পাপ              
             অচিন্ত্য সরকার


কত কবিতা দিয়েছো আমায়,
আল্পনা ছোঁয়ায় মানে অভিমানে।
খুশির হিল্লোলিত গুণগুণে কবিতারা
গান হয়েছে সময়ে অসময়ে মনের কোণে।
ফুটেছে অসংখ্য কুড়ি হৃদয়ের মল্লিকা বনে।
তারপর.......
রাহুগ্রস্থ হয়ে ঈর্ষার ফণায় ঢেলেছো বিশ্বাস,
টুটি টিপে বন্ধ করেছো,নিজেই নিজের শ্বাস।
দুরাচারি দৈত্যে দিয়েছো প্রবেশ অধিকার
আমার সাজানো গোলাপের বনে।


কুড়িগুলো সব তছনছ করেছে কাফের,
খুশিতে ভেবেছো প্রেমের রকম ফের।
একবারও ভাবোনি ফিরে,কি নিদারুণ যন্ত্রণা
লেগেছিলো মালীর মনে.......


আগা শুকনো ডালে,শরীর ভর্তি শুধু কাঁটা নিয়ে,
অপমানে দূরে ছুঁড়ে ফেলা,পুরনো মালি কে
কেনো হাতছানি দাও বার বার এই দুর্দিনে।
মালীর শরীরে মনে আজ যে নিদারুণ ভার।
কাঁটায় ফুটেছিল কুঁড়ি,একদিন যাঁর আদরে,
তাঁরে ঠেলেছো দূরে......
অনাদর আর অপবাদের পুরষ্কারে।


হয়তো সেই পাপেই,কাফের দৈত্য
নষ্ট করেছে সব কুঁড়ি,নখের মারণ বিষে,
শ্বাসরুদ্ধ সব অনুভব,শরীরের চাপে পিষে।