যেতে যেতে যেখানে রাস্তাটা হঠাৎ নেমে গেছে -
কলা গাছের ঝোপের পাশ দিয়ে ধান ক্ষেতের আলে,
সেখান দিয়ে আমরা চলে এলাম শব্দ থেকে দূরে।
দূরে গেলে অসহ্য শব্দরাও প্রিয় হয়ে ওঠে।


তোমার হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে সেই আশ্চর্য গ্রামে।
ছায়াঘেরা অন্ধকার হলেও গ্রামের নাম, আলো।
গ্রামবাসীরা জানালো, এখানে সব শব্দবাজি নিষিদ্ধ।
সবাই মেতে ওঠে, সব বাড়ি সেজে ওঠে উৎসবে।
কিন্তু বিকট শব্দে নয়, প্রদীপের স্নিগ্ধ আলোয়।


কুঁড়েঘরের দাওয়ায় আলোর আল্পনা দেখে এগোই।
গ্রামের প্রান্তে সেই খড়ের চালের বাগানবাড়ি।
যুবতী মেয়েটি প্রবেশপথের দুধারে আলো জ্বালাচ্ছে।
সে আমাদের খুলে দিলো ঘর। আমাদের রাতের ঠিকানা।
ঘরে জ্বেলে দিয়ে গেলো দুটি প্রদীপ, মুখোমুখি শিখায়।


ঘরের দরজা বন্ধ করতেই শিখাদুটি সমুন্নত  ......
জ্বলে উঠলো বহুগুন। তারপর তারা মিশে গেলো।