বাতাসে ভাসছে যখন বিশ্বগল্পের ঘ্রাণ
কল্পলোক ছাড়ায়ে আরো বহুদূর,
     গন্ধগোলাপ মাড়িয়ে দেবার টান!
জ্ঞানেও গহীনে ছাড়িয়ে যাবার সুর,
  প্রবল আভাষের স্নিগ্ধ আলোক কথা
বিলাপহারা বিমুগ্ধ আলাপের সৌরভ |


তখনো আঁধার;আবদ্ধ আমার দুয়ার,
শরীরে বাধার, রেনেসাঁ রূধির ধারা!
     বদ্ধ সংলাপে জব্দ প্রলাপের ব্যথা
- মণিবন্ধ তুলে আকাশ গর্জাই,
    বাজুবন্ধে আঁকা হালাকু চেঙ্গিস!
তরজা বাঁধি,ধুয়া তুলি,অধীর সাধি |


কণ্ঠে ঝুলিয়ে রাখি কবিতাপুরাণ;
চেতনার উপাচারে জড়ো বাসিফুল!  
প্রাণের বর্ণমালায় প্রাগের ছায়া
- উপহারে রচি মনোভুল!
শব্দমুকুর জুড়ে আবছায়া জালে,
কুহেলি লেপ্টানো প্রহেলি হাহাকারে
-ভাঙাচোরা একী হাল!
ভাবতরী ডুবুডুবু,হেলে পড়া মাস্তুল,
দিকহারা স্বরলিপি কাঁধে-  
'দীনলিপি' বোঝাই এ বৈদিক জাহাজ |


দ্বন্ধের বহরে রাখা ছন্দের ভারে;
আঁকড়ে থাকি যতো কুরুর কৌরব
    শত-শত পুরনোর বিক্ষত লাজ!
মাত্রাও বৃত্তে পরিধির মাপ মেপে,
  তাতে আর কতটুকু নিবন্ধের মায়া
- কালের সকালগুলো ওঠে না কেঁপে |


বিনয়ী সরোদের সাথে বিরহী সিতার
বেসুরো প্রণয় গলে এক ঐকতান
    মাথায় চড়িয়ে রাখি সতী ও সীতা!
বিশ্বামিত্র লালসাতে মেনকার ধ্যান,
ঘাড়ে চেপে কারা ওরা সাতশত মুনি
- কালিদাস বাল্মিকীর ব্রতী অবতার |


বানাও ভক্তকুল; প্রসাদ বৈভব দাও
পা টিপে ধীরপায়ে চলাচল ছাড়ো,
একপেশে একপথে কোন মহাকাল!
ঘুরপাক খেতে হবে ভাবনার বাঁকে,
আনন্দ সমাহারে অতুল উপমা রবে
- সমাদরে সাজানো সে গৌরব।
পরম গরিমা দিয়ে পারিজাত গড়ো,
জগতের কাছে কিছু জিজ্ঞাসা ছুঁড়ো!
আলাপ জমাতে হবে,নিরালায় নয়
- গোপন কুঠুরি ছেড়ে আপন আলয় ||


___________
© আগুন নদী ©
।জানুয়ারি।২০২৩।