বাড়ি ভাগাভাগির সময় একদিন
মাঝপাড়ার ভালোমানুষ ঠাকুরমশাই
কার্তিকবাবুর জোয়ান ছেলেটি মরে গেলো।
পরেরদিন ছিলো শ্যামাপুজো;
মনে পড়ে ঠিক একদিন পরেই,
পশ্চিমপাড়ার পরেশকাকার সোমত্ত মেয়ে।
নীল হয়ে গেছিল লাবণ্য কবিতা'র মুখ
এক শিশি কীটনাশক ফেলেছিল খেয়ে!
দুজনকেই চিনতাম;জানতামও বিশেষ    
মানুষ জাতি হিসেবে আমরা যে অভিন্ন
সেসময় ঠিক ততদূর শেখা হয়েছে
সম্প্রদায় সৎকার বলে কথা-
রাজপুত বীরপুত কোনো কাজে আসেনা
উপস্থিতি কিংবা সম্প্রীতি,
অসহায় নাকি ব্যর্থ আমি!
কোনো কিছুতেই আটকানো গেলো না!  
  
অসাধ্যের সমৃদ্ধ বেদনারা শুধুই বাড়ে    
দুর্গাবাড়ীর ইতিহাস কিছুই জানিনা
কেন যে কবে এমন নাম রাখা হলো!
গম্ভীরস্বভাব আমার বাবা-
নাতিপুতিদের হাত ধরে পায়চারি করেন
আমার কৌতুহল মেটাতে বলেন;    
সাতপুরুষের বাগানবাড়ি এটাই শুনেছি।
ভাগীদার বলে আপাতত কেউ নেই  
আমি কিন্তু তাতে মোটেও খুশি নই!
আমার বাড়ি আসলে কার?
বাড়ির নাম পাল্টাবো কীভাবে-
সেই সাধ্য যে একদম আমার নেই!


নিখরচায় যেতে পারি পায়ে হেঁটে হেঁটে
বসতভিটার খুবই কাছে নির্বিবাদ
সবুজের সম্ভারে নিজ মালিকানা!
অবুঝ ছেলেপুলেদের সেকি খুশি;
তাদের পছন্দের কারণ অবশ্য ভিন্ন!  
অসংখ্য নারকেলের গাছ,লিচুর বাগান
মাটিরঘরের শীতলতার টান-
শানবাঁধানো পুকুরঘাটে দখিন বাতাস।
লৌকিক আমার ক্ষুদ্র বুকের ভেতর
বাজতে থাকে অন্যরকম সুর!
নিষ্ঠা শ্রমের বীজে চাই দৃপ্ত চাষাবাদ
বিনাশ্রমের প্রাপ্তিতে খুব জমাট দীর্ঘশ্বাস।