চলো যাই ঘুরে আসি, বলে -
তোমাকে ডাকতে পারে দিবানিশি কেউ,
হাতছানি ছুঁয়ে, যেয়ো না 'অবীর বাগে'
মুখপোড়া স্মৃতির সেই বাদপড়া পুরী!
চন্দ্রবোড়ার আড়মোড়া পাঁচিলে,
প্রহরবন্দী প্রহরীরা,মরে গেছে বহু আগে!
শঙ্খসাধু'র নামাবলী পরে গাট্টা মশালচি
- দুষ্ট প্রহারে তোমারও দোপাট্টা খুলে,
অন্ধসাধক লিখবে বসে,নব্য কবীর'র গান!
শুনতে পাবে ভ্রান্ত রাগে -
অনিচ্ছাতে গুনতে হবে,দিকভ্রান্তির মান!
সদিচ্ছাতে ফিরে এলেই প্রিয় সুধীর
- সার্থকতার নামটি হবে সত্য প্রবীর |


আমিও গিয়েছি নাকি দৈবাৎ ভুলে;
নিহিতের পথেই আহত হয়েছি গভীর!
দেখেছি দীঘল দিন আগলের দ্বারে -
জমে আছে কয়ফোঁটা 'বিক্ষত শিশির'
পতনের শব্দে ঝরা বানভাসি সুর,
কারা জানি ঘুমিয়ে গেছে 'অক্ষত ভোরে'
বিহার বিলাসী নীহার চুয়ানো,
উঠোনে ছড়িয়ে আছে 'কুহকী শিরশির'!
ঈশানে ঝুলে থাকা 'পাতকী বাতাস',
এক দঙ্গল ঝরাপাতার জীবাশ্ম শরীরে,
'আধমরা গোধূলি'র উপহাস্য চীৎকার!
একঝলক সদ্যোজাত 'মুমূর্ষু আলোক'
- সাথে কয়েক প্রস্থ 'বেজন্মা অন্ধকার'|


ভুলেও যেয়ো না কোনো বন্ধু সুজন-
যেখানে বসানো মেলা;নিধনের খেলা!
সাবিত্রী সাধনার গলাটিপে মেরে,
'বর্ণবৃক্ষের' অরিত্র গায়ে হেলান দিয়ে
- পবিত্র 'শব্দতরী' চিৎ করে ধরে,
নষ্ট আরামে করছে যারা ....
আজন্ম মাধুর্যের দেহে পষ্ট বলাৎকার ||


=============
© আগুন নদী © ২০২৩
_____________
★★
অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি, ইদানীং লক্ষ্য করেছি - আমার কবিতায় ব্যবহৃত এবং প্রয়োগকৃত, 'শতভাগ স্বকীয়' সৃষ্টির কিছু উপমা এবং শব্দবন্ধ হুবহু অন্যত্র অন্য কেউ প্রয়োগ করে যাচ্ছেন।
অনুমতি ছাড়া এটি বেআইনি, নিন্দনীয় গর্হিত কাজ। স্বকীয়তার স্বত্ব মেনে সাহিত্য সাধনা অত্যন্ত জরুরি এবং উত্তম।
...