জ্যোস্নার সামনে দাড়িয়ে
বললাম-“ভালোবাসি”
বহুদিনের বহু সাধনার ঔ শব্দগুলো
বুকের ভেতর তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিল
আজ প্রতিবাদী হয়ে বিস্ফোরিত হল
বেরিয়ে এল গুমট বাঁধা বহু প্রতিক্ষার নির্যাসটুকনু।


কত শব্দমালা সাজিয়ে রেখেছি
কত রঙিন স্বপ্নের বুনন
কত কথার ডালা মনের নিভৃতে রেখেছি
কত আবেদন নীরব ভাষার বর্ণমালায়।


শুক্লপক্ষের পঞ্চাদশ তিথিতে বাসর সাজাব
পূর্ণিমার জ্যোস্না দিয়ে টিপ পড়াব
তারকারাজি সাজিয়ে মালা গাঁথব
আকাশের মিতালীতে নীল-সাদা শাড়ী পড়াব


সাত সমুদ্র তের নদী ওপার হতে
বিষাক্ত নাগিনীর মাথার মনি এনে
তোমার মাথার তাজ বানাব
প্রশান্ত মহাসাগর সেচে
ঝিনুক থেকে মুক্তো নিয়ে
তোমার পায়েল বানাব।


চাঁদের বুড়ি এসে তোমায় সাজাবে
পায়ে আলতা, মেহেদী রাঙা হাত,ঘোমটা টানা লাজুক বধু
আমি দু’চোখ ভরে তোমায় দেখব
মায়াবী চোখ, লাউয়ের ডোগার মত নাক
ডালিমের কোয়ার মত রসালো ঠোঁট
সম্মোহন জাগানো স্ফীত বক্ষ
পদ্মসদৃশ নাভি,সুগঠিত নিতম্ব
কিছুতেই চোখ ফেরানো যায় না
তোমার আবৃত-অনাবৃত সৌন্দর্য অবলোকনে
হাজার বছর কেটে যাবে এক পলকে।


সমস্ত পৃথিবী ঘুমিয়ে-জেগে তুমি আর আমি
আমাদের একটি পৃথিবী
এই পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা দুইজন
এই দু’জনের মধ্যেই ঘুমিয়ে আছে
পৃথিবীর সাড়ে সাতশ কোটি মানুষ
প্রতিটি মানুষের প্রেম,মোহ,ভাললাগা
আর সাহসী উচ্চারণ ‘ভালোবাসি’।