলা-শালুক কচুরিপানার বিল
হাজার রূপে রূপায়িত স্বপ্ন চলনবিল।