হে দুরধ্যয়, ওগো অচিন্ত্য প্রিয়া,
কতরূপে হেরি তব দুর্দমনীয় অভিমান!
গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহে পুড়িয়ে যাও-
তুমি বৈশাখের ঝড়ো হাওয়া!
জ্যৈষ্ঠের কড়ারোদের দুর্লভ তৃষা তুমি,
একফোঁটা মেঘের জন্য-
বারে বারে তোমা পানে বৃথা চাওয়া!


মিটিলে নিঠুর তপ্ত অভিমান-
আকাশ ভেঙ্গে জেগে উঠো মূর্তিমান-
রূপে; আষাঢ়ের অঝোর ধারায়-
ঝরে যাও তুমি,
শ্রাবণের কল্লোল লহরি-
ছুঁয়ে যাও চরণ চুমি।
দু'কুল ছাপিয়ে- চারপাশ কাঁপিয়ে;
বয়ে চলো নিরবধি,
খালবিল, নদী, নীরধি।
হলে শেষ উন্মত্ততা, উঠো তবে হাঁপিয়ে!


ফেলে ঐ ভৈরবী, প্রলয়ংকারী অভিমানী শোভা-
দাও ধরা, অন্য রূপে মুহূর্তেই;
আকাশে সাদা মেঘের ভেলায়,
কাশফুলের কোমল স্নিগ্ধতায়-
যেন, কিশোরীর প্রথম প্রণয় আভা!


লুকোচুরি প্রণয়াকাঙ্ক্ষা হলে সাঙ্গ, লাজুক বদনে-
তবে কী লুকাতে চাও-
হেমন্তের স্নিগ্ধ হিমেল হাওয়ায়?
ধানের সবুজ ডগায়?
কিষাণীর ধানের গোলায়?


অশান্ত হৃদয়ে উঠে হাপিত্যেশ;
তাই কী-
পরম আবেশে মজতে চাও-
মাঘের বরফ শীতল বিছানায়?
হিমবায়ু হয়ে আসো-
হাড়কাপানো শীতের রাতে?
কুয়াশার চাদরে চাও জড়াতে?
শিশির কণা হয়ে ভাসতে চাও-
দুর্বাঘাসের বুকে?
পরম সুখে!
করতে চাও, সব সফেদ হিমেল!


হলে অবসান, ঐ হিমেল অভিমান-
জেগে উঠো আদুল রাঙা গায়!
প্রণয়াবেশে সাজাও এই বিশ্বচরাচর,
ঝেড়ে সব পুরনো অধ্যায়!
রঙ্গের পসরায় সব কর রঙ্গিন,
ছিল যা এতদিন, কঠিন সঙ্গিন!
প্রেমাস্পদের সাথে করতে মহামিলন-
হে রঙ্গপ্রিয়া, কর রঙিন পৃথিবীর আঁচর,
কর আমন্ত্রণ, সব সভাসদে-
হেরিতে তব ঐ প্রণয়োপাখ্যান!


২৪/০৫/২০২০
বিকাল- ০৩.২০