তিন চারটে মৌমাছি
ভন ভন ছুটোছুটি করছিল,
একটা প্রজাপতি বাতাস-দরিয়ায়
মৃদুমন্দ ভাসছিল,পাখার ভেলায়।
এক ঝাঁক সাদা বক নরম আকাশে
চক চক আলোর দোলায়।

দূরে শিমুল গাছের লাল  ফুলগুলোতে
মনে হচ্ছিল, তারাদের মেলা বসেছে।
ওপারে দিগন্ত শয্যায় আলস্যে ঢুলুঢুলু
দিনমণি লুকায় আকাশ-আঁচলে।


বিস্তীর্ণ মাঠের বুক দ্বিখণ্ডিত করে
এঁকে বেঁকে গেছে রাজপথ;
কুচ কুচে কালো তার দেহ টা,
প্রায় নির্জন, কিন্তু নীরব নয়।
মাঠের ঘাস গুলো মাড়াতে মাড়াতে
আমি এগোচ্ছিলাম আনমনে।


একটা মালভর্তি ট্রাক ছুটে আসচ্ছিল,
একটা দশ-বার বছরের ছেলে হবে!
যমদূতের গতি বেড়ে গেল দ্বিগুণ,
নির্জন রাজপথ জনবহুল হয়ে উঠল,
আমার পৌঁছানোর আগেই ও
রাস্তা পাড়ি দিচ্ছিল...


এখন শুধু দুটো অখণ্ড পা
আর বাকী টা খণ্ড খণ্ড মাংস পিণ্ড।


চোখ ফেরালাম মাঠের প্রান্তে
সেই প্রজাপতি,শিমুল গাছ অবিকল,
সাদা বক,ঢলে পড়া ক্লান্ত সূর্য
সুন্দর,মনোময়, তবু...
এরই মাঝে...
জীবনের সাথে মৃত্যুর
অঘোষিত পদচারণা......
বড় কষ্ট হয়।