আমি হুট করেই বদলে দিতে চাইলাম,
বললাম, চলুন আমরা সব বদলে দেবো?
বিদ্রুপের পতাকায় আনবো পরিবর্তন,
সেই পতাকায় থাকবে কতগুলো সাদা পায়রা,
বলছো কি? এ তো শান্তির উপাধান!
আমরা বিদ্রুপ করবো শান্তি দিয়ে,
যুদ্ধ চলবে এপার ওপারের বিদ্রুপ, হিংসা, অবজ্ঞা, নির্মমতার।
আমরা পাঠাবো পায়রার ঝাক,
সে ঝাকে থাকবে বিদ্রুপের চিহ্ন।
বা রে, এটাও কি হয়?
যে আমায় দিলো আঘাতের পশম
তাকে কিভাবে আকাশ ছুতে দিই?
আমি হেরে গিয়েছি,
নিজেকে খুজে পেয়েছি দেড়শো বছর আগের পাখির পালকে।


আমি উমর
কিন্তু আমার তলোয়ার নেই!
আমি ইকবাল
কিন্তু আমার কবিতা নেই!
আমি মহসিন
কিন্তু আমার উদারতা নেই!
আমি মার্ক্স
কিন্তু আমার চিন্তা নেই!
আমি শেক্সপিয়ার
কিন্তু আমার উল্কাপিণ্ড নেই!
আমি অমরজীবন,
যাকে মৃত্যুঞ্জয় বলে!
আমি ইসা
আমার ইশ্বর কোথায়?


আমি বরং এক কাপ পানিতে নিজেকে ধুয়ে আসি,
কিছুটা সময় অতিবাহিত হোক
আমরা আগুনের কাছে ধর্ম চাইবো।
আগুন, না এটা কেন!
ক্ষুদা পৃথিবীর প্রথম ইশ্বর,
ইশ্বর পৃথিবীর প্রথম দেবতা।


এভাবে বলতে নেই,
মিশে যাবে অবেলায়
কিছু স্মৃতি মুছে গেলে, আবার মিলিয়ে যাবে
যাওয়া যাবেনা মৃতের মেলায়।


তখন, হঠাৎ করেই মৃতরা জেগে উঠলো
বলতে লাগলো, আমাকে দাফন করা হোক
তা হয় কি?
মৃতের আঁশটে গন্ধে ভেসে যাক না পৃথিবী!
এতো ছোট গ্রাম অথচ এতো বেশি মানুষ
এদের নিশ্চিহ্ন করে দাও।
ইশ্বরের দরোজায় এ নালিশ নিয়ে গেলাম,
কড়া নাড়তেই বলে দিলেন-
বিদেয় হো হারামজাদা
তোর কি মউতের ভয় নাই?
আমি ভেবে দেখলাম এ কেমন আহাজারি?
ইশ্বর আমাকে আমার ভয় দেখাচ্ছেন কেনো?
যেমনটা আমার প্রেমিকাকে দেখিয়েছিলেন।


দেখুন, আমি মৃত চরে ভেসে যাবো অগনিত পশুর সাথে
অবিচল গতিতে ভেলা ভাসাবো শ্মশানঘাটে।
আমাকে তাড়িয়ে বড্ড ভুল করে দিলেন,
মহামান্য ইশ্বর।


আমার একটা দেবী ছিলো,
তার পদতলে আমি দিয়েছি পৃথিবীর সব ফুল।
বিষ কিংবা মধু, ফুল তো ফুলই হয়।
হেমন্তের কমল ফুল তার পায়ে বিধে গেলো।
আবার রঙ্গন তাকে ছুয়ে ধন্য হলো,
এতো লক্ষ লক্ষ ফুল তাকে ছুঁয়ে গেলো,
এতো পাহাড় তাকে ঘিড়ে প্রদক্ষিণ করলো,
অথচ আমি তাকে দেখতেও পেলাম না।
এক আক্ষেপটুকু বুকে নিয়ে আমি রয়ে গেলাম মাতৃহারা হরিণের মতো।
আমায় টেনে ছিড়ে খাচ্ছে শয়তানেরা।


আমার দেবী মুক্তি চেয়েছিলো,
তোমাদের বিদ্রুপ মুখর কোলাহল থেকে,
তার স্তনযুগল থেকে খসে পড়েছিলো শাদা পায়রাগুলো।
সে পায়রা গুলো আমি যুদ্ধে ছিটিয়ে দেবো।


আমার প্রেমিকার জন্ম হয়েছিলো ততবার,
যতবার তার মৃত্যু হয়েছে আমার হাতে।
আমি নশ্বরের ইশ্বর,
আমার প্রেমিকা হলো মৃত্যু।