ওহে নবীন কিশোর,
একদিন দেখা হবে আবার তোমাদের সাথে
পৃথিবীর কোন এক জরাজীর্ণ পুরনো পথে
কথা হবে তোমাদের অভিযোগগুলো নিয়ে
চাটুবাদের স্তাবকতা সেদিন আর আমাদের
আটকাতে পারবে না
মুক্ত কন্ঠে আওয়াজ তুলবো তাদের বিরুদ্ধে
যারা যুগ যুগ ধরে ক্ষমতার ওষ্ঠাধারে বেঁধে
রেখেছে স্বাধীনতার হাত
যাদের দাবানলের পৃষ্ঠতলে বহুকাল থেকে
জ্বলছে সমাজ
যারা সাধুবাদের খোলস পড়ে বার বার শুষে
খাচ্ছে মানুষের রক্ত
যারা শৌর্যের অহংকারে এখনো দাবিয়ে বেখেছে আমাদের বুক
তাদের কলঙ্কিত আত্মসম্মান সেদিন আমরা
হনন করবো
খুলে দিবো তাদের খোলস—চামড়া ছেঁচে
বেরিয়ে আনবো তাদের কলঙ্কিত রূপ
কোন বাধ্যবাধকতা সেদিন আমাদের আর আটকাতে পারবে না—টেনে হিঁচড়ে বেরিয়ে আনবো তাদের
সেদিন ভুল মানুষের কাছে বিনয়ী হওয়ার ধৃষ্টতা
থাকবে না আমদের
তখন আমার পুরোপুরি মুক্ত
থাকবে না আমাদের কোন পিছুটান
থাকবে না কোন মৃত্যুভয়
মৃত্যুকে পেরিয়ে তখন আমরা বহুদূরে।


এভাবেই কাল হতে কালান্তরে ফুরিয়ে যাবো আমরা
যুগ পেরিয়ে যুগান্তরে ধীরে ধীরে নিঃশেষ হবো আমরা
কিন্তু আমাদের আত্মিক দেহ এই সভ্যতার
মায়াজালে আটকে পড়বে
অত্যাচার-অভিযোগ আর অন্যায়ের দাপাদাপিতে কোনঠাসা হবে আমাদের  নিষ্প্রাণ আত্মা
আমরা চিৎকার করে বহু প্রতিবাদ করবো
খোলা আকাশে বাজাবো ন্যায়ের রণঝঙ্কার
কিন্তু কেউ আমাদের তখন শুনতে পাবে না
আমরা তখন আর মানুষ নয়—মানুষ থেকে বহুঊর্ধ্বে
অভিযোগ আর অবিচারের গ্লানি মোচনের
কোন উপায় থাকবে না আমাদের
শুধু নিরুপায় দৃষ্টিতে এভাবেই চেয়ে থাকবো অনিমেষ।


১৬/০৫/২০২০