মৃত্যু, তোমাকে দেখেছি ম্যাগপাই পাখির মতো
সাদা কালো , নৈঋত কোণ থেকে উড়ে আসা
এক গুচ্ছ তীরের ধারালো ফলা।


শেষবারের মতো প্রিয় নিম গাছটির ছায়ায়
নরম বালিতে আঁকিবুকি .... নামটি যেন কার  ?
সেই সবুজ মাঠে বিকেল চারটের সময় ফুটবল
মাটির নরম কলসি থেকে আকণ্ঠ তৃষ্ণা মেটাই।
তুলসীতলায় প্রদীপ , সন্ধ্যা-শাঁখের শব্দে ঘরে
ফেরার ডাক। ইতিহাসের বই থেকে পানিপথের
দ্বিতীয় যুদ্ধের হুঙ্কার শোনা যায়।


শেষবারের মতো বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায়
সিগারেটে সুখটান  ...চারমিনার ! চারমিনার !!
সেই পাড়ার মোড়ে চারজনের নিশ্চিন্ত কোলাহল
ছুটবো বলে অস্থির কথার ফুলঝুরি ছোটাই।
আসবো বলে যে আসেনি, সে বিপ্লব যায় সরে
নিপাত যাক। আমাদের সমস্যা বহু মতের।  
পথের আবিষ্কার হাতে গোনা যায়।


শেষবারের মতো তুমি, আবার তোমায়
ছুঁয়ে থাকি প্রিয় নদীটির স্রোত। আমার পারাপার।
সেই জ্যোৎস্না ভেজা বালি, ছলাৎ ছলাৎ জল
স্পর্শসুখে কুয়াশা ভেজা পদ্ম ফুল ফোটাই ।
যেতে তো হবেই। তবু বোঝাই অনেক করে
মনেই থাক। বিশল্যকরনী গন্ধমাদন পর্বতের।
মৃত্যু সুর-ঝংকার প্রেমেই বোনা যায়।