সুলতা, তোমার জন্য
আমার সুদীর্ঘ প্রতীক্ষা
বৃক্ষের মতো ডালপালা গজিয়ে
আসন্ন বসন্তে,পুষ্পবতী
হওয়ার কামনায় অপেক্ষমাণ ;
কবে তুমি ছোঁয়াবে তোমার
চম্পক অঙ্গুলি!
অনিরুদ্ধ কামনার শিহরণে
পুষ্পিত অনুরাগে জড়াবো
তোমার চারু শরীর,
অধর পল্লবের যাবতীয় আর্দ্রতা
শুষে নেবো ঘন চুম্বনে।
সুলতা, তোমার আকাঙ্ক্ষিত অনিন্দ্য মুখে
অমরাবতীর চন্দ্রগ্রহণ
দারুণ মুগ্ধতা নিয়ে কাছে ডাকে;
তোমার স্নিগ্ধ হাসির সারল্য
সুনন্দ নাসিকাগ্রে স্বেদতারল্য
খুচরো শব্দের সুরেলা ভাষণ
অস্ত্বিত্বের সংগোপনে ঝড় তোলে,
জড়ায় আমায় মায়ার মোড়কে।
সুলতা, তোমার টুকরো চাঁদের মতো পা'
যেন বসন্তের শরমার্ত গ্লাডিওলাস
চুম্বন আকাঙ্ক্ষায় কেঁপে উঠে,,
স্থির থাকতে পারিনা আমি
কামনায় গলে যাই বরফের মতো ;
বাড়িয়ে দিই প্রতীক্ষিত করতল
সযতনে রাখো মোহনীয় কম্র পদযুগল
আমার তৃষ্ণার্ত ঠোঁটের ছোঁয়ায়
লাল হয়ে উঠে তোমার শাদা পা'।
সুলতা, তোমার স্বপ্নভূক চোখের
প্রাণ খামচানো চাহনি;
সুশোভিত দেহের ছান্দিক বিভঙ্গ,
আপাদমস্তক রামধনু রঙ্গ,
সরসী বাহু যুগলের স্বপ্নিল আহ্বান
কাছে টানে-
এক মানবিক সম্মোহনের
আলোকিত স্বপ্নোদ্যানে।
সুলতা, আমাকে প্রতীক্ষায় রাখে
তোমার পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ
যাবতীয় সম্মোহন,
পায়ের ঘর্ষণ,
জ্বলে উঠে জৈবিক স্ফূলিঙ্গ
ফুলে উঠে সমুদ্র, আগ্রাসী নিম্নচাপ
উৎপন্ন ঝড়ের আস্ফালনে
লণ্ডভণ্ড তোমার পুরো শরীর
থৈ থৈ বৃষ্টি নামে;
নরম পললে দেবে যায়
কৃষকের লাঙলের ইস্পাত
কেঁপে ওঠো তুমি
শেষ হয় বীজের বুনন।।