রান্না শিখতে চাও যদি যাও
         ভবা ঘোষের বাড়ি
ছ’মাস ধরে কিচ্ছু টি নয়,
মাজতে হবে হাড়ি।


টুঁশব্দ টি করেছো যদি
টেনে ছিঁড়বে দাড়ি,
গালাগালির চোটে তোমার
উগরে উঠবে নাড়ী।


ছ’মাস পরে একটু আধটু
ঘেসতে দেবে ধারে,
পেঁয়াজ কাটা,লংকা বাটা
করতে দিতে পারে।


এসব কাজে হাত পাকালে
বছর খানেক পরে,
ঢুকতে এবার পারবে যেন
ভবার রান্না ঘরে।


প্রথম বারে শুকতো শেখ
গোটা পঁচিশ রকম,
বেল শুকতো,তেঁতুল শুকতো,
কত রকম সকম।


মুড়ো ঘণ্টোর বাহার  এবার
এক এক করে শেখো;
পুঁটি মুড়ো,বোয়াল মুড়ো
পারলে লিখে রেখো।


চিকেন কারি,মটন কারি
হাজার রকম তরকারি,
পোস্ত বাতা,রুই কালিয়া
ঝাল ঝোলের রকমারি।


কলার থোরের চাটনি কিংবা
কাঁকড়া ঘিলুর পাতুরি,
ধৈর্য ধরে শিখতে হবে
চলবে নাতো ছলচাতুরী।


বি.সি. কিংবা ম.সি. ডিগ্রী
যেটার কথাই ধর,
বছর দশেক বেগার খেটে
ভবা কে ধরে পড়।


যখন তখন হবে না ভাই
আগে থেকেই বুকিং,
যে সে মানুষ নন যে তিনি
ডক্টর অফ কুকিং।


মাইনে কড়ি ? ভেবো না ভাই
খাই খরচ টা দিও,
বছর দেড়েক রান্না করতে
লাগবে যেটা নিও।


ভবা ঘোষের পানের খরচ
সেটা দেওয়া চাই,
সকাল,বিকেল রাত্রি মিলে
দেড়শো টাকা চাই।


কি বললে?আমার সুপারিশী?
কি বা এমন তা!
অন্যের কাছে হাজার কুড়ি
তুমি দিও আধা।