ভোর হলো রে ফজর হলো ডাকলো মুয়াজ্জিন হাঁকি,
আজান ধ্বনির সুর শুনে মন ভাবছে সে ভোরের পাখি ৷
উঠছে মানুষ স্বাস্থ্য হিতে
জাগছে শিশু কূজন গীতে,
উঠছে মু'মিন মুসলমান আর নিশির বেশি নেই বাকি ৷


ঊষাবায়ুর  আলতো ছোঁওয়া মুসুল্লিদের পাক গায়ে,
শিশির ভেজা দূর্বাগুলো চুমছে তাঁদের দুই পায়ে
পথের ধূলো ভোরের আভা
সামনে রেখে ক্বিবলা কাবা,
নামাজিকে বলছে তোমার জুতায় মোরে নাও মেলায়ে ৷


ভোরাই সুরের বর্ণ মেখে আঁকছে ভোরের আলপনা
ঘুম কাতুরে অলস বালক ভাবছে সবই কল্পনা
উঠেই পড়ো নিন্দ ছেড়ে
তাকিয়ে দেখো চোখ ফেড়ে
বলছি তোমায় যা কিছু সব একটুও তা গল্প না ৷


বন-বিতানের পাখ-পাখালি উঠল জেগে ঘুম ছাড়ি
পুব আকাশের আলোর রেখা জগলো নিয়ে মন কাড়ি
সকাল হওয়ার অপেক্ষাতে
নামাজির মন তাসবিহাতে
আসলে দিনের প্রথম প্রহর ফিরবে সে আ-পন বাড়ি ৷


সাক্ষী হলো অচিন পাখি সাক্ষী ভোরের  ফুলদলে
সাক্ষ্য দেবে অঙ্গ তোমার জীবন গেলে শব দলে
রোজ হাসরে করবে পার
নামাজ ছাড়া সাধ্য কার
অতল গহিন ঘুম ছেড়ে ভাই জামাত ধরো ভোর হলে ৷
০২১০২০১৮
কৃষ্ণনগর