বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ 'আনন্দ বেদনার কাব্য' নামে এক গল্প লিখেছিলেন। তাঁর বাবা ফয়জুর রহমান এই নামে এক বই বার করেছিলেন তাঁর ছোটবেলায়, যার প্রচ্ছদ স্বয়ং হুমায়ুন আহমেদ এঁকেছিলেন। কালের নিয়মে হারিয়ে যাওয়া সেই বইকে পরোক্ষভাবে। স্মরণ করা হয়েছে এই গল্পে।
এই গল্পটি সত্যিই অসাধারণ। হুমায়ন আহমেদের বড় ভক্ত না হয়েও বলতে পারি, এই গল্প যেকোন সাহিত্যানুরাগীরই ভালো লাগবে।
এইগল্পে কবিতার ভূত নিয়ে এক মফস্বলবাসী কবিতার ছাপান। সেই বইয়ের প্রচ্ছদ আঁকে তাঁর মেয়ে, যে বই ছেপে বেরোনোর আগেই মারা যায়। তাকে উদ্দেশ্য করে বইয়ের শেষ কবিতা।
এখানে হুমায়ুন আহমেদের বক্তব্যটি সবার সাথে ভাগ করে নিতে চাই।:
"কবিতাটি ক্ষুদ্র এবং রচনাভঙ্গী অন্যান্য কবিতার মতোই কাঁচা। কিন্তু প্রতিটি শব্দ চোখের জলে লেখা বলেই বোধকরি কবিতাটি দুঃখি বাবার মতই হাহাকার করে ওঠে। সেই হাহাকার বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ছাড়িয়ে চলে যায় অদেখা সব ভূবনের দিকে।
একটিমাত্র কবিতা কেউ কেউ কবি হতে পারেন। অল্প কিছু পংক্তিমালাতেও ধরা দিতে পারে কোন মহান বোধ, মহান আনন্দ, জগতের গভীরতম ক্রন্দন। সেই অর্থে আমাদের 'রিক্তশ্রীর' কবি একজন কবি।"