আমার শেষ দাফন হয়েছিলো ৫ই ফেব্রুয়ারী,
শেষ দাফন!
তরতাজা লাশের গন্ধে মৃতেরা উল্লাসধ্বনি দিতে লাগলো,
তাদের গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিলো হরিণের পশমে মোড়ানো লাশটাকে।


সেটা ছিলো এক বিষন্ন রবিবার,
একটা মানবজন্ম পেয়েছিলাম আমি।
মানবীর স্তনবৃন্ত নিয়ে চিন্তা করবে বলে ভাবছিলো শয়তান
আমি দূর থেকেই তাড়িয়ে দিয়ে কাছে এলাম।
আমার বঞ্চিত প্রেম চুষে নিলো ইশ্বর।
আমার জন্য অভ্যর্থনা নিয়ে এলো খোদার প্রেম,
তুলে নিয়ে ভেসে যেতে যেতে হোচট খেলাম
দেখি, চারদিকে নিস্তব্ধ নির্জনতার ভীরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে সে।
আমি বড় অভাগা।


তুলে ফেলেছি বলেই হলোনা ক্ষমতা
মূর্ছনায় বয়স বাড়তে লাগলো সময়ের স্রোতে
আঙিনায় কৃত্রিম মানুষের খোজে বীজ রেখে
মিশিয়ে দিলাম বিষের পেয়েলার নদে।


ইশ্বর আমায় খুব ভালোবাসেন,
একষট্টি কোটি বছর বয়স তার,
কত গেলো অহেতুক মৃতের সময়
অথচ দেবীর রূপে আমায় মাতিয়েই দিলেন।
আমি মেতে উঠলাম না,
ইশ্বরের চেয়ে আমি আমার দেবীকেই মানি।
জিজ্ঞেস করলেন নাম কি?
চন্দ্রবদনী,
এক হাতে তার সূর্য অন্য হাতে চাঁদ
এক হাতে তার মৃত্যু অন্য হাতে লাজ
এক হাতে তার কামনা অন্য হাতে সাজ
এক হাতে তার ঘৃণা আর শেষ হাতে পক্ষীরাজ।
ধুর ছাই, এ কিভাবে হয়?
নিজের সৃষ্টিকে অস্বীকার করলেন নাকি?
মহামান্য প্রভু?
আমার রহস্যে আমায় মাতাচ্ছো নাকি?
নিভে যাচ্ছি, আমাকে মেরে ফেলুন।


থমকে থাকা সময় ;
আমার হাতে বিষের পেয়ালা দিয়ে দেহে কীটনাশক দিচ্ছেন?
বড় অদ্ভুত আপনার খেলা।
মহামান্য ইশ্বর,
আমাকে জীবন্ত পুড়িয়ে ফেলুন
এই অনলের অতলে কে চায় পুড়তে?
মহামান্য ইশ্বর,
আমাকে ডুবিয়ে দিন এই মুহূর্তে
মৃত নদে কে চায় জীবন ভাসাতে?


তিনে লিখে দিলেন,
মৃত্যুই পৃথিবীর প্রথম সন্তান
আর প্রেম পৃথিবীর শেষ ধর্ম।