বিষণ্ণ আত্নচিৎকার আজকাল প্রায় শোনা যাচ্ছে
জীবিকার অন্বেষনে ছুটোছুটি করছে অসহায়-দরিদ্ররা
দূর হতে ভেসে আসছে শোকাতুর কোলাহল
মৃত্যু ভয়ে কেউ আবার ভয়ানক জড়সড়
কাউকে আবার খামচি মেরে বেরিয়ে আনছে মৃত্যুর দেবতা
সবাই কেমন জানি অস্থির অবসরে দিন কাটাচ্ছে।
এদিকে মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে—বাঁচার প্রয়াসে
অনুতাপের বিন্দুমাত্র কমতি করছে না দুষ্কর্মীরা
করুণ অভিপ্রায়ে জীবন ভিক্ষার প্রতিযোগিতায় কেউ পিছিয়ে নেই
আজকাল কট্টরপন্থী নাস্তিকদেরও দেখা যায় স্রষ্টার নির্দেশিত পথে
শুরু থেকেই যারা অহংকারের অতিশৌর্যে ব্যস্ত ছিল
কালসাপের দংশনে তারা এখন প্রায় কুপোকাত
উদাত্তকণ্ঠে যারা বলেছিল, শ্মশানের দগ্ধ চিতাকেও মোরা ডরাই না
পৃথিবীকে যারা অমর-দীব্যকাল ভেবে স্বর্গ বানিয়েছিল
এখন বারংবার তীব্র অনুতাপে তাদের মস্তকও প্রভুর দ্বারে লুটোপুটি খাচ্ছে
টেনে হিঁচড়ে বেরিয়ে আনছে সবাইকে— আঁধারের যমদূত।
প্রতিটি ভুলের জন্য প্রবল আক্ষেপে তারা এখন বিবেকদংশনে ব্যস্ত
জীবন এখন তাদের অন্তিম গিরিপথে
ঘরের কোণে বসে করছে ভীষণ অভিসস্তাপ।
চিৎকার করে এখন বলছে সবাই
আজ মোরা বড়ই অনুশোচিত


০৫/০৫/২০২০ইং