কুয়াশা যখন গাঢ়    
                           অচিন্ত্য সরকার


অনেক পাল্টে গেছি,তবু আরও পাল্টাতে হবে,
এই ঝকঝকে পৃথিবীর সাথে তাল মেলাতে।
বাঁচাতো একা সম্ভব নয়,সেটাইতো ভয়,
তাইতো একার মতো চলাও সম্ভব নয়।
অন্যকে নিয়ে চলার নাম সমাজ,
আবার ভোটটাও হয় সংখ্যার বিচারে,
তাই তো তালা আটকে নিজের বুদ্ধি বিচারে,
তাল মেলাতে হবে দশের আচারে।


তা না হলে হতে হয় একঘরে অহংকারী,
দাম্ভিক বিদ্যান,না হয় সততার মুখোশধারী।
তাইতো এখন অনেক সহ্য করতে পারি,
মানে পারতে হয়,যদিও অব্যক্ত বেদনায়,
ভিতরের যন্ত্রণায়,এখনও তিলে তিলে হই ক্ষয়।


পরীক্ষায় টুকলি,মিথ্যে আর ছল চাতুরি,
এসব দেখে রাগের তীব্রতা আর আগের
মতো জোরলো হয় না।
তবে এখনও অনেকটা কমাতে হবে,
এখনও নিজেকে বড় অনভিজ্ঞ আর
বেমানান মনে হয়।
চামড়াটা আরও অনেকটা পুরু করা দরকার,
তা না হলে কোথাও জায়গা নেই-
অফিস,দরবার কিংবা বাজার সরকার।


ছা-পোষা,নিন্মবিত্ত কিংবা বড়জোর মধ্যবিত্ত,
ভদ্রতা আর সততার মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ
খেয়ে দু'বেলা ভোগায় কফ ও পিত্ত।
খেটে খেটে অকালে বুড়ো,
পুষ্টি সুখে খুশি শুধু ভুড়ি,আর খুশি নয় কেও,
বৌ ছেলে মেয়ে,মা বাপ কাকা খুড়ো।


তাই আরও পাল্টাতে হবে
বন্ধু পেতে,সঙ্গী পেতে,গোষ্ঠী পেতে,
দর্দিনে হোমরা চোমরার মান পেতে।
শিখতে হবে খিস্তি কিছু,ঘুরতে হবে
নেতার পিছু,খেতেও হবে কিছু মিছু।
দেখতে হবে মাথা দিয়ে,চলতে হবে পাতা দিয়ে, দেখা হলেই হাসতে হবে,রাগ হলে ঢাকতে হবে।মুখোশ চাই এমন একটা হাওয়ায় মাপে হবে রঙিণ,
সকাল বিকেল পাল্টি খেলেও করবেনা গা ঘিনঘিন।
ছাড়তে হবে সেন্টিগুলো বিবেক,আবেগ পরিতাপের, মনে মনে জপতে হবে,আমি বাঁচলে নামটা বাপের।


যখন কুয়াশা অত্যন্ত গাঢ় হয়,
তখন আলোর গতিপথও বক্র হয়।