কবিতার জন্য-


নদীর মোহনায় সে এক ধূসর গাছের কাছে দাঁড়িয়ে থাকে।
এঁকেবেঁকে জল ছুটে আসে তার দুই পায়ে চুমু খাবে বলে।
একা এক গাঙচিল উড়ে আসে নৈর্ব্যক্তিক সৌন্দর্য সন্ধানে।
ঘোর তমসার আগে মহাজাগতিক আলো তার স্তন ছুঁয়ে যায়।
জংঘার কিনারায় কৃষ্ণগহ্বর ঘেঁষে সৃষ্টিকর্তার ওঙ্কার ধ্বনি ওঠে।


কবিতার জন্য-


আসন্ন মৃত্যুকে অপেক্ষায় রাখি আরও কিছু কবিতা জন্মকাল।
নিকষিত ঔরসে তার গর্ভে জন্ম নেয় কিছু সন্নিহিত শব্দ-ভ্রুণ ।
শব্দগুলিকে পুনর্জীবিত করে পৃথিবীর শেষতম কবিতার নারী।
দেখা হবে প্রজাপতিদের সাথে, জোনাকির আলো জ্বালা পথে।
তারপর শব্দের সাথে ছাই হয়ে, ধুলো হয়ে মিশে যাবো। কথা দিলাম।