সামনে আমার বসা ছিল
ছোট্ট একটি মেয়ে,
পুতুল সম ছোট্ট মুখে
কান্না-হাসি ছেয়ে ৷
মা শুধু তার ধমকে বলে
শান্ত ভাবে বোস্,
বাবার দিকে দেখলে বলে
উনারই তো দোষ ৷
ছোট্ট মুখের বিষন্নতা
কার বা লাগে ভালো,
রাখতে ধরে ক্যামেরাতে
একটি ছবি তোলো ৷


ওরে বাবা, ক্যামেরা যেই
তাক করেছে মুখে,
তার মা বলে— তুমি মশাই
ছবি তোলো কোন দুখে?
মূর্তি দেখে বললাম আমি
এক্সট্রিমলি সরি
এছাড়া এই পরিবেশে
কিবা আমি করি?
ভাবছি মনে আজ কি আমি
হলাম অপমান?
ছোট্ট মেয়ের দুষ্টুমিতে
জুড়াচ্ছিল প্রাণ ৷


কিভাবে কোন পথে দেবো
শিক্ষা মেয়ের মা-রে
আস্তে করে বলল বাবা
কিছুই হবে না-রে ৷
তারপরেতেই উঠল ট্রেনে
কন্যা আমার শিফা,
কত রকম শিশুর সাধ
জানিয়ে দিলো রিফা ৷
কামরা ভরে হাসির রোলে
শিফা মধ্য মণি,
ছোট্ট মেয়ে ধরলো হাত
শিফার তর্জনি ৷


শিক্ষক আমি কবি আমি
ভালোবাসি শিশু,
রিফা এসব জানিয়ে দিল
বলল আরো কিছু ৷
ছোট্ট মেয়ের মা শুনে সব
বলল— শোনেন দিদি—
খুশি হতাম কবি সাহেব
ছবি নিতেন যদি ৷
সোনামুখের যৌথ ছবি
নিলাম কি আর করি,
ছোট্ট মেয়ের মা বলল—
দাদা আমি সরি ৷


২৬০২২০১৯
  বনগাঁ (ট্রেনে)