নিখিল আলো দেখিয়েছ মা
কত পীড়া সহ্য করে,
তোমার বোঝা হয়েছিলাম
পেটের অভ্যন্তরে।
আর্তনাদ ও দীর্ঘশ্বাসেে কাটিয়েছ
কত শমনী,
ব্যথা তোমায় কাঁদতে বলত
তবু্ও কাঁদনি।
ভেজা বিছানায় থেকেছ মা
রেখেছ আমায় শুকনায়,
মনে হয় সেদিন ছিলাম
স্বর্গের বিছানায়।
অন্ন করনি ভক্ষণ মা
থেকেও ক্ষুধার্ত,
সেই অন্ন করেছ প্রদান
আমায় যথার্থ।
পীড়িত বেশে থেকেও মা
রাখতে কাছে সারাবেলা,
স্নেহ-সহানুভূতি দিতে
কভু করনি হেলা।
যখন আমি কাঁদতাম জোরে
বিছানায় শুয়ে,
তখন মাগো আসতে দৌড়ে
ধরতে আগলে বুকের মাঝে
বলতে মারছে কে তকে?
ক্রন্দন আমার স্থির হত
তোমার মুখটি দেখে।
নিরবধি কাঁদতে মা
আমি অসুস্থ হলে
ডাক্তার কাছে যেতে ছুটে
ঔষধ সেবনে,
কৃতাঞ্জলি করে তুমি করতে প্রার্থনা
সন্তান আমার সুস্থ কর
হে কৃপালু,সৃষ্টিকর্তা।
আজ আমি অনেক বড়
মায়ের আদর-সোহাগ পেয়ে,
হে প্রভু, সারা জনম দেখতে চাই
মায়ের মুখে হাসি,
যদিও মোর ভোগতে হয়
হাজার দুঃখের রাশি।