শতরূপে ভালোবাসা কবিতার বইটিতে প্রকাশিতব্য কবিতার তালিকা প্রকাশের পর এ নিয়ে কিছু বিতর্কের দেখা দিয়েছে। নানাজনের নানা বক্তব্যের ভিত্তিতে এপ্রসঙ্গে কিছু বলাটা দরকার বলে মনে করছি।


কবিতা বাছাই প্রসঙ্গে

১) কবিতার বইয়ের মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে কবিতা, কবির সংখ্যা নয়। তাই প্রথমবারের মতো বাংলা-কবিতার পক্ষ থেকে কবিতার বই প্রকাশের ক্ষেত্রে আমরা কবির সংখ্যার চেয়ে কবিতার বিষয়বস্তু, কাঠামো ও মানকে গুরুত্ব দিয়েছি বেশি।


২) জাগৃতি প্রকাশনী বাংলাদেশের বেশ সুপ্রতিষ্ঠিত ও স্বনামখ্যাত এক প্রকাশনী। অপরদিকে আমরা বাংলা-কবিতার কর্তৃপক্ষ বই প্রকাশের নানা বিষয়ে পুরোই অনভিজ্ঞ। স্বভাবতই বইয়ের জন্য কবিতা বাছাই থেকে নিয়ে সম্পাদনার যাবতীয় কাজে প্রকাশকের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করাটাই আমাদের কাছে বেশি যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয়েছে। এবং সে অনুযায়ী শুরুতেই কবিতা বাছাই ও সম্পাদনার দায়িত্ব নিতে প্রকাশককে আমরা অনুরোধ করেছি।


৩) তবে বইয়ে প্রকাশের জন্য ৩০০-এরও বেশি কবিতা জমা পড়ায় তা থেকে প্রাথমিকভাবে কবিতা বাছাইয়ের দায়িত্ব আমাদের উপর বর্তায়। এক্ষেত্রে শুরুতেই আমাদের উল্লেখিত নিয়মের বাইরের কবিতাগুলোকে তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়। (অর্থাৎ, যেগুলোর লাইন সংখ্যা ১২ থেকে ২৮-এর বাইরে, অথবা বিষয়বস্তু ভালোবাসা কেন্দ্রিক নয়)। বাকি কবিতাগুলো আমাদের আসরেরই ৫ জন কবির দ্বারা যাচাই করে তাদের দেয়া মানের গড়ের ভিত্তিতে সাজানো হয়। এতে করে কবিতা বাছাইয়ের জন্য নির্দিষ্ট একজনের উপর কোন দায় বর্তাচ্ছে না।


৪) ৫ বিচারকের গড় মানের ভিত্তিতে সাজানো তালিকার প্রথমদিকের কবিতাগুলো প্রকাশকের কাছে পাঠানো হয় চূড়ান্ত বাছাইয়ের জন্য। এবং সেগুলো থেকে প্রকাশক যেসব কবিতা চূড়ান্তভাবে বাছাই করেছেন, তার তালিকা এখানে প্রকাশ করা হয়েছে।


৫) কবিতা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যেহেতু শুধুমাত্র প্রকাশক কিংবা বাংলা-কবিতা কর্তৃপক্ষ এককভাবে জড়িত নয়, এক্ষেত্রে নতুনভাবে কারও অনুরোধে তালিকার বারবার পরিবর্তনও সম্ভব নয়।


যাদের কবিতা চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পায়নি

১) প্রথমত:, নিয়মের বহির্ভূত হওয়ায় অনেক ভাল কবিতাও বাদ পড়েছে। আবার অনেকের দেয়া কবিতার লিঙ্কও কাজ করেনি, তাই বাছাইয়ের জন্য কবিতাটিই খুঁজে পাইনি আমরা।


২) নির্ধারিত সময়ের পরে যারা ইমেইলের মাধ্যমে কবিতা পাঠিয়েছেন, সেগুলোও গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি আমাদের পক্ষে। কারণ বারবার নতুন কবিতা নিয়ে ৫ বিচারকের মাধ্যমে যাচাই করে তারপরে নতুন তালিকা করে আবারও প্রকাশককে পাঠিয়ে নতুনভাবে কবিতা বাছাই করার জটিলতা বাস্তবসম্মত ছিল না।


৩) এছাড়া ৫ বিচারকের গড়ের উপর ভিত্তি করে প্রাথমিক তালিকা তৈরি করা হয়েছিলো। অনেকের খুব ভাল মানের কবিতাও হয়তো বিচারকের দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতার জন্য অন্য কোনটার চেয়ে কম মান পেয়েছে। (এমনটা হতেই পারে, বিচারকও মানুষ)।


৪) অনেক কবিতা হয়তো চূড়ান্ত তালিকায় গিয়ে বাদ পড়েছে স্থান সংকুলানের অভাবে।


তাই আপনাদের কারও কবিতা শতরূপে ভালোবাসায় প্রকাশের জন্য স্থান পায়নি বলে এমনটি ভাবার কোন কারণ নেই যে আপনি ভাল লিখেন না, অথবা ইচ্ছে করে আপনার কবিতাটি বাদ দেয়া হয়েছে। উপরে উল্লেখিত কারণগুলোর যেকোনো একটির জন্যই আপনার ভাল একটি কবিতাও বাদ যেতে পারে। এছাড়া, এটিই একমাত্র বই না যা দিয়ে প্রমাণিত হবে আপনি ভাল কবি কিনা। তাই মনক্ষুন্ন না হয়ে আগ্রহ নিয়ে কবিতা লেখা চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করছি আপনাদের। ভবিষ্যতে আরও পিডিএফ এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় বই প্রকাশের পরিকল্পনা আছে আমাদের।


বইটি যেভাবে পেতে পারেন

১) বইটি ২০১৫ সালের একুশে বইমেলায় জাগৃতি প্রকাশনীর স্টল থেকে যে কেউ সরাসরি ক্রয় করতে পারবেন।


২) এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ সহ বাংলাদেশের বাইরের কোথাও বইটি কেউ পেতে চাইলে একুশে বইমেলার সময় www.boi-mela.com ওয়েবসাইটে আপনি বইটির অর্ডার দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে পোস্ট মারফত বইটি আপনার ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয়া হবে। বইটি প্রকাশের পর অনলাইনে বইটি অর্ডার দেয়ার লিঙ্ক এই ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।