রাজচন্দ্র/রাজকৃষ্ণ/রাজনারায়ণ রায় বা রাজু এক মুসলিম জায়গীরদারের মেয়েকে বিয়ে করতে চাইলে সমাজচ্যুত হতে হয়। তাঁর মন্দির প্রবেশের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। ধর্ম পরিবর্তন করে মন্দির ধ্বংসে উদ্যোগী হয়ে ওঠেন, তাই নাম হয় কালাপাহাড়। খুব আশ্চর্য্য কারণে, তিনি চৈতন্যদেবের স্মৃতি সম্বলিত কোন সৌধ ধ্বংসে অনীহা দেখিয়েছিলেন। নবদ্বীপে থেকেও তিনি কোন হিংসাত্মক আচরণ করেন নি। নিমাই পণ্ডিত বা চৈতন্যদেবকে শেষ দেখা যায় পুরীতে। জনশ্রুতি মতে তিনি অলৌকিক ভাবে সমুদ্রে বিলীন হয়ে যান, সন্দেহ করা হয় ইর্ষান্বিত পাণ্ডারা তাঁর জনপ্রিয়তায় ইর্ষাণ্বিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে খুন করে।


যে ভূমে মানবাত্মার চেয়ে বেশী সমাদরে পূজিত হত পাষাণ,
সে দেশে আহা কি বেশে, ভ্রমিলে নমিলে জীবে তুমি মহান!
দ্বিজ ও চণ্ডালে একাসনে, একনয়নে কেমনে যাচিলে তুমি,
সুজলা সুফলা শস্যশ্যামলা বঙ্গ-জনপদ হল ভক্তিপ্লাবিতভূমি।


বর্ণব্যবস্থার কৃত্রিম নিগড়ে ছিল বন্দী, ছিল বিপন্ন চিরসত্য।
সেথায় মানুষ-মানুষ ভাই ভাই বলে, প্রমাণ করেছ মহত্ব।
আচারে-বিচারে, ছোয়াতে-ধোঁয়াতে উঠেছিল নাভিশ্বাস
সেথা তুমি দিলে, শান্তিবাণী দিয়ে নির্মল এক বাতাস।


বেশ করেছি, পূজামন্দির ভেঙ্গেছি, ভাঙ্গবো আমি আরো
যেথায় হয় আচারের নামে অনাচার রেহাই নেই তারো।
উত্কলের সমুদ্র পূরীতে, তোমাকে হত্যা করে বলে
আহা! দেখ হেরি, মহাপ্রভু লীন হলেন নীলাচলে।
পারেনি সহিতে অনাচারী পাণ্ডারা সততা-সমতা তোমার,
আজ রাজু করে ওয়াদা, পাপীদের ভোগপুরী করব চুরমার।