গ্রীষ্মের দুপুর চিনেছো তুমি চিনেছো সবুজ মাঠ
কৃষক মজুরের ঘাম চিনেছো চিনেছো নদীর ঘাট
ধানের উপর ঢেউ খেলা আর দখিণা বাতাস ছুঁয়ে
চিনেছো ক্ষেতের ঘাসফড়িং ঘুরেছো বাংলার ভুঁয়ে
চেনা-জানার ইচ্ছের বাহক চিনলে তুমি সবই
হৃদয় ভরা কথার কালি তোমায় করেছে কবি ৷


বর্ষাধারায় চরাচর ভেজে মনের পিয়ানো বাজে
খাল-বিল আর নদী-নালা সব আপনার মতো সাজে
সাপলা-শালুক পদ্মের দল হেসে ওঠে চারিদিকে
জানার নেশায় ব্যথার চিন্তা কখন হয়ে যায় ফিকে
টপ্ টপ্ ঝরা বৃষ্টির দানা অনন্য এক ছবি
তুমিই বুঝেছো এসবের মানে এইহেতু তুমি কবি ৷


শরৎ সকালের হাসিমাখা রোদ পল্লীর মায়া মেখে
পুলকিত হয় মুখটি তোমার  বুঝতে পারি তা দেখে
দূর্বা ঘাসে মুক্তার মতো শিশির কণা হাসে
কাশফুল যেন ওড়না উড়িয়ে দাঁড়িয়েছে তার পাশে
শরৎ সন্ধ্যা পটে আঁকা তোমার কবেকার যেন ছবি
তোমার অনুভব বড়ই দীপ্ত কারণ তুমি যে কবি ৷


কুঞ্জবনের টুকরো জ্যোৎস্না চিনতে করোনি ভুল
চিনেছো হাজার রঙবাহার আর সুগন্ধীময় ফুল
দোয়েল-কোয়েল বাবুই-মুনিয়া কোকিলের কলতান
তুমিই শুনেছো সহস্র পাখির সহস্র সুরের গান
অক্লান্ত পথ হেঁটেই চলেছো হর্ষ-স্নিগ্ধ প্রাণে
তুমিই বুঝেছো কুয়াশায় ভেজা সকাল বেলার মানে
বুঝেছো নিশ্চয় গোধূলিলগ্ন বিদায়ী রক্তরবি
তোমারই বোধে ভেসে ওঠে সব,কারণ তুমি যে কবি ৷


সাইবেরিয়ার কোলকাতাগামী পরিযায়ী পাখির দল
কোন দেশে কবে কোন ফুল ফোটে কত স্বাদের ফল
কতকাল ধরে অবিশ্রান্ত শ্রমে চিনলে তুমি সবই
আমি যে তোমার খাঁচার পাখি চিনলে না মোরে কবি ৷


২৫০৯২০১৮
চাপড়া