অংকুরিত ভোরে তোমার এক যুগান্তের অনুভব।
সব স্বপ্নের সীমানা পেরিয়ে অবিশ্রুত সত্যসম্ভব।
এসো গোধূলি আলোর মেয়ে। শোনো, শিঞ্জিত নীরবতাও।


আমাকে একবার সেই অলৌকিক ভালোবাসা দাও।


ভুলে যাওয়া কথা, ভুলে থাকা সব কষ্টের কাছেপিঠে-
আদর বোলানো আঙুলের ছোঁয়া, দেয় রোদ্দুর মিঠে।
"জিন্দেগী ধুপ" ভাবলেই তুমি দীপ্তি নাভাল হয়ে যাও।


আমাকে একবার সেই অলৌকিক ভালোবাসা দাও।


আমার শৈশব জুড়ে বয়ে চলে নদী গন্ধেশ্বরী।
জীবনের শেষ বাঁকে কবিতার নারী, তুমি ঈশ্বরী।
ভাঙছে নদীর এ পার। অন্য পারে এষণা জাগাও।


আমাকে একবার সেই অলৌকিক ভালোবাসা দাও।


রূপান্তরের রূপকথা আনে রূপোলি বালির চর।
ভেতরে বাইরে বৃষ্টি যেখানে মুছে দেয় চরাচর।
স্বপ্নের কাছে আছি। পরাবাস্তব মেঘের মুগ্ধতাও।


আমাকে একবার সেই অলৌকিক ভালোবাসা দাও।


ঝঞ্ঝার রাতে খোলা জানালায় গাছেরা পাগলা তুলি।
বহুদূর অরণ্যের হাতছানি শোনে বৌদ্ধিক শাখা গুলি।
কোথাও জুড়ে গেছে আত্মার তার। এবার শরীর সাজাও।


আমাকে একবার সেই অলৌকিক ভালোবাসা দাও।


অরণ্যের কাছে দাঁড়িয়ে অমোঘ উচ্চারণ, "ভালোবাসি"
অরণ্যকে সব বলা যায়। বিশ্ব চরাচরে সে এক মহা সন্ন্যাসী।
পাতায় পাতায় আজ উৎসব। অন্য সব কোলাহল থামাও।


আমাকে একবার সেই অলৌকিক ভালোবাসা দাও।


ভরা কোটালের ঢেউ পেরিয়ে ধরেছো অনন্তের হাত।
ঈশান কোণের মেঘের ইশারায় তুচ্ছ অশনি সম্পাত।
সমুদ্রের লোনা জল জঙ্ঘায় লুটোপুটি, উড়ন্ত ওড়না।
পৃথিবীর শুদ্ধতম উচ্চারণে তুমি দিগন্তে আকাশ ঝর্ণা।
বলেছিলে, প্রকৃতির কোলে এলে কেটে যাবে ঘোর তমসাও।


আমাকে একবার সেই অলৌকিক ভালোবাসা দাও।