ছক্কা মেরে ছোটু ছিল,
বেজায় খুশি বলে,
আমার সাথে বলো তো কার-
কী তুলনা চলে?


হাসলে বেশি কাঁদতে যে হয়,
এই প্রমাণের ছলে,
বলটা ছুটে লাগলো দেখো,
গ্লাস ভাঙার কলে।


যতই সে হোক প্রতিবেশী,
বাড়ির বড় মায়া,
পাড়ার ছেলেপেলে ভয়ে,
মাড়ায় না তার ছায়া।


ঘটনাটা এটুকু নয়,
কলেবরে বড়,
বাজারের এক লিস্ট জমেছে,
গ্লাস ভেঙেছে আরো।


ও বাড়ির ঐ দাদু নাকি,
ঐ জানালার ধারে,
চশমাটা তার হাতে ধরে,
বইগুলো সে পড়ে।


গ্লাস ভাঙার শব্দে হঠাৎ,
হাত ফসকে পড়ে,
গ্লাসগুলো তার ফ্রেম ছেড়েছে,
দেখো কেমন করে।


ওদের বাড়ির বউটা নাকি,
তাতে অবাক হয়ে,
হাতে থাকা গ্লাস ফেলেছে,
আনমনে বা, ভয়ে।


শুরু হলো বিচার-সালিশ,
জরিমানার সীমা,
এত রকম গ্লাস ভেঙেছে,
যায় কি করা ক্ষমা?


ছোটুর মা তো কানটা ধরে,
টেনে নিয়ে চলে,
আর খেলবি, খেলবি কি আর?
ক্রিকেট রসাতলে।


ভাঙল আসর,
সেই বিকেলের,
কোথায় গেল খেলা?
গ্লাস ভেঙেছে, তাও মনে থাক,
রঙিন ছোটবেলা...