আশ্চর্য একটা কিছুর অভাব ছিল
জানলাম না, বুঝলামও না, কী সেটা।
যেন হঠাৎ প্রাণের, দ্বিধা-স্খলন ঘটলো !
সবকিছু থেকেও কী একটা নেই।
প্রণয় আছে, কাব্য নেই। জল আছে, ঢেউ নেই।
নিঃশ্বাস আছে, মুক্তশ্বাস নেই। সঙ্গীত আছে, রাগ নেই।
মৃদঙ্গ আছে তাতে ঝংকার নেই...
তারচেয়ে অধিক দ্বন্দ্ব----
সে আছে আঁখি-নীড়ে, হৃদয় কঙ্কর নীলে নেই,
সদ্য প্রস্ফুটিত পাপড়ীতে আছে, বিদ্যুৎ বাণীতে নেই।
নব প্রেমের আবেদনে আছে,
শতবর্ষের অগ্নি প্লাবনে শূন্য, অবয়বহীন।
আর আমি আছি বহু প্রতীক্ষিত কল্প-লোকের আশে।
যেখানে স্বাস্থ্যকর হাওয়া বিরাজের সাথে
থাকবে অবাধ জীবনখেলা।
রঙধনুর সাতটি রঙ পেরিয়ে
একেবারে নবম রঙের নিরন্তন বিস্তার।
জীবন-প্রভাতে ও সায়হ্নে হৃদয়টানের গতি হবে অপরিমেয়।
আকাশে বাতাসে শোনাবে তার শব্দ হিল্লোল।
মন ও হৃদঅবয়বের শৈল্পিক ছোঁয়ায় ভরপুর হবে মঙ্গল প্রাঙ্গন।
একটা গভীর নান্দনিক বন্ধন অপেক্ষা করে হৃদিতট।
মনের মাতন চায় অবরুদ্ধ মন।
হাওয়ায় হাওয়ায় ঢেউয়ের মাতন কিংবা মাতন মাতন সুখ।
ব্যস্ত জগতের কারাগারে আদৌও কী তা পাওয়া সম্ভব ?


         "কে থাকবে অধরতটের গোপন হিয়ায় !
         কে আঁকবে কল্পনা-জ্বাল চোখের পাতায় ?
        কে বাজাবে শঙ্খধ্বনি প্রাচীন বাঁধন খুলে---
    আমার মধ্য রাতের ঘুম ভাঙা স্বর তারে দিব তুলে । "



🍁 ২ রা মাঘ ১৪২৩ 🍁
  ❄️ শৈত রজনী ❄️